Select Page

এই পাঁচ গানে মাতোয়ারা হয়েছিল সারা বাংলাদেশ

এই পাঁচ গানে মাতোয়ারা হয়েছিল সারা বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সংগীতজগতে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে। এর মধ্যে অসংখ্য গান আছে যা মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। বিক্রি হয়েছে লাখ লাখ অ্যালবাম। টিভি-রেডিওতে প্রচার হয়েছে অজস্রবার। আর হালে ইউটিউবে পেয়েছে কোটি কোটি ভিউ। এমন গানের তালিকা বেশ দীর্ঘ। সেখান থেকে পাঁচটির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি, যেখানে পছন্দ না হলেও সমাজের সবস্তরে পরিচিতি পেয়েছে।

ও প্রিয়া তুমি কোথায়: ২০০১ সালে ইথুন বাবুর কথা-সুরে প্রকাশ হয় আসিফ আকবরের একই শিরোনামের স্টুডিও অ্যালবাম। শিরোনামের সংগীতটি শোনেনি এমন মানুষ কম পাওয়া যাবে। অডিও অ্যালবাম বিক্রি হয় ৬০ লাখ কপির বেশি। সিডিতেও রমরমা ব্যবসা করে। পরে এ শিরোনামে নির্মিত ছবিও (শাবনূর, রিয়াজ ও শাকিব খান) দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর পর থেকে বাংলা গানে এখনো রাজত্ব করে যাচ্ছেন আসিফ।

ভালোবাসবো বাসবো রে: ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হৃদয়ের কথা’ সিনেমার এ গানের মাধ্যমে হাবিব ওয়াহিদের রাজকীয় অভিষেক হয় প্লেব্যাকে। কথা লেখেন জুয়েল মাহমুদ। কোরাসে ছিলেন পরবর্তীকালের সংগীত তারকার ন্যানসি। সিডির যুগে গানটি রাতারাতি ঝড় তোলে। এর আগে একাধিক অ্যালবামে হাবিব নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। এ গান সব প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে যায়। বলা যায়, গানের জোরে (রিয়াজ ও পূর্ণিমা) অতি সাধারণ কাহিনীর সিনেমাটি হিট।

পড়ে না চোখের পলক: রিয়াজের ক্যারিয়ারের প্রথম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত ছবি ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’র গানটিতে কণ্ঠ দেন এন্ড্র কিশোর। কথা ও সুরে ছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সারা দেশে গানটি আক্ষরিক অর্থে ঝড় তোলে।

পাগল মন: দিলরুবা খানের একই শিরোনামের অ্যালবামের গান এটি। কথা লিখেছেন কায়সার আহমেদ, সুর আশরাফ উদাসের। এ অ্যালবাম প্রায় কোটি কপি বিক্রি হলেও শিল্পী সে অর্থে টাকা পাননি। কিন্তু দিলরুবার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশ ও বিদেশে। পরে এ নামের সিনেমা নির্মাণ করে সফল হন তোজাম্মেল হক বকুল। সম্প্রতি ‘বীর’ সিনেমায় গানটির অন্তরা ব্যবহার করে জটিলতায় পড়েন শাকিব খান। পরে আদালতের বাইরে মিটমাট হয়।

অপরাধী: ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা বাংলা গান এটি। একটি চ্যানেলেই শুধু ২৭ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে। হয়েছে অসংখ্য রিমেক। ভারতেও অনেক কণ্ঠ দিয়েছেন। এমনকি পাল্টা জবাবও এসেছে। তবে গানটি থেকে প্রযোজনা সংস্থা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও পরিচিতি ছাড়া তেমন কিছু জুটেনি গায়ক আরমান আলিফের ক্ষেত্রে। এর পর তিনি বেশি আগাতেও পারেননি।


মন্তব্য করুন