![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
ছোট্টটি নেই দিঘী
‘বাবা জানো? আমাদের বাসায় যে ময়না পাখিটা আছে না, ও না আজকে আমার নাম ধরে ডেকেছে। আর এই কথাটা না মা কিচ্ছুতেই বিশ্বাস করছে না। কেমন লাগে বল তো বাবা? আমি কি তাহলে ভুল শুনেছি? তুমি আজকে বাসায় এসে মাকে অবশ্যই বকে দেবে। আচ্ছা বাবা রাখি তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো কিন্তু।– মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে আলোচিত সেই ছোট্ট শিশু দিঘী এখন কিশোরী।
বিজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে চলচ্চিত্র অভিনয়ে এসে চমকে দেয় সবাইকে। পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অধিকাংশ ছবিই ব্যবসাসফল। এর মধ্যে ৩৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০০৬ সালে ‘কাবুলিওয়ালা’, ২০১০-এ ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ এবং ২০১২ সালে ‘এক টাকার বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন দীঘি। তবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তিনটি ট্রফির একটি চুরি হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো শিশুশিল্পী এতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি। আর এরকম আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাও পায়নি।
৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে বাবা সুব্রতর সঙ্গে এফডিসিতে গিয়েছিল দিঘী। ভোটকেন্দ্রে তাকে দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গেছে। সেই ছোট্ট দিঘী এখন কত বড় হয়ে গেছে! এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
মা চিত্রনায়িকা দোয়েল ২০১১ সালে মারা যাওয়ার পর থেকে দিঘীর জীবনের পুরোটা জুড়েই এখন বাবা সুব্রত।দিঘী এখন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পড়ছে ধানমন্ডির একটি স্কুলে। সামনেই তার স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা। রোজ সকালে মেয়ের ঘুম ভাঙিয়ে স্কুলের জন্য তৈরি করা থেকে শুরু হয় বাবা সুব্রতর কাজ।
এদিকে দিঘী বলে, আপাতত অভিনয় না, পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই। বাবা এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এজন্য আমি অনেক খুশি।
দিঘীর বাবা সুব্রত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।
সূত্র : মানবজমিন ও দ্য রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর