Select Page

চার নায়কের চমক

চার নায়কের চমক
10.jpg_8441.10২০০০ সালের শুরুতেই চলচ্চিত্রে আসা বেশ কজন অভিনয়শিল্পী সুঅভিনয় দিয়ে রুপালি জগতের ঝলমলে পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য চারজন হলেন জায়েদ খান, ইমন, নিরবআমানইতোমধ্যে আলোচিত চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে তারা চমক সৃষ্টি করেছেন এবং শীঘ্রই নতুন চমক নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন। এ চার নায়কের আসন্ন চমক নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে লিখেছেন আলাউদ্দীন মাজিদ। লেখাটি বিএমডিবি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হলো-

জায়েদ খান

২০০৭ সালে মুহাম্মদ হান্নানের ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে আসেন জায়েদ খান। এ পর্যন্ত তার অভিনীত প্রায় দুই ডজন চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘আত্দগোপন’, ‘বাংলা ভাই’সহ প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্রই দর্শকনন্দিত হয়েছে। বর্তমানে এক ডজনেরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অ্যাকশন হিরো-খ্যাত এই সুদর্শন নায়ক। এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘অদৃশ্য শত্রু’ (নির্মাতা : সোহেল রানা), ‘দাবাং’, ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’, ‘তোকে ভালোবাসতেই হবে’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘আগুনের চোখে প্রেম’, ‘কাটা দাগ’, ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি’, ‘লাভ ইন মালয়েশিয়া’ ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ইত্যাদি। জায়েদ খান বলেন, বর্তমানে কাজ করা প্রতিটি চলচ্চিত্রই নানা দিক দিয়ে দর্শকের সামনে চমক হয়ে আসবে।

ইমন

২০০৮ সালে ইস্পাহানী আরিফ জাহানের ‘এক বুক ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিনয়ে আসেন এ কালের জাফর ইকবালখ্যাত সুদর্শন নায়ক ইমন। এ পর্যন্ত তার অভিনীত এক ডজনেরও বেশি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে এবং সফল হয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘লালটিপ’, ‘গহীনের শব্দ’, ‘অংক’, ‘আমার পৃথিবী তুমি’ ইত্যাদি। বর্তমানে এই সফল নায়ক প্রায় এক ডজন চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে_ চাষী নজরুল ইসলামের ‘ভুল যদি হয়’, খালেদ মাহমুদ মিঠুর ‘জোনাকীর আলো’, নার্গিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’, স্বপন আহমদের ‘পরবাসিনী’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এমনতো প্রেম হয়’, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ‘মায়া মমতা’, রফিক শিকদারের ‘পদ্মা পাড়ের পার্বতী’, ‘পদ্ম পাতার জল‘, পায়রা ইত্যাদি। ঈদের পর শুরু করবেন চাষী নজরুল ইসলামের ‘কোথায় আছো কেমন আছো’সহ বেশ কটি চলচ্চিত্রের কাজ। সুদর্শন নায়ক ইমন বলেন, আমি চাই ভালো কাজের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পকে পূর্ণতা দিতে। তাই চমকপ্রদ আরও কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছি।

নিরব

২০০৯ সালে শাহীন সুমনের ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে আসেন নিরব। এ নায়ক এই পর্যন্ত প্রায় তিন ডজন চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এর মধ্যে দেড় ডজন চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়ে প্রশংসিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘রাজা সূর্য খাঁ’, ‘এইতো ভালোবাসা ‘ ইত্যাদি। বর্তমানে তিনি বিদেশের চলচ্চিত্রেও কাজ করছেন। ‘ম্যাংগাঁলা কাউ বয়’ শিরোনামে মালয়েশিয়ার একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন নিরব। এটি নির্মাণ করছেন সে দেশের নির্মাতা নেম উই। এতে তার নায়িকা হলেন মালয়েশিয়ার অভিনেত্রী আতিকা সোহাইমি। পাশাপাশি বর্তমানে এ দেশে তার কাজ করা চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অন্তরে অন্তরে (সালমান শাহ অভিনীত ‘অন্তরে অন্তরে’র রিমেক), ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’, ‘পদ্মা পাড়ের পার্বতী‘, ‘রাঙা মন’, ‘লাভ ইন কোরিয়া’, জাকারিয়া সৌখিনের গল্পে ‘গেইম ‘ ইত্যাদি। নিরব বলেন, মানসম্মত চলচ্চিত্রে কাজ করে ঢালিউডে স্থায়ী আসন গড়তে চাই। তাই গল্প বেছে দর্শক মন রাঙাতে চমৎকার সব চলচ্চিত্রে কাজ করছি।

আমান

২০০৯ সালে রেজা লতিফের ‘ভালোবাসার শেষ নেই’ চলচ্চিত্রে মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক আমানের। প্রথম চলচ্চিত্রেই দর্শক নজর কাড়েন তিনি। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এগুলোর মধ্যে এক ডজনেরও বেশি ছবি মুক্তি পেয়ে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে বিদেশের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন আমান। এগুলো হচ্ছে_ ব্রিটিশ প্রোডাকশনের চলচ্চিত্র ‘দ্য স্ট্রাগল ফর লাভ অ্যান্ড সারভাইভ’। মনসুর আলী পরিচালিত এ চলচ্চিত্রটি কান উৎসবে প্রদর্শন হবে। অন্যটি- ‘স্টোরি অব সামারা।’ জাপানের একটি প্রযোজনা সংস্থা এটি নির্মাণ করছে। এ ছাড়া স্থানীয় আরও অর্ধ ডজন চলচ্চিত্রে তার কাজ সম্পন্নের পথে। আমান বলেন, ভালো কাজ দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে বিশ্বকে চমক দিতে চাই।

সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন


মন্তব্য করুন