Select Page

দেশ ছাড়া নারী শ্রমিকদের গল্পে ‌’মেড ইন বাংলাদেশ’ সিক্যুয়াল

দেশ ছাড়া নারী শ্রমিকদের গল্পে ‌’মেড ইন বাংলাদেশ’ সিক্যুয়াল

বাংলাদেশের পোশাকদের নিয়ে নির্মিত ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বিদেশের মাটিতে পেয়েছে প্রশংসা ও পুরস্কার। পাশাপাশি মুক্তি পেয়েছে বড় পরিসরে। সেই ছবির সিক্যুয়েলের পরিকল্পনা করেছেন পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন। সেখানে দেশের বদলে বিদেশে যাওয়া নারী শ্রমিকদের গল্প তুলে ধরা হবে।

প্রথম আলোকে এই নির্মাতা জানিয়েছেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’র সিনেমার সিকুয়েল আসবে। সেখানে দেশের সীমানার বাইরে থেকে যেসব নারী শ্রমিকেরা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন, বলা হবে তাঁদের গল্প। বিশেষ করে লেবানন, জর্ডান ও মরিশাসেই গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করেন প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি নারী। প্রতিবছর আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার নারী পাড়ি জমাচ্ছেন সেসব দেশে। সেই মানুষগুলোর সংগ্রামের গল্প উঠে আসবে পরবর্তী ছবিতে।

ডালিয়া আক্তার নামের একজন নারী পোশাকশ্রমিক নেতার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। ২০১৬ সালে নির্মাতা তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌয়ের মাধ্যমে ডালিয়ার সঙ্গে পরিচিত হন রুবাইয়াত। ডালিয়া তখন অন্তঃসত্ত্বা। ডালিয়ার সন্তানের বয়স এখন তিন বছর। পরিচালক প্রথম আলোকে জানান, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’-এর সিক্যুয়েলে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হবে ডালিয়ার শিশুকন্যা।

সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোম ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ক্রাইটেরিয়ন কালেকশনের চলচ্চিত্র সাময়িকী ‘দ্য কারেন্ট’-এর ‘দশের দশকের গুপ্তধন’-এর তালিকায় শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘“মেড ইন বাংলাদেশ” ছবিতে শ্রমিকদের ওপর বৈশ্বিক শোষণ, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও বাণিজ্যিক লোভের মতো এই দশকের কিছু গুরুতর সমস্যা প্রতিফলিত হয়েছে। তা ছাড়া উঠে এসেছে এই দশকে ঘটে যাওয়া নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নারীশক্তির জাগরণের মতো সর্বজনীন বিষয়ও।’

গত বছর ৪ ডিসেম্বর ফ্রান্সে মুক্তির পর ৫৩টি থেকে বেড়ে ৬৪টি প্রেক্ষাগৃহে চলেছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। ডেনমার্ক আর পর্তুগালেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে এই ছবি। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পোল্যান্ড আর জাপানেও মুক্তি পাবে এই ছবি।

তবে সিনেমাটি বাংলাদেশে এখনো মুক্তি পায়নি। পয়লা বৈশাখ নাগাদ দেখবেন দেশের দর্শক।

 


মন্তব্য করুন