সরকারি অনুদানে রোজিনার স্বপ্নপূ্রণ
আশির দশকের সাড়া জাগানো নায়িকা রোজিনার পরিচালনার স্বপ্ন অনেক দিনের। বেশ আগেই চিত্রনাট্য তৈরি করে রেখেছিলেন। বিনিয়োগ পেলেই ময়দানে নামবেন- পরিস্থিতি ছিল এমন। এখন সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে সরকারি অনুদানে।
চলতি অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘ফিরে দেখা’য় ‘বীরাঙ্গনা’ চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্রটির কাহিনি, রচনা ও পরিচালনা করছেন তিনি।
এ ছবির জন্য ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে সরকার।
ছবিতে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনকে রোজিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা দেশে তাণ্ডব চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। আমার নানাবাড়ি গোয়ালন্দ আর দাদাবাড়ি রাজবাড়ী, সারা দেশের মতো সেখানেও রয়েছে অসংখ্য তাণ্ডবের কাহিনি। এ দুই জায়গার মাঝে একটি বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের একটি ঘটনা ঘটে, যা আমার এই চলচ্চিত্রে উঠে আসবে। এই চলচ্চিত্রে আমি পরিচালনার পাশাপাশি বীরাঙ্গনা চরিত্রে অভিনয় করব।’
আগামী সপ্তাহের মধ্যে ছবির অন্য পাত্র-পাত্রীর নাম ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন রোজিনা। ছবির প্রেক্ষাপট গ্রাম, তাই এই বৃষ্টিতে শুটিং করা সম্ভব নয়, বৃষ্টি কমে গেলে দ্রুত ছবির শুট শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।
১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন। এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় একক নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর আর পিছু ফিরতে হয়নি তাঁকে। আশি দশকে প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
শুধু দেশে নয়, খ্যাতনামা এই অভিনেত্রী পশ্চিমবাংলার তাপস পাল, মিঠুন চক্রবর্তী, পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক নাদিমসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত বহু অভিনেতার বিপরীতে অভিনয় করেছেন।
১৯৮০ সালে ‘কসাই’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন রোজিনা। ১৯৮৮ সালে ‘জীবনধারা’ ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন।
‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’সহ তাঁর অভিনীত অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসাসফল হয়।
রোজিনা সর্বশেষ ২০০৬ সালে ‘রাক্ষুসী’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।