স্টার সিনেপ্লেক্সের পর্দা ৫ গুণ হলে এক সপ্তাহেই লগ্নি তোলা সম্ভব
স্টার সিনেপ্লেক্স ১০০টি স্ক্রিনে পৌঁছাতে পারলে প্রযোজকেরা সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাঁদের ছবির বিনিয়োগের টাকা তুলে ফেলতে পারবেন বলে মনে করছেন৷ মাল্টিপ্লেক্স চেইনটির চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান। গতকাল শনিবার স্টার সিনেপ্লেক্স কার্যালয়ে কেক কেটে দেড় যুগ পূর্তি উদ্যাপন করা হয়। বিনোদন অঙ্গনের অনেকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তখন এ মন্তব্য আসে।
২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে মাত্র তিনটি পর্দায় ছবি দেখানোর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়েছিল স্টার সিনেপ্লেক্সে। সেই সিনেপ্লেক্সের বয়স এখন ১৮ পার হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যাও। ১৮ বছরে স্টার সিনেপ্লেক্সের এখনকার পর্দার সংখ্যা ১৮। লক্ষ্য তাদের ১০০ ছোঁয়ার। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছেন তারা।
সিনেপ্লেক্সের শুরুটা হয়েছিল হলিউডের স্পাইডারম্যান চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র দেখানো হয় সালাহউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘মোল্লাবাড়ির বউ’। এই ছবিই স্টার সিনেপ্লেক্সকে সবার কাছে পরিচিত করে তোলে বলে জানান মাহবুব রহমান। তার মতে, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’ ছবিটি ছিল তাঁদের টার্নিং পয়েন্ট।
বর্তমানে একটি ভিআইপি হলসহ মোট পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। এ ছাড়া ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার এবং মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার, মিরপুরের সনি স্কয়ার, সামরিক জাদুঘরসহ মোট ১৮টি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও খুব শিগগির চালু হচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন শাখা। ঢাকার উত্তরা, কুমিল্লাসহ দেশব্যাপী আরও সিনেপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান।
তিনি এ-ও বললেন, ‘বাংলাদেশে মাল্টিপ্লেক্স থিয়েটার স্টার সিনেপ্লেক্স আমরাই প্রথম নিয়ে আসি। এই ১৮ বছরের জার্নিটা খুবই ডিফিকাল্ট ছিল। প্রথম দুই বছরে আমাদের শুধু মানুষকে বোঝাতে হয়েছে, সিনেমা বিনোদনের একটা বিষয়। সে সময় দর্শকেরা চলচ্চিত্রবিমুখও হয়ে পড়েছিল। মৃতপ্রায় ইন্ডাস্ট্রিতে মাল্টিপ্লেক্স ভাবনাটা আমাদের জন্য রিস্কি ভেঞ্চার ছিল। স্টার সিনেপ্লেক্স এখন আর আমাদের কোনো ব্যক্তিগত কোনো ব্র্যান্ড নয়, এটা সবাই নিজেদের একটা ব্র্যান্ড মনে করেন। আমরা ১০০টি স্ক্রিনে পৌঁছাতে চাই। আমি এ-ও বলতে চাই, অন্য উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসা উচিত। সম্প্রতি “পরাণ”, “হাওয়া”, “রেহানা মরিয়ম নূর”, “অপারেশন সুন্দরবন” ও “বিউটি সার্কাস”-এর মতো ছবিগুলো যেভাবে সফলতা নিয়ে আসছে, তা সত্যিই কল্পনার বাইরে। “হাওয়া” ছবিটি তো বক্স অফিসের সব রেকর্ড ব্রেক করেছে। আবার আমরা সিনেমার স্বর্ণযুগে ফিরে যাচ্ছি। সামনে আরও ভালো মুভি আসবে।’
সূত্র : প্রথম আলো