Select Page

অজ্ঞতা ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার ‘সুপার হিরো’

অজ্ঞতা ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার ‘সুপার হিরো’

শাকিব খানের ক্যারিয়ারে নতুন পালক যোগ করার মতো সিনেমা ‘সুপার হিরো’। এমনটা ভাবছেন অনেকেই। কিন্তু নানা কারণে পরিচালক আশিকুর রহমানের সঙ্গে শাকিবের ব্যাটে-বলে মিলছে না।

তার প্রথম শিকার ‘অপারেশন অগ্নিপথ’। দেশিয় ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তার মাসুল গুণতে হয়েছে আশিকুরের বড় মাপের প্রজেক্টটির।

‘সুপার হিরো’তে এসে সব যেন ঠিকঠাক মতো চলছিল। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হার্টবিট প্রডাকশনের রয়েছে ত্রিশ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা। তারা কি-না ভুল করে বসলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং করলেন সিনেমাটির। পরে প্রযোজক তাপসী ঠাকুর বলছিলেন, অনুমতির বিষয়টি তার জানা ছিল না। বিষয়টি মানতে কষ্ট হয়। কারণ, তার আগে সিনেমা ‘মনে রেখো’য় বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে অনুমতি ছাড়া কাজ করায় ঝামেলায় পড়েছিলেন। তা কি উনার জানা ছিল না নাকি অনিয়মকে এ দেশের ছলে-বলে নিয়ম করা যায়- তাই ভেবেছিলেন।

এর জন্য ‘সুপার হিরো’র পরিচালক ফিল্ম পলিটিকসকে দায়ি করলেও অনিয়মের বিষয়টিও স্বীকার করে নিতে হবে আগে।

আর এর দায় নিতে হবে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে। কারণে ঈদের মওসুমেই ঢালিউডে যা কিছু ব্যবসা হয়। যদি সুনির্মিত সিনেমা মুক্তি না দেওয়া যায়— তার ফল হবে গত ঈদুল আজহার মতোই।

এই তো গেল নিয়ম নিয়ে অনিয়ম বা অজ্ঞতার বিষয়। এরপর ঘটল দৈব দুর্ঘটনা। এর জন্য কাকে দায়ি করা যাবে?

তুমুল আলোচনা তোলা ‘সুপার হিরো’র টিজার হঠাৎই ইউটিউব থেকে উধাও হয়ে যায়। সমস্যা কপি রাইটসগত। জানা গেল, এতে সিনেমাটির নির্মাতাদের কোনো সমস্যা ছিল না। বরং এ ভিডিও নিয়ে একাত্তর টিভির তৈরি করা একটি প্রতিবেদন আপ করা হয় ইউটিউবে। সেখান থেকে অটো ক্লেইম হয় কপি রাইটসের। এ যেন মরার উপর থড়ার ঘা। যদিও চ্যানেলটি বলছে তারা ঝামেলাটি মিটিয়ে দেবেন। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন আশিকুর রহমান।

এ দিকে প্রযোজকের দুঃখ প্রকাশের চিঠির কোনো উত্তর তথ্য মন্ত্রণালয় কেন দিচ্ছে না— এটা রহস্যময় ব্যাপার। ঈদের বাকি আছে ১৪ দিন। শুটিং শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগে। এর মধ্যে সিনেমাটি অনুমতি, সেন্সর শেষে পর্দায় পৌঁছবে কি-না তা-ই ভাবছেন দর্শকরা।


মন্তব্য করুন