৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা জলে, এবার বিদেশি সিনেমা বানাবেন কাজী মারুফ
গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় কাজী মারুফ অভিনীত ও প্রযোজিত ‘গ্রিন কার্ড’। পরিচালনায় ছিলেন কাজী হায়াৎ ও রওশন আরা নিপা। সিনেমাটি মাল্টিপ্লেক্সে মাত্র দুটি শো এবং টাঙ্গাইল ও সখীপুরে মিলনায়তন ভাড়া করে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে। তবে মুক্তির তিন দিনের মাথায় মাল্টিপ্লেক্স থেকে নেমে যায়।
মারুফের হিসাবমতে, ৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘গ্রিন কার্ড’ মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে থেকে লাখ টাকাও আসেনি। ওটিটি, টেলিভিশনে বিক্রির পরও এত বিনিয়োগ ওঠার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। অনেকটাই হতাশ চিত্রনায়ক মারুফ বলেন, ‘আর বাংলা ছবি নির্মাণ করব না। এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে বিদেশি সিনেমার বানানোর চেষ্টা করব।’
মুক্তির আগে আগে হল পাচ্ছিলেন না, তাহলে ঝুঁকি নিয়ে মুক্তি দিলেন কেন? এ ব্যাপারে মারুফ বলেন, ‘মাল্টিপ্লেক্সে যে কটা শো পেয়েছিলাম, বুঝিনি দর্শক হবে না। মাত্র ১০/১২ জন মিলে সিনেমা দেখলে তো প্রযোজকের পেট ভরবে না। এমন অবস্থা দেখে আমি নিজেই সিনেপ্লেক্সে ফোন করে আমার ছবি নামিয়ে দিতে বলেছি। কারণ, এমনিতেই মাল্টিপ্লেক্সে সিস্টেম জটিলতা আছে। আমার সিনেমার শোয়ের হলটি দর্শকে পরিপূর্ণ থাকলে কমিশন হিসাবে মাত্র ১৬ হাজার টাকা পাব আমি। প্রযোজকের সঙ্গে হলমালিকের টিকিটের টাকার ভাগাভাগির এই জটিলতা চলতে থাকলে, একটা সময় সিনেমা কেউ বানাবে না, সিনেমা থাকবে না।’
‘গ্রিনকার্ড’ কেন দর্শক দেখলেন না? এ ব্যাপারে মারুফের বক্তব্য, ‘সিনেমাটিকে স্মার্ট করতে গিয়ে এত স্মার্ট করে ফেলেছি যে আমার যারা সাধারণ ভক্ত-দর্শক ছিলেন, তারাও সিনেমা দেখতে যাননি, আবার স্মার্ট দর্শকেরাও যাননি সিনেমাটি দেখতে। তা ছাড়া মাল্টিপ্লেক্স টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। মধ্যবিত্তের পকেটে টাকা নেই। সিনেমা না দেখলে মানুষ অসুস্থ হবে না, কিন্তু ভাত না খেলে তো অসুস্থ হবে। তাই মানুষের পকেটে যে টাকা আছে, তা দিয়ে এখন আর সেভাবে সিনেমা দেখছেন না, জীবন বাঁচাতে খাবার কিনে খাচ্ছেন।’
অনেকটাই আক্ষেপ মারুফের। তিনি বলেন, ‘ছবিটা তো দর্শককে দেখানো গেল না। হল না থাকলে দেখাব কোথায়? তবে আমি মনে করি, এই ঈদে ওইভাবে কোনো ছবিই ভালো চলছে না। “রাজকুমার”ও কি ভালো চলছে? সব ছবি তো আর “প্রিয়তমা” হবে না। আর সব ছবি সব সময় সুপারহিট হয় না।’ খবর প্রথম আলো।