Select Page

তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, শাকিব-আজিজ অবাঞ্ছিত, পদত্যাগ করবেন গুলজার

তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, শাকিব-আজিজ অবাঞ্ছিত, পদত্যাগ করবেন গুলজার

নায়ক শাকিব খান ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজকে চলচ্চিত্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার। একই সঙ্গে তারা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পদত্যাগ দাবি করেছেন। এছাড়াও যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন গুলজার।

তিনি বলেন, ‘আমরা চলচ্চিত্রের যেকোনো কর্মকাণ্ডে এখন থেকে শাকিব খান ও আবদুল আজিজকে ডাকব না, তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হল সবার সম্মতিক্রমে। তারা দুজনেই দেশের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন।’

প্রিভিউ কমিটি থেকে পদত্যাগ করা প্রসঙ্গে গুলজার বলেন, ‘ইনু সাহেব বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ না করে ক্ষতির জন্য কাজ করছেন। তাই তার পদত্যাগ দাবি করেছি আমরা। একই সঙ্গে তার অধীনে কোনো কমিটিতে আমি বা চলচ্চিত্র পরিবারের কেউ থাকবে না। তাই পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সভায় চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সিনিয়র অভিনেতা ফারুক, আলমগীর, রিয়াজ, পপি, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, ডিপজলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এতে তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে শিল্পীদের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘যেভাবে চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে সেটা ঠেকাতে করণীয় আজই ঠিক করতে হবে।’

রিয়াজ বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা আবেগ থেকে যাই বলি না কেন, আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আমি চাই সেন্সরবোর্ড থেকে গুলজার ভাই ও দিলু ভাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। তারা সেটা করবেন আশা করি।’

প্রযোজক খসরু বলেন, ‘আমাদের এবারের আন্দোলন হবে মন্ত্রীর অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলন।’ নায়ক ফারুককে নিয়ে কটু মন্তব্য করার জন্য শাকিব খানের শাস্তিও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে নায়ক আলমগীর বলেন, ‘শাকিব খানকে আর ক্ষমা নয়। এর আগে শাকিবের ঝামেলা মিটিয়ে দিয়ে ভুল করেছিলাম। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ফারুক ভাইকে নিয়ে যে কমেন্ট করেছে তা ক্ষমা করা হবে না। তাকে বয়কট নয়, তার শাস্তি চাই। সংগঠনগুলো তার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিবে তাকে স্বাগত জানাবো।’

তিনি আরও বলেন, ‌‘যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময় চাই কিন্তু তার নামে অনিয়ম চাই না। আমরা দেরি করে আন্দোলন শুরু করায় ছবি দুটি সেন্সর পেয়ে গেছে। ঈদের পর যেন এই আন্দোলন আরও বেগবান হয়।’

আর প্রযোজক-অভিনেতা ডিপজল বলেন, ‘আমাদের জান থাকতে বিদেশি ছবি চালাতে দিবো না, প্রয়োজনে আমার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে ১০০ মেশিন বসাবো সিনেমা হলগুলোতে।’

সভায় যৌথ প্রযোজনার নামে চলমান এই প্রতারণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত হয় জোট নেতাদের মধ্যে।

বাংলা ট্রিবিউন ও পরিবর্তন ডটকম অবলম্বনে


মন্তব্য করুন