Select Page

অনন্য মামুন/ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাংলায় নয় ‘পুষ্পা টু’!

অনন্য মামুন/ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাংলায় নয় ‘পুষ্পা টু’!

২০২১ সালে তেলুগুর পাশাপাশি তামিল, মালয়ালাম, কন্নড় ও হিন্দিতে মুক্তি পেয়েছিল সুকুমার পরিচালিত সর্বভারতীয় ছবি ‘পুষ্পা—রাইজ’।  আল্লু অর্জুন অভিনীত সিনেমাটির পরের কিস্তি ‘পুষ্পা টু: দ্য রুল’ আগামী ১৫ আগস্ট বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে। এবার ভাষাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাও। সেই ছবি ভারতের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অনন্য মামুন এরই মধ্যে ছবিটির ভারতীয় পরিবেশকের সঙ্গে আলোচনাও সেরে রেখেছেন। তবে বাংলায় নয়, হিন্দিতেই মুক্তি দেবেন বাংলাদেশে। কারণ বিদেশি ছবি আমদানি নীতিমালায় রয়েছে, কোনো ছবির বাংলা ডাবিং বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া যাবে না। অনন্য মামুন বলেন, “আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ‘পুষ্পা টু’ ভারতে বাংলায় মুক্তি পেলেও এখানে আমরা হিন্দি ভার্সনই মুক্তি দেব। এখন প্যান ইন্ডিয়ান অনেক ছবিই বাংলায় ডাবিং হচ্ছে। কিন্তু আমরা কখনোই হিন্দি ছাড়া বাংলা ডাবিংয়ে মুক্তি দেবে না।”

মামুন আরো বলেন, “আমদানিকারক হিসেবে এই আইনের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারতাম, তবে করব না। এতে আমাদের দেশি ছবির ক্ষতি হতে পারে। দক্ষিণের একেকটা ছবির বাজেট আকাশছোঁয়া। তাদের সঙ্গে আমাদের ছবির প্রতিযোগিতা করতে সময় লাগবে। এখনই যদি বাংলা ডাবিংয়ে ‘পুষ্পা ২’-এর মতো ছবি মুক্তি পায় তাহলে তো দর্শক আমাদের ছবির চেয়ে ওই ছবিগুলোর দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়বে। সিনেমার মানুষ হয়ে এই ক্ষতি করতে পারি না আমি।”

শুধু যে দেশি ছবির কথা ভেবে মামুন বাংলা ভার্সন মুক্তি দিতে চান না তা কিন্তু নয়। মামুন বলেন, “অনেক বিদেশি সিরিজ এখন বাংলা ডাবিংয়ে পাওয়া যায়। সেগুলোর প্রতি মানুষের খুব একটা আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। আসলে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ যদি বাংলা ভার্সনে মুক্তি পেত, দেখে কি মজা পেত দর্শক? আমাদের দেশের বেশির ভাগ দর্শক হিন্দিটা বোঝে।”

এদিকে ৩১ মে সারা মুক্তি পেতে যাচ্ছে ভারতীয় ছবি ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’। একই দিনে বাংলাদেশেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি, নিশ্চিত করেছেন অনন্য মানুন। এরই মধ্যে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তিনি।  

গত বছর থেকে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ভারতীয় ছবি, এর পেছনে অনন্য মামুনের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। ওই সময় বছরে ১০টি ভারতীয় ছবি আমদানির অনুমতি দিয়েছে তথ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ‘পাঠান’ দিয়ে শুরু, তারপর একে একে মুক্তি পেয়েছে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’, ‘জওয়ান’, ‘এনিম্যাল’, ‘ডাঙ্কি’ ও ‘ক্রু’।  খবর কালের কণ্ঠ।


মন্তব্য করুন