Select Page

পাংকু জামাই : ‘জোড়া তালি’ জামাই

পাংকু জামাই : ‘জোড়া তালি’ জামাই

পাংকু জামাই
পরিচালনা : আব্দুল মান্নান
অভিনয়ে : শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, এটিএম শামসুজ্জামান, দুলারী, সাদেক বাচ্চু, খালেদা আক্তার কল্পনা, মিশা সওদাগর, শিবা শানু, রেবেকা, ববি, কাবিলা, পুষ্পিতা পপি, বাদল, যাদু আজাদ, মোসলেম ও জ্যাকি আলমগীর।
রেটিং : ১.৫/ ৫

বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রিয় দল বাদ পড়ে যাওয়ায় কিংবা মনের মত খেলতে না পারায় যারা হতাশ, তারা অনায়াসে দেখে আসতে পারেন ঈদের ছবি ‘পাংকু জামাই’। শাকিব খান-অপু বিশ্বাস জুটির এ ছবি দেখে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এরকম বিনোদনের রসে (!) টইটুম্বুর ছবি আমি অন্তত কস্মিনকালে দেখিনি।

২ ঘন্টা ২৪ মিনিটের এই ছবি আমাদের মত কোমলমতি দর্শকদের আবেগ নিয়ে শুধু ছিনিমিনিই খেলেনি, শেষ পর্যন্ত বোঝাতে পারেনি, ইহা একটি চলচ্চিত্র। যে চলচ্চিত্রে মূল পাত্র-পাত্রী শাকিব খান-অপু বিশ্বাসকে বিরতির আগে ১টি মাত্র দৃশ্য ও ১টি অর্ধ সমাপ্ত গানে এবং বিরতির পর সর্বসাকুল্যে ৩টি দৃশ্য এবং ১টি গানে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, সেই কাহিনীচিত্রকে কি বলা যায়?

ভাবছেন, এ কী করে সম্ভব? পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে নায়ক-নায়িকাই মাত্র ৪টি দৃশ্য ও ২টি গানে মুখোমুখি হলে পুরো ছবি জুড়ে তাহলে কি ছিল? সঠিক উত্তর হচ্ছে: ‘পাংকু জামাই’ আর দশটা সাধারণ ছবির মত নয়। কারণ কোনো এক জাদুমন্ত্রবলে এ ছবিতে শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের আরো বেশ কয়েকটি সিকোয়েন্স আমরা দেখতে পেয়েছি। তবে দৃশ্যগুলো এরকম: অপু বিশ্বাস ক্যামেরায় তাকিয়ে কথা বলছেন, ওদিকে অন্য চলচ্চিত্রের অন্য শাকিব খান কখনো পুতুলের মত স্থির হয়ে (স্থিরচিত্র), কখনো মানব সন্তানের মত ঠোঁট বাঁকিয়ে উত্তর দিচ্ছেন। এই উত্তর দেয়ার আয়োজনটি আরো মজার। অন্য চলচ্চিত্রের শাকিব খানের ঠোঁট নড়ছে একভাবে, তার হয়ে কোনো এক ‘নাবালক’ আকিব খান ডাবিং করেছেন অন্যভাবে। বিশ্রীভাবে।

এক পর্যায়ে আমি অতি বিস্ময়ে হাততালি পর্যন্ত দিয়ে ফেলেছি, যখন দেখলাম জীর্ণ-শীর্ণ নকল (ডামি) শাকিব খানের শরীর, হাত-পা কথা বলছে! চৌর্যবৃত্তি কিংবা কাটপিস কোন পর্যায়ে যেতে পারে জানতে হলে দেখতে হবে ‘পাংকু জামাই’।

হাততালি দেবার আরো বেশ কিছু জায়গা ছিল এ ছবিতে। প্রথমত: ছবিতে আকাশ চৌধুরী (শাকিব খান) মেহনতি শ্রেণীর একজন মানুষ। দিনমজুর। অথচ কাজের সময় তার পরনে থাকে ব্র্যান্ডের শার্ট, জিন্স, শর্টস, স্নিকার। কোনো এক সুন্দর দিনে হরবুজ মহাজন (মিশা সওদাগর) বলেন, আপদ আর বিপদ দুইটাই হইতেছে ঐ ‘পাংকু’! ব্যস, এরপর থেকে নায়ক জাতীয়ভাবে পরিচিতি পান ‘পাংকু জামাই’ হিসেবে। কিন্তু ‘পাংকু’ অর্থ আসলে কী? শাকিব খান কেন ‘পাংকু জামাই’-তার ব্যাখা নেই। অবশ্য পরিচালক আব্দুল মান্নান যা বোঝাতে চেয়েছেন: পাংকু মানে হলুদ, কমলা, ম্যাজেন্টা, টিয়ে ও লাল রঙের পরচুলা, টিয়ে গেঞ্জি, হলুদ শার্ট, হলুদ বেল্টের ঘড়ি, রক্তবর্ণা লাল প্যান্ট, গলায় মোটা চেইন, হাতে ব্রেসলেট ও আংটি পরিহিত অদ্ভুত রকমের মানবসন্তানকে ‘পাংকু’ বলে অভিহিত করা যায়। কিন্তু এ ছবির নাম ‘পাংকু জামাই’ রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু, তা আজও আমার মগজের এন্টিনায় ঝিরঝির করছে।

অস্পষ্ট ছিল এ ছবির আরো অনেক দৃশ্য। রাস্তায় মান্না-মৌসুমী জুটির ‘অবুঝ শিশু’ ছবির পোস্টার দেখে বুঝে নিয়েছি কাহিনীর প্রেক্ষাপট ২০০৮ সালের। মনে পড়ে, নায়ক মান্নার অকালপ্রয়াণের মাত্র ৫দিন পর (২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮) মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। অথচ ‘পাংকু জামাই’ ছবিতে আরো দেখানো হয়েছে সে সময় নাকি বাংলাদেশে এয়ারটেল যাত্রা শুরু করেছে, জিপি টু জিপি আধা পয়সা কলরেট ছিল কিংবা ৪৯ টাকায় রবির ৪ জিবি ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যেত! সব ক’টি তথ্যই যে ভুল।

দীর্ঘদিন পর কোনো বাংলা চলচ্চিত্রের প্রায় ৯০ ভাগ অংশের চিত্রধারণ বিএফডিসিতে হতে দেখলাম। পার্ক থেকে মাজার, বাড়ি-সবকিছুই বিএফডিসির আঙিনায় অবস্থিত। যে কারণে ‘অবুঝ শিশু’র পোস্টার দেখে কাহিনীর প্রেক্ষাপট ২০০৮ ভেবে নিলেও পরবর্তীতে দেখলাম ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’-এর পোস্টারে ছেয়ে গেছে পাংকু’র চারপাশ। এদিকে কাক ফাটা রোদে একসময় ঝুম বৃষ্টি দেখলাম। চোখে সয়নি। বাধ্য হয়ে মেনে নিলাম, হয়তো রোদ আর বৃষ্টি সম্মিলিতভাবে দেখা দিচ্ছে। কিন্তু পরে দেখলাম ক্যামেরার ওপর দিয়ে শুধুমাত্র শাকিব খান ও গাড়ির ওপরই পানি ফেলা হচ্ছে। যদিও এটি বুঝবার জন্য খুব বেশি মনের ওপর চাপ পড়েনি। পরিচালক সাহেবই আমাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য পানি ফেলার যন্ত্রটা দেখিয়ে দিয়েছেন।

অবশ্য বাংলা ছবিতে সবকিছু দেখতে নেই, শুনতে নেই, কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো-একসময় এসব শেখানো বুলি মনে করে ‘পাংকু’র গল্পে মন ডোবানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু মজার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাই কী করে? প্রযোজক ভাওয়াল পিকচার্স খুব সরলভাবে এ ছবিতে যাবতীয় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেছেন ‘ভাওয়াল’ নামে: ভাওয়াল গার্মেন্টস, ভাওয়াল পিঠাঘর ইত্যাদি।

ধনী তালুকদার বাড়ির জামাই হওয়া নিয়ে মহাজন ও দিনমজুরের দ্বন্দ্ব নিয়েই ‘পাংকু জামাই’ ছবির কাহিনী। গল্প ভাবনায় নতুনত্ব না থাকলেও চিত্রনাট্য কিংবা সংলাপের মাধ্যমে বিনোদন দেবার যথেষ্ট সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রযোজক মোজাম্মেল হক সরকারের কাহিনীকে পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা আব্দুল মান্নান পর্দায় রং ছড়াতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। অপু বিশ্বাসকে বলা এটিএম শামসুজ্জামানের সংলাপ: শত হলেও তুমি আমার আদরের নুনু কিংবা মিশার সংলাপ: নরম বিছানা গরম করার আগে এদিকে আয় কিংবা টসটসে রসে ভরা যৌবন, শাকিব খানের সংলাপ: পেটে মারছোস, ক্ষুধা বাইরা গেছে, অহন কাঁচা খায়া ফালামু-সংলাপগুলো নিম্ন আয়ের দর্শক শ্রেণীকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে বিলক্ষণ বোঝা যায়। তবে আমার চারপাশে এরকম অনেক খেটে খাওয়া মানুষকেও এ ধরনের সংলাপ শুনে বিনোদিত হতে কিংবা হাত তালি দিতে দেখিনি।

এ ছবিতে এটিএম শামসুজ্জামান চান অপু বিশ্বাসের জন্য একজন সৎ, সাহসী, সুদর্শন জামাই। কিন্তু তাই বলে দিনমজুরকে জামাই হিসেবে নির্বাচন করাটা কতটুকু বাস্তবসম্মত? একটি দৃশ্যে মিশা শাকিবকে বলেন, এহন তো দেহি নূপুরের সাথে মিঠা মিঠা কথা বইলা পটাইয়া ফেলতেছোস! আমরা দর্শকরা কিন্তু ততক্ষণ পর্যন্ত দেখতে পাইনি, শাকিব খান কখন নূপুরের (অপু বিশ্বাস) সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেছেন! ‘পাংকু জামাই’ ছবির শুরু থেকে শেষ এরকম নানান স্বাদের অসঙ্গতিতে ভরপুর ছিল। যার যবনিকা টানা হয়েছে ‘এন্ড ক্রেডিট’-এ শাকিব-অপু অভিনীত ‘রাজা বাবু’ ছবির সমালোচিত গান ‘ভালোবাসি বলিস যদি একবার’-এর ভিডিও ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। এভাবে পুকুর চুরির খুব কি দরকার ছিল? ‘পাংকু জামাই’ ছবির ‘আলতা দুধে’ গান দিয়ে ছবিটি শেষ হলে কি এমন ক্ষতি হতো?

শাকিব খান এ ছবিতে তার মত করেই অভিনয় করে গেছেন। নতুনত্ব নেই। চমক নেই। তবে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন সেটিও বলা যাবে না। শাকিব খান পর্দায় যেভাবেই আসেন, দর্শক পুলকিত হন। অতি সাধারণ দৃশ্যেও তার অভিব্যক্তি সাধারণ দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। এটি তার অনেক বড় অর্জন।

অপু বিশ্বাস এ ছবিতে ‘নূপুর’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় করার কোনো সুযোগই পাননি তিনি। চিত্রগ্রাহক আসাদুজ্জামান মজনু খুব অশ্লীলভাবে অপু বিশ্বাসের প্রথম দৃশ্য থেকে বেশ কিছু দৃশ্যে আপত্তিকর জায়গাগুলোতে ফোকাস করার চেষ্টা করেছেন। তবে পুরো ছবিতেই অপু বিশ্বাসকে দেখতে ভালো লেগেছে। এটিএম শামসুজ্জামান এ বয়সে এসে এ ধরনের ছবিতে অভিনয় করবেন-বিষয়টি মানা যায় না। বয়সের কারণে তার ডাবিংও বেশ কিছু দৃশ্যে যথাযথ হয়নি। তার স্ত্রী অর্থাৎ অপু বিশ্বাসের দাদীর চরিত্রে দুলারীর পোশাক ও সাজ চোখে পীড়া দিয়েছে। বিয়ে বাড়িতে গেলেও কেউ এতটা উচ্চকিত সাজ দেয় না, তিনি ঘুমুতে গিয়েও যতটা সেজেছেন। মিশা সওদাগর এ ছবিতে শাকিব খানের প্রতিদ্বন্দ্বী জামাইয়ের চরিত্রে কিছু দৃশ্যে বিনোদন দিয়েছেন। তবে এ ছবিতে অন্য অভিনয়শিল্পীরা (সাদেক বাচ্চু, শিবা শানু, খালেদা আক্তার কল্পনা, রেবেকা, পুষ্পিতা পপি, ববি, বাদল, যাদু আজাদ, মোসলেম, কাবিলা) চোখে পড়ার মত অভিনয় করার সুযোগ পাননি।

‘পাংকু জামাই’ ছবির আরেকটি অপ্রাপ্তি হলো, এ ছবির ট্রেলার কিংবা ছবিতেও আবহ সংগীত হিসেবে রুনা লায়লার কণ্ঠে ‘পাংকু জামাই’ গানের অস্তিত্ব আবিষ্কার করা গেলেও যে কোনো কারণেই হোক গানটি শাকিব খান-অপু বিশ্বাসকে দিয়ে ধারণ করতে পারেননি পরিচালক। যে কারণে এ ছবিতে রয়েছে মাত্র ৩টি গান। এন্ড্রু কিশোর ও কনকচাঁপার গাওয়া সুদীপ কুমার দীপের লেখা আলী আকরাম শুভর সুর ও সংগীতে ‘আলতা দুধে’ গানটির সুর এ সময়ের গানের মত নয়। তারপরও শুনতে মন্দ লাগেনি। তবে এ গানে মাত্র একটি অন্তরা। আরেকটি অন্তরা ধারণ করার শিডিউল মেলেনি, সেটিও পর্দায় ধরা পড়েছে।

‘আলতা দুধে’ গানের আগের দৃশ্যপট ছিল: শাকিব খানের কাছ থেকে আংটি পেয়ে অপু বিশ্বাস রাগ করেন। ঠিক তার পরের দৃশ্যেই প্রেমের গান। কি, কেন, কিভাবে?-ভাবতে গেলে মস্তিষ্কের ক্রিয়া বিক্রিয়ায় গোলযোগ দেখা দেবে। তাই অত চিন্তা করিনি। মনির খানের গাওয়া ‘তুমি রহমান হে বিধাতা’ আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেছে দশ বছর আগে। চলচ্চিত্রে একটা সময় এ ধরনের গানের জনপ্রিয়তা ছিল। অবশ্য সুদীপ কুমার দীপের লেখা আলী আকরাম শুভর সুর ও সংগীতে, ইমরান ও তানজিনা রূপার গাওয়া ‘মন করে উড়ু উড়ু’ গানটি শুরু হওয়া মাত্র দর্শকরা মুহূর্মুহু তালি ও শিস দিয়ে আনন্দ নিংড়ে নিয়েছেন। যদিও মজার এই গানটির শেষ অংশেও শাকিব খান ছিলেন অনুপস্থিত। শাকিবের উদ্দেশ্যে বলা অপুর গানের কথাগুলো এটিএম শামসুজ্জামানকে বলেই অপুর গান শেষ করতে হয়েছে। এই গানে বলিউডের ‘মুঝসে শাদী কারোগে’ ছবির শিরোনাম গানের সুরের প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট।

আবহ সংগীত করতে গিয়ে এ রহমান বাবলু জমিয়ে রাখা পুরনো সুরের ভান্ডার খুলে বসেছিলেন। বিশেষ করে এ আর রহমানের বলিউডের ‘রকস্টার’ ছবির সুরগুলো নিয়মিত ব্যবহার করাটা যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

অবশ্য শুধু সংগীতেই নয়, এরকম জোড়াতালি ছিল ছবির প্রায় সব বিভাগেই। এ ছবির শিল্প নির্দেশনা (কলমতর) ছিল চোখে পড়ার মত দৃষ্টিকটু। ১৫ লক্ষ টাকার আংটি পড়ে যে মেয়ে (অপু বিশ্বাস) ঘুরে বেড়ায়, তার বাড়ি ছিল কুড়মুড়ে চানাচুরের চেয়েও মচমচে, ভঙ্গুর। দেখে মনে হচ্ছিল যেন কম বাজেটের মঞ্চ নাটকের সেট ফেলা হয়েছে এবং এখানে পাত্র-পাত্রীরা অভিনয় করতে এসেছেন। এই একটি সেটে বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গাগুলো বারবার খর্ব করছিল। সম্পাদনা, রূপসজ্জা, পোশাক পরিকল্পনা, অ্যাকশন, নৃত্য পরিচালনা, শব্দগ্রহণ-কোনো বিভাগই মুগ্ধ করতে পারেনি।

‘পাংকু জামাই’ দেখা শেষ করে বার বার ভাবছিলাম, আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে কি আদৌ কোনো সেন্সর বোর্ড আছে? ঈদের মত এত বড় জাতীয় উৎসবে দর্শকদের এত বিশাল আকারের একটি প্রতারণা উপহার দেয়ার অর্থটা কী? পরিচালক আব্দুল মান্নান কিংবা প্রযোজক হয়তো এ ক্ষেত্রে অভিনয়শিল্পীদের দুষবেন। তাদের শিডিউল নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি তুলবেন। কিন্তু কারণ যাই হোক, দিন শেষে তো যাদের জন্য চলচ্চিত্র, সেই দর্শকরাই প্রতারিত হলেন। এই দায় কি নির্মাতারা নেবেন নাকি অভিনয়শিল্পীরা?

তাছাড়া প্রতারণার বিষয়গুলো বাদ দিয়েও ছবিতে যা যা আমরা পেয়েছি, তার সিঁকিভাগও তো বিনোদন দিতে পারেনি। শুরু থেকে ছবির পোস্টার (তেলেগু ‘কৃষ্ণার্জুনা যোদ্ধাম’ ছবির নায়কের গলা কেটে শাকিব খানের গলা বসিয়ে দেয়া), ট্রেলারে শাকিব খানকে দেশি মাল বলা-সবকিছুতেই তো রুচি বিকৃতির পরিচয় দেয়া হয়েছে। আমাদের দর্শকদের কি দোষ, বলতে পারেন? আমরা কি ঈদ উৎসবে ‘পাংকু জামাই’-এর মত জোড়াতালি দেয়া ছবি দেখতে চেয়েছিলাম???


মন্তব্য করুন