প্রিভিউ : যৌথ প্রযোজনা ও দর্শক আকর্ষণ
যৌথ প্রযোজনা! এখানেও শাকিব খান, তবে এই শাকিব এবার যেন অন্য কোনো শাকিব। ‘শিকারী’র টিজার, ট্রেলার, গান, শাকিবের লুক নিয়ে যেই পরিমাণ আলোচনা আর প্রশংসা হচ্ছে গত কয়েকদিনে, সেটা অভূতপূর্ব। গানের ভিউ থেকে শুরু করে ওপারের শিল্পীদের প্রশংসা- সবই পাচ্ছেন শাকিব।
এতটাই শুকিয়েছেন যে কো-স্টার শ্রাবন্তীকে উল্টো শাকিবের পাশে বেশ মোটা লাগছে বলে মন্তব্য অনেকের! ‘হারাব তোকে’, ‘উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে হবে’- দুটি গানই শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। এছাড়া ‘সব খেল খতম’ ও ‘আমাকে ধরার সাধ্য সমগ্র ভারতের পুলিশের নেই’- এই ধরনের সংলাপে পুরো সিনেমাহলে যে তালি আর শিষের বন্যা বয়ে যাবে, সেই ব্যাপারে সন্দেহ নেই কোনো।
সর্বশেষ সিনেমা ‘বাদশা দ্য ডন’। মূল চরিত্রে আছেন জিৎ ও নুসরাত ফারিয়া। ট্রেলার নিয়ে খুব একটা মাতামাতি না হলেও, ঈদে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাতে ঈদ নিয়ে একটি গান রয়েছে, যেটি সকলের নজর কেড়েছে। তবে এই সিনেমার ট্রেলারের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে নুসরাত ফারিয়ার গ্লামারাস উপস্থিতি।
‘সম্রাট’ বাদে বাকি তিনটি সিনেমাই সাউথের রিমেক। যদিও ‘শিকারী’ আর ‘বাদশা’ অফিশিয়াল রিমেক, কিন্তু ‘রানা পাগলা দ্য মেন্টাল’ অফিশিয়ালি রিমেক নয়। তবে যারা মোটামুটি সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমা সম্পর্কে জানেন, তারা ট্রেলার দেখলেই বুঝে যাবেন এটি কান্নাড়া সিনেমা ‘বচ্চন’ থেকে অনুপ্রাণিত (কপি বললে খারাপ শুনায়!)।
তবে রিমেক জানা সত্ত্বেও শাকিবের ভক্তরা আর যারা এতদিন ভক্ত ছিলেন না, ‘শিকারী’ যে দেখবেন— সেই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। শুধু শাকিবকে দেখার জন্য ‘শিকারী’র সিনেমা দেখবেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
এক ঈদে একজন মানুষের তিনটি সিনেমা রিলিজ পাওয়া তার স্টার পাওয়ার চাহিদার দিকে বেশ ভালভাবেই ইঙ্গিত করে, জি হ্যাঁ, তিনি শাকিব খান। এই প্রথম না শুধু, ২০১৪ এর কুরবানি ঈদেও তার তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। যদিও এত বড় বাজেটের সব সিনেমা একসাথে রিলিজ পেলে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক, তবে যেই পরিমাণ বড় বাজেটের সিনেমা, তাতে ঈদ ছাড়া অন্য সময় রিলিজ দিলেও এদের ব্যবসার অবস্থা যে আরও খারাপ হবে এই ব্যাপার সন্দেহ নেই। ব্যবসার বাকি হিসেবে নিকেশ সময় বলে দিবে।
ঈদ উপলক্ষে নতুন করে আরও অনেকগুলো হল মেরামত করা হয়েছে, পুরনো অনেক হল আবার চালু হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ হলে সিনেমা চলবে এবার। এই ৩৫০ সিনেমা যদি শুধু ঈদের সময় চালু না থেকে বছরের অন্য সময়ও চালু থাকতো, তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসতো।
তবে এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই, এইবারের ঈদে শাকিবময় হতে যাচ্ছে। আর শাকিবের জয় মানেই বাংলা সিনেমার জয়।
আগের পর্ব : শুনি ‘সম্রাট’ ও ‘মেন্টাল’র গল্প