Select Page

ব্ল্যাকমানির মাধ্যমে লাভবান হবেন যারা!

ব্ল্যাকমানির মাধ্যমে লাভবান হবেন যারা!

Black Money (2)ব্ল্যাকমানি ছবিটি এখন পর্যন্ত বেশ সফল। ব্যবসায়িকভাবে যেমন এটি সফলতা পাচ্ছে, তেমনি দর্শকও এই ছবিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। আশা করা যায়, ভালোভাবেই ছবিটি পুরো সপ্তাহ পার করবে এবং পরের সপ্তাহগুলোতেও এর সফলতা অব্যাহত থাকবে। যদিও সেটা কতটুকু সম্ভব সে ব্যাপারে সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ পরের চার সপ্তাহে পর পর চারটা বড় রিলিজ। তাই দ্বিতীয় সপ্তাহেই যে ব্ল্যাকমানির ব্যবসা অনেকটাই কমে যাবে, তা নিশ্চিত।

তবে পরের কথা পরে। এখন পর্যন্ত ব্ল্যাকমানি সফল। এখন কথা হল, এই সাফল্যে সবচেয়ে লাভবান হবেন কে? পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফির কথা প্রথমে আসে। ছবিটা মুক্তির আগে থেকেই নকল কাহিনীর জন্য সমালোচনার শিকার হয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সমালোচনার জোয়ার এখন অনেকটাই স্তিমিত। কারণ পরিচালনায় অভূতপূর্ব মুনশিয়ানার মাধ্যমে অধিকাংশের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। দর্শকমনে নিজের যে পজিটিভ ইমেজ প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি, তাতে তাঁর নিকট ভবিষ্যতও অনেকাংশে কন্টকমুক্ত হয়ে গেল। পরবর্তী ছবি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী ২ যে শিওর শট হিট হতে চলেছে তা আগেভাগেই বলে দেয়া যায়।

এরপর আসা যাক নায়ক সাইমনের ব্যাপারে। এই ছবি কি তাঁকে খুব বেশি কিছু দেবে? সংশয়ের জায়গা অনেক। কারণ এই ছবির প্রধান শক্তি এর কাহিনী। সিঙ্গেল নায়ক হওয়া সত্ত্বেও তাকে নায়কোচিত ক্যারিশমা খুব একটা দেখাতে হয়নি। তাই এই ছবি যে নায়ক হিসেবে তাঁকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে তা বলা যায় না। তবে তারপরও এই ছবি তাঁকে একেবারে হতাশও করবে না। এই ছবিতে তাঁর ন্যাচারাল অভিনয় অনেকের নজর কেড়েছে। পরিচালক তাঁর থেকে সম্ভাব্য সেরাটা না হলেও, প্রায় তার কাছাকাছিই বের করতে পেরেছেন। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা, পোড়ামন ও জ্বী হুজুরের পর লম্বা গ্যাপ বাদে আবারও সাইমনের একটা ছবি যা একই সাথে আলোচিত, প্রশংসিত এবং ব্যবসাসফলও (?) বটে। এই ছবি তাই সাইমনের ক্যারিয়ারেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা যায়। তাছাড়া সামনেই তাঁর আরেকটা বড় রিলিজ আছে – রানা প্লাজা। ওই ছবিতেও যদি তিনি নিজেকে সমানভাবে মেলে ধরতে পারেন, তাহলে সেটা তাঁকে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রধান নায়কদের তালিকায় নিয়ে আসতে পারে।

তবে ব্ল্যাকমানি ছবিটি সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ হয়ে ধরা দেবে কেয়ার কাছে। একটা সময় ছিল যখন তিনি ক্রমান্বয়ে পাপড়ি মেলতে শুরু করেছিলেন। সে ধারা অব্যহত থাকলে আজ অপু, মাহি, আঁচলদের সাথে হয়ত তাঁর নামও উচ্চারিত হত। কিন্ত্তু নিজের ব্যক্তিগত কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তাঁর পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল। কিন্তু কেয়ার জন্য সুখের বিষয়, তিনি ব্ল্যাকমানির মত একটা ছবি দিয়ে কামব্যাক করতে পারলেন। ছবিটা যেমন সফল, তেমনি নিজের জাত চেনাতে কেয়াও সফল। মিষ্টি চেহারার এই নায়িকা যেমন রূপে মুগ্ধ করেছেন সাধারণ দর্শকদের, তেমনি অভিনয় দিয়ে সমালোচকদেরও দেখিয়েছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আভাস। এখন তাঁর শুধু চাই ইন্ডাস্ট্রির নানা কালিমা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলে, বেছে বেছে মানসম্মত ছবিতে কাজ করা।

ব্ল্যাকমানিতে একমাত্র হতাশার নাম মৌসুমী হামিদ। এই ছবি বিতর্ক ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি তাঁকে। সেকেন্ড হিরোইন হিসেবে তিনি ব্যর্থ। দর্শকরা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করে নাই। কেন এই ব্যর্থতা, তা নিশ্চয়ই মৌসুমী নিজেও জানেন। তাই তাঁর প্রতি পরামর্শ থাকবে, হতাশ হবেন না। আপনার হাতে এখনো অনেক ছবি আছে। দ্রুত নিজের খামতিগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করলে সফলতা আসবেই।


Leave a reply