Select Page

আর হাসবেন না দিতি

আর হাসবেন না দিতি

ditiদীর্ঘ রোগভোগের পর মারা গেছেন চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার বিকেল ৪টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এই অভিনেত্রী।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের চিফ কমিউনিকেশনস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট শাগুফা আনোয়ার। দিতি দীর্ঘদিন ধরে নিউরোসার্জারি পরামর্শক সৈয়দ সায়ীদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মস্তিষ্কে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় গত বছরের ২৫ জুলাই থেকে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দিতি। মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত বছরের নভেম্বরে আবারও একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৮ জানুয়ারি এ অভিনেত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফেরার পরপরই তাঁকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে।

দিতির পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় গুলশানের বাসায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৮৪ সালে ৱচলচ্চিত্রে নাম লেখান হাস্যময়ী নায়িকা দিতি। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমিই ওস্তাদ।’ ছবিটি পরিচলনা করেন আজমল হুদা মিঠু। এরপর দিতিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে অভিনয় করেছেন দুই শতাধিক ছবিতে। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে দিতি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয় করেই দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

দিতি অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- হীরামতি, দুই জীবন, ভাই বন্ধু, উছিলা, লেডি ইন্সপেক্টর, খুনের বদলা, আজকের হাঙ্গামা, স্নেহের প্রতিদান, শেষ উপহার, চরম আঘাত, স্বামী-স্ত্রী, অপরাধী, কালিয়া, কাল সকালে, মেঘের কোলে রোদ, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা, মুক্তি, কঠিন প্রতিশোধ, জোনাকির আলো, তবুও ভালোবাসি, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী, হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ, মাটির ঠিকানা, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, দূর্জয়, চার সতীনের ঘর।

ব্যক্তিগত জীবনে দিতি দুই সন্তানের জননী— মেয়ে লামিয়া চৌধুরী ও ছেলে শাফায়েত চৌধুরী দীপ্ত।

 


মন্তব্য করুন