Select Page

নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার: আপনার পাশের বাড়ির গল্প

নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার: আপনার পাশের বাড়ির গল্প

দেখে এলাম মিজানুর রহমান লাবু পরিচালিত ২য় চলচ্চিত্র নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার। এটি এ বছর আমার দেখা ৬ষ্ঠ চলচ্চিত্র। এটি নিঃসন্দেহে এ বছর আমার দেখা সেরা চলচ্চিত্র। ছবিটি দেখার সময় হলে বসে প্রতিটি মিনিটই উপভোগ করেছি।

ঢাকা শহরের কোন এক বস্তিতে বসবাস করে নুরু মিয়ার পেশা ভিক্ষা করা। তার পা সবল না হওয়ায় তার ভিক্ষার কাজে বিভিন্ন স্থানে আনা নেয়ার কাজ করে বিউটি। তাদের জীবনের উথান পতন নিয়েই নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার।

অভিনয়

এ ছবিতে অভিনয় করেছেন কিছু সিনিয়র জাত অভিনয় শিল্পী, সাথে কিছু নতুন অভিনয় শিল্পী। নতুনদের অভিনয় দেখে একবারও মনে হয়নি তারা নতুন বা তাদের অভিনয়ে দুর্বলতা আছে। ছবিটা দেখে আবারো মনে হচ্ছে অভিনয় আসলে শিল্পির কাছ থেকে বের করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে মিজানুর রহমান লাবু সম্পুর্ন সফল। তিনি যেমন গল্প লিখেছেন তেমনি ভাবে দুর্দান্ত নির্মান করেছেন।

ফজলুর রহমান বাবু এই ছবির নাম ভুমিকার নুরু মিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয়ের ত্রুটি পাওয়া খুবই কষ্টকর ব্যাপার। তার প্রতিটি অভিব্যাক্তিই ছিল অসাধারণ। দিনাজপুরের আঞ্চলিক ভাষার সাথে অন্য ভাষা মিলিয়ে তার কথা বলার ধরণও ছিল চমৎকার।

ট্রেলার ও পোস্টারে যখন তার চোখ মুখের এক্সপ্রেশন দেখে ভেবে ছিলাম এই অংশে ক্যামেলিয়া রাঙার দুর্বলতা আছে। কিন্তু ছবিটি দেখতে গিয়ে ঘটল উল্টো ঘটনা। কিছুটা বোকা মেয়ের চরিত্রে তার অভিনয় ছিল অনেক সুন্দর। কোন কিছুর দিকে তার ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকার সময় মনে হয় তার চোখ দুটিই কথা বলতেছে। বিউটি তার অভিনয় ছিল অসাধারণ।

এছাড়াও এস এম মহাসিন, মাহমুদ, শিরিন আলম, শাহাদত হোসেন, নাজিবা বাশার তাদের নিজ নিজ চরিত্রে সেরাটা দিয়ে অভিনয় করেছেন
ছবিটির ডায়লগ ছিল মনে রাখার মত। বেশ কিছু শৈল্পিক, কমেডি, আবেগি ডায়লগে ভর্তি ছিল ছবিটা।

হল সমাচার

হলে যেতেই শুনতে পেলাম একটা হিন্দি গান বাজতেছিল এরপর শো শুরু পর্যন্ত শুধু হিন্দিগানই চলছিল। তবে  দিনাজপুর মর্ডান সিনেমা হলে এবার লক্ষ্য করলাম সাউন্ড সিস্টেম আগের চেয়ে ভাল করেছে। তাছাড়া পর্দায় আগের মত অন্ধকার ভাবটাও অনেকটা নাই। বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল ছবিটি।

হলে দর্শক সমাগম আর্ট ফিল্ম অনুযায়ী মোটামুটি ছিল। হলে দেখা হয়ে গেল পরিচালক মিজানুর রহমান লাবু ভাইয়ের কিছু বন্ধু বান্ধবের সাথে। একজন আবেগের ভারে হ্যান্ড সেট বের করে কল দিলেন সরাসরি পরিচালকের কাছে।

যারা ছবিটা দেখননি তাড়াতাড়ি দেখে ফেলুন। অনেক ভাল লাগবে।


মন্তব্য করুন