Select Page

ঈদুল আজহায়ও খুলছে না সিনেমা হল

ঈদুল আজহায়ও খুলছে না সিনেমা হল


প্রায় চার মাস ধরে সিনেমা হল বন্ধ। ঈদুল ফিতরে প্রদর্শক-প্রযোজকদের এক পক্ষ নতুন সিদ্ধান্ত চাইলেও সরকার গা করেনি। আবারও  করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিনেমা হল না খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা বলেন।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি এবং করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতার ফলে এ বিষয়ে আরেকটু ধীরে সুস্থে এগুনো ভালো হবে বলে মনে হয়। করোনার প্রকোপ যখন একেবারে কমে যাবে, তখন আমরা সিনেমা হল পুনরায় চালু করার বিষয়টি আবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি। বিপুল দর্শক থাকা সত্ত্বেও এখনও ভারতে সিনেমা হল খুলে দেয়া হয়নি, পাকিস্তানেও তাই।’ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আওলাদ হোসেন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পরপরই গত ১৯ মার্চ থেকে সিনেমা হলগুলো বন্ধ রয়েছে। সাধারণ ছুটির পর ধীরে ধীরে সবকিছু খুললেও সিনেমা হল বন্ধই রয়ে গেছে। তাই বড় পর্দায় নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। এই সময়ে হল মালিক ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা সকংটে আছেন।

চলচ্চিত্র শিল্প প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে যে শিল্পের যাত্রা শুরু সেই শিল্পের স্বর্ণালী যুগ ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এ শিল্পকে কীভাবে বাঁচান যায়, কীভাবে আগেগর অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, কীভাবে আমাদের দেশের বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক বাজারেও স্থান করে নিতে পারে, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সবসময় চিন্তা করেন, আমাকেও নানা নির্দেশনা দিয়েছেন, আমি তার সঙ্গে আলোচনাও করেছি।

এ সময় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী জানান, সিনেমা হলগুলোর বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে শিল্প হারে নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আর বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিনেমা হল আধুনিকায়ন ও নতুন করে চালু করার জন্য স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণের বিষয়ে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।


মন্তব্য করুন