Select Page

‘আয়নাবাজি’ রফতানির নামে প্রতারণা, বিনিময় ছাড়াই আসছে ভারতীয় ছবি

‘আয়নাবাজি’ রফতানির নামে প্রতারণা, বিনিময় ছাড়াই আসছে ভারতীয় ছবি

যৌথ প্রযোজনা হয়েছে যৌথ প্রতারণা। আর সাফটা আমদানি চুক্তি নিয়েও ছিল নানা অভিযোগ। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের কোনো সিনেমা রফতানি না করেই ভারতীয় ছবি আমদানি। এ প্রতারনায় নতুন নাম এসেছে ২০১৬ সালের হিট সিনেমা ‘আয়নাবাজি’র!

প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে জানায়, বিনিময় চুক্তির অধীনে কলকাতার ‘ফিদা’ ও ‘পিয়া রে’ ছবি দুটি আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ ও ‘চোখের দেখা’ রফতানির কথা বলছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। অথচ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ব্যাপারটি জানেন না।

জানা গেছে, গত রোববার ভারতীয় দুটি ছবিরই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের কাছে থাকা কাগজপত্রে আছে, ‘ফিদা’ ও ‘পিয়া রে’ ছবি দুটি আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ ও ‘চোখের দেখা’ ছবি দুটি রপ্তানি করছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

ছাড়পত্র পাওয়া দুটি ছবিই বাংলাদেশে মুক্তির জন্য পরিবেশনার দায়িত্ব নিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। তারা ছবি মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে জাজ মাল্টিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ৩ ও ১০ আগস্ট ছবি দুটি বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে।

‘ফিদা’ ও ‘পিয়া রে’ ছবি দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের আরাধনা এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী কার্তিক দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিনিময় চুক্তির আওতায় এ দুটি ছবি বাংলাদেশে আনা হয়েছে। বিনিময়ে ভারতে গেছে “আয়নাবাজি” ও “চোখের দেখা”।’ অথচ ‘আয়নাবাজি’ ছবির অন্যতম প্রযোজক গাউসুল আলম শাওন বললেন, ‘কারও সঙ্গে আমাদের কোনো চুক্তি হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আরাধনা এন্টারপ্রাইজ বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কথা হয়নি।’

‘চোখের দেখা’র পরিচালক পি এ কাজল মারা গেছেন গত বছর। ছবির নায়ক সাইমন সাদিক বলেন, ‘ছবিটি বিনিময় চুক্তির অধীনে ভারত যাচ্ছে, এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’

পরিবেশক প্রতিষ্ঠান জাজের মাল্টিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী আবদুল আজিজ বলেন, ‘আমরা শুধু পরিবেশনার দায়িত্ব পালন করছি। “ফিদা” ও “পিয়া রে”র বিনিময়ে কলকাতায় এ দেশের কোন ছবি চলবে, তা আমাদের জানা নেই।’

অন্যদিকে আরাধনা এন্টারপ্রাইজের কার্তিক দে দাবি করেন, প্রযোজকদের সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছে। চুক্তির কাগজ দেখতে চাইলে কার্তিক দে বলেন, ‘আজ পারব না। পরে দেখাব।’

সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশে নির্মিত চলচ্চিত্র রফতানির বিপরীতে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি-সাফটাভুক্ত দেশগুলো থেকে সমানসংখ্যক চলচ্চিত্র তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি সাপেক্ষে আমদানি করা যাবে। একইভাবে বাংলাদেশের একটি চলচ্চিত্র ভারতে রফতানি ও প্রদর্শনের বিপরীতে ভারতের একটি ছবি আমদানি করে এখানে দেখানো যাবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে বলে দিতে হবে কোন ছবিগুলো আমদানি-রফতানি হচ্ছে।


মন্তব্য করুন