আশির দশকের তারকা নাসরীন
নাসরীন..
নাম শোনার পর অনেকে চট করে দিলদার, কাবিলা-র নায়িকা নাসরিনের কথা মনে করবে। কিন্তু না এ হচ্ছে নায়িকা নাসরীন।
নাসরীন আশির দশকে আসা নায়িকা। বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পত্রিকা ‘চিত্রালী’-তে তাকে নিয়ে কভার স্টোরি হয়েছিল যার শিরোনাম ছিল ‘কিশোরী সুইটি নাসরিন।’ ঐ সময়ের তুলনায় আধুনিক নায়িকা ছিল।
নাসরীনকে বলা হত ‘জসিমের নায়িকা।’ তার অভিনীত মোট ১১টি ছবির মধ্যে জসিমের বিপরীতে বেশি ছবিতে দেখা গেছে। জসিমের প্রথম স্ত্রী সুচরিতার সাথে ডিভোর্সের পর নাসরীনের সাথে প্রেম ও বিয়ে হয়। ‘লোভ লালসা’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে দুজন দুজনের প্রেমে পড়ে এবং কিছুদিন পর বিয়ে করে তারা। তাদের তিনটি ছেলে সামি, রাতুল ও রাহুল ব্যান্ডদলের সদস্য।
নাসরীন অভিনীত ছবির মধ্যে আছে হিরো, পয়সা পয়সা, সুখের সন্ধানে, অবদান, লোভ লালসা, টাকা পয়সা, পরিবার, ভাই আমার ভাই, মিলন তারা, ভরসা ইত্যাদি।
জসিমের সাথে জুটি ছিল নাসরীনের। তাদের রসায়ন ছিল জমজমাট। দুজন দুজনের চোখের ভাষা বুঝতে পারত। নাসরিন খুব চটপটে অভিনয় করত। চঞ্চল মেয়ের চরিত্রে মানিয়ে যেত আবার কান্নার অভিনয়ও ভালো ছিল। জসিমের সাথে ‘হিরো’ ছবিটি বেশ আলোচিত ছিল এছাড়া ‘লোভ লালসা, পরিবার, টাকা পয়সা, ভরসা’ ভালো ছিল। তখনকার সুদর্শন নায়ক ইমরানও ছিল তার নায়ক।
১৯৯৮ সালে জসিমের আকস্মিক মৃত্যু হলে নাসরীন তার ছেলেদের নিয়ে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। সময়ের ব্যবধানে ছেলেরা এখন প্রতিষ্ঠিত। এখন সম্ভবত ভালোই আছে। নাসরীন ভালো থাক, হয়ে থাক দেশের চলচ্চিত্রের সমৃদ্ধ অতীতের একটি অংশ।