![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
ঈদুল আজহায় ‘জংলি’ না আসা প্রসঙ্গে যা বলছেন নির্মাতা
সিয়াম আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে ২৯ মার্চ ‘জংলি’র ঘোষণা আসে। তখনই জানিয়ে দেয়া হয়, ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে এম রাহিম পরিচালিত সিনেমাটি। তবে মাত্র দুই মাসের মধ্যে শুটিং-সম্পাদনা সবকিছু সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নির্মাতা।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/03/jongli_bmdb_image-1.jpg?resize=1024%2C615&ssl=1)
এরপর ধাপে ধাপে শবনম বুবলি ও অন্যান্য অভিনেতাদের ছবি প্রকাশ করে। ফাঁস হয় শুটিংকালীন ছবিও। কিন্তু শেষ কথা হলো, ঈদে আসছে না ‘জংলি’।
এ নিয়ে নির্মাতা এম রাহিম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেও পিছিয়ে এসেছি। কারণ সময়ের অভাব। টানা শুটিং করেছি আমরা। একই সঙ্গে ভারতে চলছিল ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। শুটিংয়ের পাশাপাশি ডাবিংও চলছিল ঢাকায়। মে মাসে আউটডোরে শুটিংয়ের সময় প্রচণ্ড গরমে ইউনিটের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবু আমরা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গেছি।’
‘শান’-এর মাধ্যমে পরিচালনায় নামা এ নির্মাতা বলেন, ‘সবশেষ ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শুটিং বন্ধ রাখতে হয় আমাদের। পুরো একটি সেট ঝড়ে ভেঙে যায়। প্রকৃতির ওপর তো কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। দর্শকদের যে সিনেমা আমরা উপহার দিতে চাই, সেই কোয়ালিটি অ্যাচিভ করা সম্ভব হবে না এই ঈদে। এই মানের সিনেমার সঙ্গে কোয়ালিটিতে কম্প্রোমাইজ করাটা একেবারেই আনএথিক্যাল হবে।’
অনেকেই হয়তো ভাবছেন, তুফানের দাপটে ভয় পেয়ে সরে গেল কিনা ‘জংলি’! এমন প্রশ্নের উত্তরে রাহিমের অকপট জবাব, “তুফান’ আর ‘জংলি’ এক জনরার সিনেমা নয়। ‘তুফান’ আসবে– এটি জেনেবুঝেই আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের মিউচুয়াল রেসপেক্ট আছে, ঘুরেফিরে তো একই টিম আমরা। ‘তুফান বনাম জংলি’ কখনোই আমরা সমর্থন করি না; বরং আমরা বিশ্বাস করি ‘তুফান ও জংলি’তে। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে দুটি ছবিরই ভালো ব্যবসা করতে পারা উচিত।”
‘জংলি’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ। ছবিটির চারটি গানের সুর ও সংগীত করেছেন প্রিন্স মাহমুদ।
এদিকে ঈদুল ফিতরের মতো কোরবানেও ডজন খানেক সিনেমার মুক্তির হুংকার শোনা গিয়েছিল। এর মধ্যে পিছিয়ে গেল ‘জংলি’ ও ‘এষা মার্ডার’। দুই নির্মাতাই শুটিং শেষ করতে না পারার কথা বলছেন। আপাতত তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য ছবি হলো রাশিদ পলাশের ‘ময়ূরাক্ষী’।