Select Page

আমার ‘ইভটিজিং’ দর্শন

আমার ‘ইভটিজিং’ দর্শন

শিরোনাম দেখে যারা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন যে আমি কোন প্রত্যক্ষ “ইভটিজিং” ঘটনার বর্ণনা দিব, তাঁদেরকে জানাচ্ছি, এটি সেই ধরনের কোন লেখা নয়। দুইদিন আগে বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত পরিচালক কাজী হায়াতের পরিচালিত ছবি “ইভটিজিং” হলে গিয়ে দেখে এলাম, এই লেখাটি সেই ছবি সম্পর্কে।

মারুফ অভিনয়ে যতটা ভাল, নাচে ততটা নন। প্রায় নাচের দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে তাকে জোর করে নাচানো হচ্ছে, অর্থাৎ বলে চাচ্ছি যে তিনি স্বতঃস্ফূর্ত নন। উল্টোদিকে তমা মীর্জা একদম বিপরীত। নাচে, অভিনয়ে তিনি দারুণ স্বতঃস্ফূর্ত!

ইভটিজিং বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা। কয়েকমাস আগেও পত্রিকার পাতা খুললেই নারী নির্যাতনের ভয়াবহ একেকটা সংবাদ দেখা যেত। ইদানীং সেই ধরনের সংবাদ পত্রিকার পাতায় আসা অনেকাংশে কমে গেলেও সেই ধরনের ঘটনা সারা দেশে বিশেষ করে আমাদের গ্রামাঞ্চলে আসলেই কমে গিয়েছে কিনা সেটা গবেষণার ব্যাপার, কারণ পত্রিকার পাতায় তো আর সবসময় সব কিছু আসে না।

তো এই সামাজিক সমস্যা এর উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে এর আগে কোন ছবি তৈরি হয় নি, অন্তত তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নাই। বাংলাদেশের যেই গুটিকয়েক পরিচালক সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে অসাধারণ মানের ছবি তৈরি করে থাকেন, তার মাঝে কাজী হায়াত সবসময়ই প্রথম দিকে থাকবেন, তিনি সেই ধরনের পরিচালক যার সৃষ্টির উপর ভরসা রাখা যায়, কারণ তিনি “ইতিহাস”, “দাঙ্গা”, “দেশপ্রেমিক” এর মত এক একটা মাস্টারপিস তৈরি করেছেন। সেই ভরসাতেই চলে গেলাম হলে তার এই ছবি দেখতে, এবং সত্যি বলছি- তিনি আমাকে আর বাকি দর্শকদের নিরাশ করেন নি।

ছবির নাম: ইভটিজিং ; পরিচালক: কাজী হায়াৎ ; অভিনয়: কাজী মারুফ, তমা মীর্জা, কাবিলা, মিজু আহমেদ প্রমুখ

কাহিনী সংক্ষেপ: কাসেম (কাজী মারুফ) এর পেশা হল মরা টানা অর্থাৎ সে মৃত মানুষের লাশ টেনে নিয়ে যায় মর্গে। মা আর ছোট বোনকে নিয়ে কাসেমের ছোট্ট সুখের সংসার। কাসেমের খুব ইচ্ছা তার ছোট বোন পড়ালেখা শেষ করে অনেক বড় হবে, বোনকে এজন্য স্কুলে পাঠায় সে। মরা টানার পাশাপাশি কাসেম লাঠি খেলায় আর তলোয়ার খেলায় বেশ পারদর্শী। গ্রামে আয়োজিত লাঠি ও তলোয়ার খেলায় সে সবসময়ই বিজয়ী হয়ে পুরষ্কার নিয়ে আসে। একবার চেয়ারম্যান এর ছেলের বন্ধুকে সে লাঠি খেলায় হারিয়ে দেয়। রাগান্বিত হয়ে চেয়ারম্যান এর ছেলে কাসেমের সাথে তলোয়ার খেলার কথা বলে, কাসেম তাকেও হারিয়ে দেয়। প্রতিশোধের আগুন চেয়ারম্যান এর ছেলের বুকে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে। সেই প্রতিহিংসার স্বীকার হয় কাসেমের ছোট বোন হোসনে আরা। তাকে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় টিজ করতে থাকে চেয়ারম্যান এর ছেলে এবং শেষমেশ সে ও তার বন্ধুরা মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। এরপরে কাসেমের বোনের আত্মহত্যা আর কাসেমের প্রতিশোধ গ্রহণের মাধ্যমে সিনেমা শেষ হয়।

ছবির ভাল দিক: অভিনয়ের কথা বলতে গেলে সবাই বেশ ভাল করেছেন। কাজী মারুফ অন্যদের ছবিতে যেমনই করুন, নিজের বাবার পরিচালিত ছবিতে সব সময়ই ভাল করে থাকেন, এই ছবিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি বেশ ভাল করেছেন অভিনয়ে, বিশেষ করে ছবির দ্বিতীয় অংশে। মারুফের ছোট বোনের চরিত্রে মারিয়া চৌধুরী বেশ ভাল, তার চেহারায় একটা অন্যরকম নিষ্পাপ ভাব আছে যা যে কাওকে তার প্রতি মায়া জাগিয়ে তুলবে। নায়িকা চরিত্রে তমা মীর্জা অনেক বেশি ভাল করেছেন, আমি এর আগে তার কোন ছবি দেখিনি, এই প্রথম দেখেই মুগ্ধ হলাম, তার চেহারায় শাবনূর এর ছাপ আছে একটা, এক্সপ্রেশন ও বেশ ভাল। তবে সবচেয়ে অবাক করেছেন কাবিলা! ছোট্ট একটা চরিত্র কিন্তু দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন! তাকে আমার কখনই খুব বেশি ভাল লাগত না, কিন্তু এই ছবিতে তাকে দেখে আমি একদম হা হয়ে গেছি! আসলে ভাল পরিচালকের হাতে পড়লে যে কারো ভেতর থেকে যে অভিনয় বের করে আনা সম্ভব- এটি আবারও প্রমাণিত চেয়ারম্যান চরিত্রে মিজু আহমেদ মোটামুটি, তার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করা ছেলেটিও মোটামুটি ছোট্ট চরিত্রে কাজী হায়াতও উতরে গেছেন।

ছবিতে অনেকগুলো গান রয়েছে, বাংলা ছবিতে গান সাধারণত খুব কমই ভাল হয়, দর্শকও অপেক্ষা করেন সাধারণত কখন গান শেষ হবে! তবে এটা মনে আমার দেখা একমাত্র বাংলা ছবি যার প্রত্যেকটা গান, জি হ্যাঁ, প্রত্যেকটা গান আমার ভাল্লাগেছে! আর ডিজিটাল প্রেক্ষাগৃহের ঝকঝকে পর্দা গানগুলোতে এক অন্যরকম মাত্রা এনে দিয়েছিল! গানগুলো প্রত্যেকটা ফোক ধাঁচের, কিন্তু প্রত্যেকটা গান হৃদয় ছুঁয়ে গেছে আমার মত “নাগরিক” মানুষকেও গানের চিত্রায়ন অসাধারণ! শুধুমাত্র সরিষা ক্ষেতে চিত্রায়ন করে এত সুন্দর একটা গান চিত্রায়ন করা যায় তা “সই গো সই, মনের কথা কথা কই, সত্যি কথা কইতে গেলে নষ্ট হইব দই” না শুনলে বুঝতে পারতাম না। ছবির প্রত্যেকটা গান সুন্দর।

ইভটিজিং সমস্যার ক্ষেত্রে একটা মোবাইল ফোন থাকলে যে কতটা উপকার হতে পারত বা মোবাইলের ফোনের প্রয়োজনীয়তা ভালভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

পুলিশ যে শুধু ঘুষ খাওয়ার জন্য জন্ম নেয় নি এবং পুলিশ যে জনসাধারণের বেশ ভাল বন্ধু হতে পারে তা বেশ ভালভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। অন্য খুব কম ছবিতেই পুলিশকে এমন ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। দৃশ্যগুলো এতটাই ইতিবাচক হয়েছে যে হলের দর্শক কিছুক্ষণ পরপর তালি দিয়ে উঠছিল।

এটি একটি গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের ছবি, এটি পরিচালক শুধু মুখে বলেন নি, কাজের মাধ্যমেও তুলে ধরেছেন। গ্রাম জিনিসটাকে খুব সুন্দরভাবে ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে, আমাদের ঐতিহ্য- লাঠি আর তলোয়ার খেলা খুব সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে। খেলার তালে তালে গান আর নৃত্য খেলায় অন্য মাত্রা যোগ করেছে। খেলার সময় মারুফ তার পদযুগল সামনে আবার পিছনে এনে এক অদ্ভুত নৃত্য করেন- এই নৃত্যের ধরণটা খুব পরিচিত লাগছিল, ভাবছিলাম কোথাও আগে দেখেছি, মারুফ কি এটা কারো থেকে নকল করলেন কিনা! পরে মনে আসলো হঠাৎ করে, নকল করেছেন, কিন্তু নিজের কাছ থেকেই! মারুফের করা “অন্য মানুষ” ছবিতে তিনি হুবুহু এরকম একটা নাচের স্টেপ দেন।

খুব ছোটছোট কিছু সংলাপের মাধ্যমে পরিচালক অনেক অসাধারণ কিছু ম্যাসেজ দর্শকদের দিয়েছেন। নিজেদের বাড়িতে হোলি খেলার অনুষ্ঠানে কাবিলা যখন কাসেমকে আমন্ত্রণ জানায়, আর কাসেম যখন বলে ” আমি তোর বাড়ির অনুষ্ঠানে গেলে তোর জাত যাবে না?” তখন প্রত্যুত্তরে কাবিলা বলে ” জাত পাত আবার কিরে? তুইও মানুষ, আমিও মানুষ- আমরা সবাই এক জাত!” আবার চেয়ারম্যান যখন মনি ডাক্তার (কাজী হায়াত) কে বলেন তার সব আত্মীয়স্বজন দেশ ছেড়ে ইন্ডিয়া চলে গেলেও তিনি এনো যাচ্ছেন না, তখন কাজী হায়াত বলে- এটা যতটুকু আমার জন্মভুমি, ততটুকুই আপনার, আমার দেশ ছেড়ে আমি কোথায় যাবো? বাংলাদেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবাই মিলে সুখে বাস করার জন্য একটি উপযুক্ত দেশ —এরকম ছোটখাটো জিনিস বেশ ভাল্লাগেছে।

ছবির দুর্বলতা: মারুফ অভিনয়ে যতটা ভাল, নাচে ততটা নন। প্রায় নাচের দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে তাকে জোর করে নাচানো হচ্ছে, অর্থাৎ বলে চাচ্ছি যে তিনি স্বতঃস্ফূর্ত নন। উল্টোদিকে তমা মীর্জা একদম বিপরীত। নাচে, অভিনয়ে তিনি দারুণ স্বতঃস্ফূর্ত! তার পক্ষে ভবিষ্যতে বেশ ভাল করা সম্ভব, তার জন্য শুভকামনা 🙂

মারুফের সাথে যেদিন চেয়ারম্যান এর ছেলের তলোয়ার যুদ্ধ হয়, সেদিন মারুফ তার বাঁ হাতে তলোয়ারের একটা আঘাত পান। অথচ সেদিন সন্ধায় তিনি যখন কাজী হায়াতের কাছে যান, সেই হাতের আঘাত জাস্ট উধাও! কি ওষুধ দিতে তিনি এত তাড়াতাড়ি ঘা ভেনিশ করে দিলেন- আল্লাহ্‌ মালুম!

মারামারি আরেকটু বেশি দেখালে ভাল্লাগত। শেষের মারামারিটা আরও দারুণ করা যেতে পারত।

চেয়ারম্যান,তার ছেলে ও বন্ধুদের খুন করার পর কাসেম যখন জেলে যায়, আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করে বেরিয়ে আসে, তখন কারাগারের পুলিশের কাছে সে যখন বলে ” অনেকদিন তো জেলের ভিতরে ছিলাম, এবার বাইরের দুনিয়াটা একটু দেখতে ইচ্ছা করে। শুন্সি, বাইরের দুনিয়া নাকি এখন অনেক উন্নত হইসে, মাটির নীচ দিয়া ট্রেন চলে, দুইটা পদ্মা সেতু হইসে (কস কি মমিন!), আরও কত কি হইসে!” এই জিনিসটা আমার একেবারেই ভাল্লাগে নাই! হলের দর্শকদের মাঝেও একজন চিৎকার করে বলছিল- আরে ব্যাটা! একটা পদ্মা সেতু হতে নিয়াই কত কাহিনী, আর তুই কস দুইটা পদ্মা সেতু! জেলে কি খালি গাঞ্জা খাইসিস নাকি?! প্রশংসা এক জিনিস, আর তৈলমর্দন বা তোষামোদ আরেক জিনিস! অন্তত কাজী হায়াতের কাছ থেকে এমনটা আশা করি নাই, সবচেয়ে বড় কথা হল,এই সংলাপের কোন দরকারই ছিল না!

চেয়ারম্যান এর ছেলের চরিত্রটাকে আরও ভালভাবে উপস্থাপন করা দরকার ছিল।

বাংলাদেশের মেকাপম্যান দের হালকা সমস্যা আছে! এরা শাকিবরে পাইলে যেমন ইচ্ছামতো ঠোঁটে লিপস্টিক মাখায় দেয়, তেমনি মারুফরেও ইচ্ছামতো মেকাপ দিসে, আর মারুফ বেশিরভাগ সিনে ক্লিনশেভড থাকায় তা দেখতে দৃষ্টিকটু লেগেছে। মারুফের যদি একটু চাপদাড়ি থাকতো তাইলে তাকে বেশ মানাত, যেমনটা ছিল তার “অন্য মানুষ” ছবিতে।

সব মিলিয়ে, ছোটখাটো ত্রুটির কথা বাদ দিলে, এটি ১০ এ ৭ পাওয়ার মত ছবি। কাজী হায়াত দর্শকদের কাঁদাতে পেরেছেন, কাজী মারুফ পেরেছেন, এখানেই তাঁদের সার্থকতা আর দেরি না করে দয়া করে প্লিজ হলে যেয়ে ছবিটি দেখে আসুন, আমার ৫০ টাকা উশুল হয়েছে, আশা করি আপনারটাও হবে।

তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি যেই বিষয়টা দেখে তা হল- এত অসাধারণ একটা ছবি নিয়ে কোন প্রচারণাই হয় নাই! আরে ভাই, আপন যে একটা ভাল মুভি বানাইসেন এটা যদি মানুষ নাই জানে তাইলে ক্যামনে কি? মানুষ তাইলে কেন ছবি দেখতে আসবে? তারা তো জানবেই না! প্রচারের জন্য চেন্নাই এক্সপ্রেস ৪০০ কোটির উপরে ব্যবসা করে আর প্রচারের অভাবে এমন ভালমুভি লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়- এর চেয়ে আফসোসের বিষয় আর কি হতে পারে?

অফ টপিক: বিরতির সময় কিং খান শাকিন খানের ঢাকা টু বম্বে ছবির ট্রেইলার দেখানো হয়েছিল, আমার জীবনে এমন জঘন্য ট্রেইলার খুব কম দেখেছি! পৃথিবীর আর কোথাও কোন ছবির ট্রেইলার ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের হয় কিনা তা আমার জানা নাই। আমরা ভারতীয় ছবি আনার বিপক্ষে কথা বলছি, আর শাকিব দেখছি এই ছবিতে সমানে হিন্দি বলেই যাচ্ছেন, আর যেই ছিরি তার সেই হিন্দির “কারুঙ্গা, মারুঙ্গা!” , নায়িকা সাহারা পারলে পুরা মেকআপের বক্স নিজের শরীরে মাখিয়ে নিজেকে ভূত বানিয়ে ফেলেন! ভালোবাসা আজকাল এর পর এত নিম্নমানের ছবি শাকিব কেন করেন আমি তা কিছুতেই বুঝতে পারি না! তার ইমেজটা যখনই একটু ভাল হওয়া শুরু করে, তখনই তিনি আবার আবর্জনা টাইপ কাজ করা শুরু করেন! অথচ মারুফের থেকে তিনি কোন অংশে কম জনপ্রিয় নন! মারুফ যদি এত সুন্দর কাজ করতে পারেন, তাইলে শাকিবের সমস্যাটা কোথায়? তিনি তো আমাদের সবেধন নীলমণি, তিনি যদি না বুঝেন তাইলে আর কে বুঝবে? আমার এই লেখা তার পড়ার কোন সম্ভাবনা নাই, তার কোন ভক্ত যদি এই লেখা পরে শাকিব এর কানে এই কথাগুলো পৌছাইতে পারেন তাইলে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব! শাকিব, মারুফ সবাই বেছে বেছে ভাল ছবি করুক, নিজেদের পরিবর্তন করুক, সবাইকে শুভকামনা! বাংলা সিনেমার জয় হোক!


About The Author

অভিনেতা, শিক্ষক, লেখক ও উদ্যোক্তা

২ Comments

  1. জুবায়েদ দ্বীপ

    অফ টপিকঃ বিরতির সময় কিং খান শাকিন খানের ঢাকা টু বম্বে ছবির ট্রেইলার দেখানো হয়েছিল, আমার জীবনে এমন জঘন্য ট্রেইলার খুব কম দেখেছি! পৃথিবীর আর কোথাও কোন ছবির ট্রেইলার ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের হয় কিনা তা আমার জানা নাই। আমরা ভারতীয় ছবি আনার বিপক্ষে কথা বলছি, আর শাকিব দেখছি এই ছবিতে সমানে হিন্দি বলেই যাচ্ছেন, আর যেই ছিরি তার সেই হিন্দির “কারুঙ্গা, মারুঙ্গা!” , নায়িকা সাহারা পারলে পুরা মেকআপের বক্স নিজের শরীরে মাখিয়ে নিজেকে ভূত বানিয়ে ফেলেন! ভালোবাসা আজকাল এর পর এত নিম্নমানের ছবি শাকিব কেন করেন আমি তা কিছুতেই বুঝতে পারি না! তার ইমেজটা যখনই একটু ভাল হওয়া শুরু করে, তখনই তিনি আবার আবর্জনা টাইপ কাজ করা শুরু করেন! অথচ মারুফের থেকে তিনি কোন অংশে কম জনপ্রিয় নন! মারুফ যদি এত সুন্দর কাজ করতে পারেন, তাইলে শাকিবের সমস্যাটা কোথায়? তিনি তো আমাদের সবেধন নীলমণি, তিনি যদি না বুঝেন তাইলে আর কে বুঝবে? আমার এই লেখা তার পড়ার কোন সম্ভাবনা নাই, তার কোন ভক্ত যদি এই লেখা পরে শাকিব এর কানে এই কথাগুলো পৌছাইতে পারেন তাইলে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব! শাকিব, মারুফ সবাই বেছে বেছে ভাল ছবি করুক, নিজেদের পরিবর্তন করুক, সবাইকে শুভকামনা! বাংলা সিনেমার জয় হোক!

    হাহ হাহ

  2. Koyes Ahmed

    Manna morar por cinema chere deasilam. Bt kazi maruf er jonne again suru korlam. Bd te amar akon sudu maruf er cinema valo lage. Hazar bestotar maje o maruf er cinema dkte hole jai. Bt maruf er cinema kub kom hocce. Ami er tibro ninda janai

Leave a reply