Select Page

‘হাওয়া’র বিশেষত্ব

‘হাওয়া’র বিশেষত্ব

বহুল আলোচিত ‘হাওয়া’ দেখবো দেখবো করে দেখে ফেললাম! প্রথমেই বলে রাখি এটি কোরিয়ান ‘সী ফগ’ মুভির নকল তো নয়ই বরং ধারে-কাছেও যায় না। অনেক কষ্টে ‘হাওয়া’ নাম দেওয়ার রহস্য খুজে পেলাম! হাওয়া: অশনি সঙ্কেত!

বিশেষত্ব: সিনেমা কেমন ধাঁচের সেটা ট্রেইলার দেখে আন্দাজ করা মুশকিল। কাহিনীর গতি একটু শ্লথ। বুঝতে বেগ পেতে হবে একটু আধটু। রহস্য খুঁজতেও চাচ্ছি না।

যেহেতু সামুদ্রিক জেলেদের পটভূমির খণ্ডচিত্র, সেই সুবাদে মাঝ ধরা ট্রলারে কাহিনী শুরু; সেখানেই শেষ। তবুও বলা যায়, সিনেমাটার শেষ অংশটা বেশি আকর্ষণীয় ছিলো।

ইন্টারভালের পরে কাহিনি আগায়। বিজিএম, সাউন্ড, কালার অত্যন্ত ভালো লেগেছে। বলতেই হবে প্রতিটি চরিত্রসহ স্বয়ং পরিজালক নিজে খুব কষ্ট করেছেন।

তবে একটাই মত, এই সিনেমা দেখার আগে মাথা থেকে অত্যাধুনিক ‘কমার্শিয়াল’ তামিল, তেলেগু সিনেমার আমেজ থেকে বের হয়ে সম্পূর্ণ নতুন চিন্তাধারা নিয়ে বসতে হবে! এখানে আপনি মুহূর্তে মুহূর্তে রোমান্টিক দৃশ্য পাবেন না, পারিবারিক ঝগড়া বিদ্বেষ, খুনসুটি, নাচ-গান পাবেন না! তবেই আপনি ‘হাওয়া’ উপভোগ করতে পারবেন।

গল্প: একটা গল্পে যতই বড় বড় শিল্পী, কলা-কুশলীরা থাকুক না কেনো, কাহিনি জোরালো হতে হবে। হওয়া উচিতও বটে। সত্যি বলতে ‘হাওয়া’ নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল; কিন্তু বাধ সাধল মুভির স্টোরি লাইনে। মনে হয়েছে ‘জোর’ করে একটি কাহিনি বসানো হয়েছে! ফলস্বরূপ দিন শেষে ‘হাওয়া’ একটি ‘মিথ’ বা পৌরাণিক গাঁথা হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে। হয়তো এইটাই ‘হাওয়া’র বিশেষত্ব!

চাঁন মাঝি… প্রথমে ভেবেছিলাম চাঁন মাঝি (চঞ্চল চৌধুরী) নায়ক, কিন্তু ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের মাঝে তার আসল চরিত্র অনুধাবন করতে পারবেন। যথারীতি মাইসেল্ফ শামসুল রহমান স্বপন ওরফে এলেন স্বপন (নাসির) সাহেবের বরফ লাগানোর কাহিনিটা দারুণ হাসির ছিলো।

সবাই বলছে মুভিটি ‘জেলেদের’ জীবন কাহিনি নিয়ে, এতে আমার দ্বিমত। কারণ সেটা ‘হাওয়া’ না দেখলে বোঝা মুশকিল! ছবিতে শরিফুল রাজসহ সবার অভিনয় ভালো লাগলো।

তবে শুধু চাঁন মাঝির নামটা উল্লেখ করার কারণ আছে। শুধু তার চরিত্রটিই শেষ পর্যন্ত দর্শক ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। স্টোরি আরও জোরালো করা উচিৎ।

কোনোকিছু শতভাগ পারফেক্ট না। আবার খারাপও না। নতুন কিছু করা ভালো। নতুন কিছু তারা করুক, ভুল-ত্রুটি খুঁজে ধরিয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। কেন না, এই চাঁন মাঝি, গুলতি আমাদের জন্যই তৈরি করা। শুধু খারাপ না বলে ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে ভবিষ্যতে আরও ভালো ‘হাওয়া’ তৈরি করুক সেই প্রত্যাশাই রইলো।


মন্তব্য করুন