কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে ‘প্রিয়তমা’?
শাকিব খান আবারো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে; তার প্রমাণ ঈদুল আজহার দুই সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘অন্তর্জাল’-এর টিজার। একই উপলক্ষে এতটা স্মার্ট দুই টিজার আগে দেখা যায়নি। গল্প, অভিনয়, লোকেশন বা কারিগরি যে আভাস; তাতেই মাতোয়ারা দর্শকের এক অংশ।
হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ বেশ পুরোনো প্রজেক্টই। পরিচালকরে সাধুবাদ দিতে হয় এই জন্য যে, বছরের পর বছর শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অবশেষে শুটিং ফ্লোরে টেনে নিতে পেরেছেন সিনেমাটি। এত বড় তারকাকে নিয়ে ঈদুল আজহার আগে অল্প সময়ে নির্মাণও একটা চমক। ব্যক্তিগত ঝুট-ঝামেলা ও দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে শুটিং নিয়ে শাকিব খানও যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। এখন সময় চমককে সত্যি পরিণত করা।
সন্দেহ নেই যে, শাকিবের নামে সিনেমা শতাধিক হল পেয়ে যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে বিদ্রোহী বা লিডার আমিই বাংলাদেশের অবস্থা দেখলে বোঝা যায়, শুধু হল পেলেই চলবে না। সপ্তাহের পর সপ্তাহ প্রদর্শিত হওয়ার যোগ্যতা না থাকলে দিন শেষে মুখে মুখে হিট বললেও ইন্ডাস্ট্রি বা সুপারস্টারের কোনো উপকারে আসে না।
অবশ্য হিমেল জানিয়েছেন, তার সিনেমায় পরিশ্রমের কমতি নেই। দর্শকের ওপর আস্থা আছে যে, তারা ‘ভালো সিনেমাকে’ ফেরান না। ‘প্রিয়তমা’ ভালো সিনেমা। গল্প ও কাস্টের পাশাপাশি এমন সব লোকেশন ব্যবহার করেছেন যা আগে ভাবা হয়নি।
সম্প্রতি ‘প্রিয়তমা’র শুটিং শেষ হয়েছে। জুনের শুরুর দিকে হিমেল আশরাফ জানান, প্রিয়তমা টিম এখন ফের ঢাকায়। আমাদের সিনেমার ড্রামা অংশের দৃশ্যের চিত্রায়ন শেষ। এখন শুধু অ্যাকশন ও গানের চিত্রায়ন বাকি। আশা করি সেটাও সঠিক সময়ে আমাদের প্ল্যন অনুযায়ী আমরা শেষ করতে পারবো।
আরো বলেন, ধন্যবাদ আমাদের টিমের শতাধিক মেম্বারদের যারা ভোর ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রত্যেকটা দিন, বিরতিহীন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। স্যলুট জানাই সবাইকে। ধন্যবাদ সকল অভিনয় শিল্পীদের, বিশেষ করে আমাদের প্রধান চরিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান, গত ১২ বছরে আমার মন হয় না কোন সিনেমার জন্য তিনি এই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তার সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও চেষ্টার কারণেই আমরা ঠিকঠাক আমাদের কাজটা করতে পারছি।
অন্য সিনেমার টিজার মুক্তি পেলেও ‘প্রিয়তমা’র ফার্স্টলুক পোস্টার শেয়ার করেছিলেন নির্মাতারা। তাতেই কাবু হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা। এখন বাকি চমকের অপেক্ষা।