Select Page

কলকাতার শিল্পী-কুশলী-কারিগরিতে সন্তুষ্ট নই, দরকার পুরো লগ্নি!

কলকাতার শিল্পী-কুশলী-কারিগরিতে সন্তুষ্ট নই, দরকার পুরো লগ্নি!

আবারো উত্তাল হচ্ছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গন, তার একদফা দেখা গেছে ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে। উপলক্ষ নতুন কিছু নয়, সেই পুরনো ঘটনা— ভারতীয় সিনেমার আমদানি ও যৌথ প্রযোজনা।

নতুন নীতিমালার কারণে পুরোপুরি ভারতনির্ভর (একপ্রকার আমদানিই) সিনেমা তৈরি কঠিন হয়ে গেছে, তাই হালের ট্রেন্ড হলো আমদানি। তাও আমাদের দেশীয় শিল্পীদের নিয়ে হচ্ছে সেসব ছবি, লগ্নি থেকে বাকি কলাকুশলী, টেকনোলজি ভারতীয়।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর বেশির ভাগেরই দাবি বিশেষ দিন বা উৎসবে যৌথ বা আমদানি করা সিনেমা মুক্তি দেওয়া যাবে না।  যদিও গত কয়েক বছরের ঈদের মৌসুম চলে গেছে ভারতীয় নির্ভর যৌথ প্রযোজনার পকেটে।

অতীতেও দেখা গেছে— যখনই বেশি বাজেট বা দেশি বড় তারকার সিনেমা মুক্তি পায়, তখনই জুড়ে দেওয়া হয় আমদানি করা ভারতীয় সিনেমা। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে তেমন কিছু ঘটতেও পারে। এবার কিন্তু ভারতীয় লগ্নির তুরুপের তাস শাকিব খান— যিনি বস্তাপচা ছবি করলেও প্রথম কয়েকদিন হাউসফুল হয়।

দেশি সিনেমা স্বপ্নজাল, পলকে পলকে তোমাকে চাই, বিজলী ও একটি সিনেমার গল্প— বৈশাখের বাজার ধরতে চায়, তখনই মুক্তি দিতে হবে ভারতীয় ‘চালবাজ’। এ নিয়ে যত গণ্ডগোল।

কিন্তু গোল যে আরো আছে— সেদিকে কি আমাদের নজর আছে? উপরের চারটি সিনেমার মধ্যে তিনটিই কোনো না কোনোভাবে ভারত নির্ভর।

অনেকে কিছুদিন আগেও জানতেন না ‘স্বপ্নজাল’ যৌথ প্রযোজনার সিনেমা। ব্যতিক্রমীভাবে এ ছবিটির নানা বিভাগে প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশ। ‘বিজলী’র নায়ক, গায়ক-গায়িকা, কোরিওগ্রাফার, সুরকার, গীতিকার, অন্যান্য কলা-কুশলী ও লোকেশন ভারতীয়। পোস্ট প্রডাকশনও সেখানকার। অন্যদিকে নায়ক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’র নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, পোস্ট প্রডাকশনও কলকাতার। শুধু তাই নয়, একই মাসে মুক্তি প্রতিক্ষীত ‘আলতা বানু’র প্রযোজনা সংস্থা খুবই সরবে বলছে পোস্ট প্রডাকশন মাদ্রাজে। অথচ অল্প সময়ে শ’খানেক সিনেমা বানানোর দাবি করলেও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার মতো অবকাঠামো বানাতে পারেনি। জাজ মাল্টিমিডিয়াও সব কিছুর জন্য ভারতের উপর নির্ভর করে। দাঁড় করাতে পারেনি সিনেমার নির্মাণের জন্য অবকাঠামো।

তাহলে যা দাঁড়াচ্ছে— আমাদের বড় সিনেমাগুলোই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে অনেক কিছু নেই। এই না থাকার পাল্লা দিন দিন ভারীই হচ্ছে। অথচ উন্নয়নের জন্য সরকারের দেওয়া টাকা সরকারি তহবিলেই আবার ফেরত যায়।

এতই যখন শূন্যতা, সেখানে ভারতীয় লগ্নিকারক হাত বাড়াবে— সেটাই তো হবে। আর তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে সংবাদমাধ্যম— সব জায়গায় নানা স্বার্থসংশ্লিষ্ট দল তৈরি হয়েছে। তো, আধাআধি ভারতীয় সিনেমার চেয়ে পুরোই ভালো। নাকি?  এ প্রশ্ন শুনতে আর কতক্ষণ! বেশিদিন না- আজকাল তো ভারতীয় সিনেমা না আনলে হল বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হচ্ছে


মন্তব্য করুন