Support Good Films, Save Dhallywood
পদ্ম পাতার জল: দুর্দান্ত কাহিনী, অসাধারন নির্মান, অনেক দিন মনে রাখার মতো সিনেমা৷
ফলাফল: ঈদের সর্বনিম্ন হল পাওয়া সিনেমা এটি, ঢাকার নির্দিষ্ঠ কিছু সিনেমা হল ছাড়া অন্যান্য জায়গায় আশানুরুপ দর্শক নেই!!!
অগ্নি ২: দুর্বল গল্প, ভালো নির্মান, বিনোদনমূলক সিনেমা৷
ফলাফল: শতাধিক হল পেলেও৷ ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত আরেকটি সিনেমার তুলনায় কম হল পেয়েছে এবং কম ব্যাবসা করেছে!!!
লাভ ম্যারেজ: গতানুগতিক বস্তাপচা কাহিনী, যাচ্ছেতাই নির্মান, বস্তাপচা সবার দেখার অনুপযোগী সিনেমা!!!
ফলাফল: ঈদের সর্বাধিক রেকর্ড সংখ্য হল প্রাপ্ত সবচেয়ে ভালো ব্যাবসা করা সিনেমা৷
জাতির কাছে আমার প্রশ্ন এরকম হলে একজন প্রযোজক কেন মানসম্মত মুভি তৈরী করবে? এবং কেন বস্তাপচা ছিনেমা তৈরি করবে না?
একটা সিনেমা তৈরী তো কোটি টাকার ব্যাপার স্যাপার৷ একজন প্রযোজক কেন ভালো সিনেমা তৈরি করতে গিয়ে কোটি টাকা অপচয় করবে?
আমার মতামত: শেষের সিনেমাটির সাফল্যের রহস্য হলো নিম্নশ্রেণীর রুচিহীন দর্শকদের ব্যাপক সাড়া৷ মূল কথা হলো আমরা যতই নিম্নশ্রনীর রুচিহীন দর্শকদের হেয় করি না কেন, সত্যটা হলো তারা আছে বলেই বাংলাদেশী সিনেমা বলে কিছু একটা আজও টিকে আছে!!! আশঙ্কার ব্যাপার হলো আস্তে আস্তে এদের সংখ্যও কমছে!!! রুচিশীল দর্শকদের বড় একটা অংশ ২০০১ এর আগেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল! তবুও গত ১৫ বছর হল গুলো টিকে ছিল এসব দর্শকদের ওপর নির্ভর করে!
আস্তে আস্তে হল গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানে এদের সংখ্যও দিনে দিনে কমছে! আর ঢালিউড ইন্ড্রাস্ট্রী বন্ধ হওয়ার খুব বেশীদিন দেরীও নেই৷
একটা অনুরোধ: রুচিশীল দর্শকদের বলছি, আমাদের চাহিদা ছিলো মানসম্মত ও রুচিশীল সিনেমা৷ আর ইদানীং তা পূরণ হচ্ছে! তাহলে মানসম্মত সিনেমা গুলো দেখতে সিনেমা হলে আসতে এতো অনীহা, সংকোচ কেন? আসুন সিনেমা হলে গেলেই খারাপ ও নিচু শ্রেণীর মানুষ হয়ে যাব এমন হুজুগ থেকে বেরিয়ে আসি৷ অন্তত মানসম্মত সিনেমা গুলো সিনেমা হলে গিয়ে উপভোগ করে এ ধরনের আরও সিনেমা নির্মানকে উৎসাহিত করি৷ আমরা ফিরে আসলে বংলা সিনেমার চেহারাই পাল্টে যাবে৷ শুধুমাত্র আমরাই রক্ষা করতে পারব আমাদের সিনেমাকে ধ্বংশের হাত থেকে৷
#SupportGoodFilms
#SaveDhallywood