হাইকোর্টের রুলে প্রশ্নবিদ্ধ এবারের অনুদানের চলচ্চিত্র
২০১৮-১৯ অর্থবছরে তিনটি প্রজ্ঞাপনে ১৪টি চলচ্চিত্রকে দেওয়া অনুদানের ঘোষণা কেন অবৈধ হবে না এবং চলচ্চিত্র অনুদানের পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য নীতিমালা অনুযায়ী সব চলচ্চিত্রের প্রস্তাব কেন পুনঃনিরীক্ষা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে এক আদেশে।
এবারের অনুদান স্থগিত ও পুনঃনিরীক্ষণে চার নির্মাতার করা রিট আবেদনে ৩১ জুলাই এই রুল দেয় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ।রুলের জবাব দিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত।
অনুদানের চলচ্চিত্র নির্বাচনে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে গত ১৬ জুলাই রিট আবেদনটি করেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য আবেদনকারী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য আবেদনকারী অদ্রি হৃদয়েশ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সুপিন বর্মন ও খন্দকার সুমন।
এবার চলচ্চিত্রের জন্য সরকারি অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণাও দিয়েছিলেন চূড়ান্ত অনুদান কমিটির চার সদস্য মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম ও ড. মতিন রহমান। পরবর্তীতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর কাজে ফেরেন তারা।
এই অর্থবছরে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র, দুটি প্রামাণ্যচিত্র ও সাধারণ শাখায় ছয়টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
শিশুতোষ শাখায় অনুদান পেয়েছে আবু রায়হান মো. জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছে হুমায়রা বিলকিসের ‘বিলকিস এবং বিলকিস’ এবং পুরবী মতিনের ‘খেলাঘর’।
সাধারণ শাখায় কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছাড়াও অনুদান পেয়েছে মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, আকরাম খানের ‘বিধবাদের কথা’, কাজী মাসুদের প্রযোজনা ও হোসনে মোবারক রুমির ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, লাকী ইনামের প্রযোজনায় হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ এবং শমী কায়সারের প্রযোজনায় ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা’।