Select Page

‘আয়নাবাজি’র পর্যালোচনা

‘আয়নাবাজি’র পর্যালোচনা

aynabaji

আয়নাবাজি‘ অবশেষে দেখা হয়েই গেল, তাও আবার প্রথম শোতে বলাকায় প্রিয় কিছু মানুষের সাথে।বাংলা ভাষায় এখন পর্যন্ত এমন চমৎকার সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বানানো হয়েছে বলে আমার ধারণা নাই।

সিনেমা রিলিজের আগে অমিতাভ রেজা বলেছিলেন চঞ্চলের কোন বিকল্প ছিল না আয়না চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। আমি নিজেও আজকে সে কথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি। একই চরিত্রে ৬টা আলাদা রুপ ফুটিয়ে তোলা, মুহূর্তে এক রূপ থেকে অন্য রূপে চলে যাওয়া- চঞ্চলের আজ পর্যন্ত করা সেরা অভিনয় ছিল আয়না চরিত্রে।

অমিতাভ রেজার পরিচালনা ছিল অসম্ভব সুন্দর। চমৎকার একটা গল্পকে তিনি চমৎকার করে পর্দায় ধারণ করেছেন। সিনেমাটোগ্রাফি ছিল চোখ জুড়ানো। গানগুলো সবগুলোই ভালো লেগেছে।  ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও ভালো ছিল।  কাহিনী কোনো মুহূর্তে বোরিং লাগেনি। সংলাপ গুলো ছিল মজার কিন্তু মাথায় নাড়া দেওয়ার মত একজন দর্শক হিসাবে প্রতিটা মুহূর্তে অপেক্ষা করছিলাম এরপর কী হবে দেখার জন্য।

অভিনয়ের কথা বলতে গেলে চঞ্চলের ব্যাপারে যতই বলবো কম বলা হবে। নাবিলাকে ভীষণ স্বতঃস্ফূর্ত ও মিষ্টি লেগেছে। আয়নার চরিত্রের ভ্যারিয়েশনগুলো ছিল দুর্দান্ত। চঞ্চল ও নাবিলা রোমান্স করার সুযোগ কম পেয়েছেন কিন্তু যতটুকু সময় পেয়েছেন দুইজনের কেমিস্ট্রি ছিল দেখার মত। পার্শ্ব চরিত্রে সবাই ভালো অভিনয় করেছেন। আর হ্যাঁ , বিশেষ একজন অভিনেতার ক্যামিও এপিয়ারেন্স ছিল একটা বড় চমক (নাম বলে মজা নষ্ট করতে চাই না)।

আয়নাবাজিতে চঞ্চলকে এক এক সময় একেক সাজে একেক মেকআপে দাঁড়াতে হয়েছিলো পর্দায়। মেকআপ আর্টিস্টের দক্ষ কাজ দেখেও আমি বিশেষ উচ্ছ্বসিত ।

যদি দশে রেটিং দেই ,
অমিতাভ রেজা ৯.৫/১০
চঞ্চল ৯/১০
নাবিলা ৮/১০
সিনেমাটোগ্রাফি ৯/১০
গান ৮/১০
গল্প ৯/১০
সংলাপ ৯/১০
চিত্রনাট্য ৮/১০
অভারঅল আয়নাবাজি ৮/১০

আমি সিনেমাটা আবার দেখবো। একবারে তৃপ্তি হয় নি। সবাই মিলে আয়নাবাজি দেখুন। জয় হোক বাংলা সিনেমার।


মন্তব্য করুন