![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
বাংলা চলচ্চিত্রের সালতামামি ১৯৯০: অর্ধেকের বেশি সিনেমা ব্যর্থ
বিখ্যাত চলচ্চিত্র সাংবাদিক মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৯০ সালকে ‘চলচ্চিত্রের জন্য ব্যবসায়িক ব্যর্থতার বছর’ বলে উল্লেখ করেন। জনপ্রিয় সিনে ম্যাগাজিন ‘ছায়াছন্দ’-এর জন্য সেই বছর সালতামামি লেখেন তিনি। সেখানে জানান, ৭০টি ছবি মুক্তি পেলেও বেশির ভাগই ব্যবসায়িকভাবে সুবিধা করতে পারেনি।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2023/11/shankhomala_illias_khanchon_anju_gosh_bmdb_image.jpg?resize=1024%2C638&ssl=1)
শঙ্খমালা সিনেমায় অঞ্জু ঘোষ ও ইলিয়াস কাঞ্চন
১৯৯০ সালে সপ্তাহ ছিল ৫২টি। এর মধ্যে রমজান মাস ও এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে ১৫ সপ্তাহ কোনো নতুন ছবি মুক্তি পায়নি। তা না হলে ছবির সংখ্যা আরো বাড়তো বলে জানান এ সিনে সাংবাদিক।
ওই বছর ৪টি হচ্ছে যৌথ প্রযোজনার ছবি মুক্তি পায়। কারিগরি দিক থেকে ৫৫টি রঙিন ও ১৫টি সাদা-কালোয় নির্মিত। আওলাদ হোসেন লেখেন, ‘অবস্থাটিতে মনে হচ্ছে আগামী দু’বছরের মধ্যে সাদা-কালো ছবি নির্মাণ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে’।
তিনি বলছেন, ১৯৮৯ সালকে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র বছর হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও ১৯৯০ সালে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ছবি নেই। ৭০টির মধ্যে ১৬টি ছবি উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। সেগুলো হলো— জবাব চাই, প্রেম-প্রতিজ্ঞা, ববি, বিপ্লব, অমরসঙ্গী, আকর্ষণ, অর্জন, গরীবের বউ, বজ্রপাত, বীরযোদ্ধা, স্বাধীন, শঙ্খমালা, অকর্মা, কারণ, মায়ের দোয়া ও যৌথ প্রযোজনার ‘লেডি স্মাগলার’।
আরো কিছু ছবি মোটামুটি সফলতা লাভ করেছে— অগ্নি পুরুষ, মরণের পরে, অশান্ত সংসার, কুসুম কলি ও রতনমালা।
৭০টি ছবির মধ্যে সবচেয়ে সুপারহিট হচ্ছে তোজাম্মেল হক বকুলের ‘শঙ্খমালা’ ও সবচেয়ে ফ্লপ মোশাররফের ‘কংকর’। ফ্লপ ছবির তালিকায় আরো কয়েকটি— দুঃখ নেই, কিসমত, ছুটির ফাঁদে, প্রতিঘাত, মায়ামৃগ, মোহনবাঁশী, ছোট বউ, ধনরত্ন, শেষ পরিচয়, কুচ বরণ কন্যা, লাল গোলাপ, মাইয়ার নাম ময়না ইত্যাদি।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2023/11/jobab_chai_bobita_faruk_bmdb_image.jpg?resize=1024%2C638&ssl=1)
জবাব চাই ছবিতে ববিতা, গোলাম মুস্তাফা ও ফারুক
সালতামামিতে বলা হয়, নব্বই সালে বেশকিছু নামী-দামী পরিচালক তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। কামাল আহমেদের ‘প্রায়শ্চিত্ত’ সাফল্য পায়নি। তেমনি চাষী নজরুল ইসলাম পারেননি ‘মিয়া ভাই’কে সাফল্যের মুখ দেখাতে। দেলোয়ার হোসেন ঝন্টুর চারটি ছবিই অসফল— জাঁদরেল বউ, পালকি, শিমুল পারুল ও দুঃখিনী মা। নারায়ণ ঘোষ মিতাও তার ‘সাজনো বাগান’কে আলোর মুখ দেখাতে পারেননি। তেমনি আজিজুর রহমান পারেননি ঘর ভাঙা সংসার, অমর বন্ধন ও জয়-বিজয়কে সফল করতে।
নামী-দামী পরিচালকদের তুলনায় নতুন পরিচালক আহমেদ সাত্তার দুটি ছবি বজ্রপাত ও বীরযোদ্ধাকে হিট করিয়ে আলোচিত হয়েছেন। আলমগীর কুমকুম দুটি ছবি অমরসঙ্গী ও মায়ের দোয়া হিট করিয়েছেন। পরিচালক ও কৌতুক অভিনেতা হাসমত ‘আনকোরা’ নতুন মুখকে নিয়ে ‘ববি’কে হিট করিয়ে আালোচিত হয়েছেন। তেমনি নতুন পরিচালক কামরুজ্জামান ‘প্রেম-প্রতিজ্ঞা’কে হিট বানিয়ে আলোচিত হয়েছেন।
এ বছর যৌথ প্রযোজনার ৪টি ছবির মধ্যে একমাত্র ‘লেডি স্মাগলার’ বাদে বাকী ৩টি ছবি জীবন পরীক্ষা, নীল দরিয়া ও ভালবাসা ভালবাসা সাফল্য পেতে ব্যর্থ হয়েছে। কলকাতার সুপারহিট ছবি ‘ছোট বউ’-এর কপিরাইট এনে সুপার ফ্লপ ‘ছোট বউ’ বানিয়েছেন জয়নুদ্দিন আহমেদ। অনেক যত্ন ও ব্যয় করে শিবলী সাদিক ‘দোলনা’কে সাফল্যের মুখ দেখাতে পারেননি। নায়করাজ রাজ্জাক নিজে ‘জিনের বাদশা’ ও সহকারী শফিকুর রহমানকে নিয়ে ‘মালামতি’ নির্মাণ করে সাফল্যের মুখ দেখাতে পারেননি। সেই তুলনায় নায়ক-পরিচালক বুলবুল আহমেদের প্রথম বাণিজ্যিক ছবি ‘আকর্ষণ’ সফল। মমতাজ আলী ‘কারণ’ ও গাজী মাজহারুল আনোয়ার ‘স্বাধীন’কে সাফল্যের মুখ দেখিয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
এ বছর পরিচালকদের মধ্যে একমাত্র দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ৩টি ছবি মুক্তি পেয়েছে আজিজুর রহমানের। শফিক, বেলাল আহমেদ, আফতাব খান টুলু, সি বি জামান, শাহ আলম কিরণ, চাষী নজরুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম খোকন, কামাল আহমেদ, আগমগীর কুমকুম প্রমুখ পরিচালকদের ২টি করে ছবি মুক্তি পেয়েছে।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2023/11/swadin_shabana_razzak_bmdb_image.jpg?resize=1024%2C635&ssl=1)
স্বাধীন ছবিতে শাবানা ও রাজ্জাক
অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছবি মুক্তি পেয়েছে রাজিবের ২৪টি। ২১টি ছবি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামান। ১৯টি ছবি নিয়ে তৃতীয় স্থানে প্রবীর মিত্র। নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছবি মুক্তি পেয়েছে রোজিনার, ১৭টি। তবে কোন ছবিই তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করতে না পারায় নির্মাতারা তাকে নিয়ে নতুন করে ভারতে করেছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন ও সুনেত্রা দুজনেই ১১টি করে ছবি নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। একক নায়ক হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন এবারো নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। তার অভিনীত স্বাধীন, প্রেম প্রতিজ্ঞা ও শঙ্খমালা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। তবে সুনেত্রা কোন ছবিতেই উল্লেখযোগ্য সফলতা না পাওয়ায় নির্মাতারা বেশ হতাশ।
১০টি ছবি মুক্তি পেয়েছে জসিমের। কিন্তু একমাত্র ‘অমরসঙ্গী’ বাদে উল্লেখযোগ্য ছবি নেই। সেই তুলনায় ৯টি ছবির অভিনেতা আলমগীর সফলতা পেয়েছেন বেশি। অমরসঙ্গী, মায়ের দোয়া, গরীবের বউ, আকর্ষণ ও অর্জন উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ফারুকের মুক্তিপ্রাপ্ত ৮টি ছবির মধ্যে একমাত্র ‘জবাব চাই’ উল্লেখযোগ্য। সেই তুলনায় রুবেল ছিলেন অনেক বেশি সফল। ৬টি ছবির মধ্যে প্রায় সবক’টিই উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করেছে। জাভেদেরও ৬টি ছবি মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর কোন খবর নেই। ৫টি ছবি মুক্তি পেয়েছে জাফর ইকবাল, সোহেল চৌধুরী ও ওয়াসিমের। এই তিনজনের মধ্যে সোহেল চৌধুরী বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠে এসেছেন। তার বজ্রপাত, বীরযোদ্ধা ও লেডি স্মাগলার বছরের উল্লেখযোগ্য ছবি। জাফর ইকবালের আকর্ষণ’ ও জবাব চাই উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে স্থান করে নিলেও ওয়াসিমের কোনো ছবি নেই। সোহেল রানার ৪টি ছবির মধ্যে একমাত্র ‘অকর্মা’ বড় ধরনের হিট। রাজ্জাকের ৩টি ছবির মধ্যে ‘স্বাধীন’ ই একমাত্র সফল।
উজ্জ্বলের ২টি ছবির মধ্যে ‘কারণ’ বড় রকমের হিট ও ‘ছুটির ফাঁদে’ বড় রকমের ফ্লপ। অন্যান্য নায়কের মধ্যে বুলবুল আহমেদ ৪টি, মাহমুদ কলি ৪টি, মান্না ৮টি, মিঠুন ৫টি, ইমরান ৪টি, আলীরাজ ৩টি, সাত্তার ৩টি ও খসরুর ১টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এদের মধ্যে মাহমুদ কলি, মান্না, আলীরাজ, সাত্তার ও ইমরান নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন। ‘কারণ’-এর পর নির্মাতারা মাহমুদ কলিকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2023/06/bojropat_rubel_bmdb_image.jpg?resize=800%2C499&ssl=1)
বজ্রপাত সিনেমায় রুবেল ও জিনাত
সালতামামিতে আওলাদ হোসেন জানান, নায়িকাদের মধ্যে ববিতা ও অঞ্জুর মুক্তি পেয়েছে ৮টি করে ছবি। ববিতা অভিনেত্রী হিসেবে এবারও তার দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। অঞ্জু বাণিজ্যিক ছবির চাহিদাসম্পন্ন নায়িকা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। শাবানার মুক্তি পেয়েছে ৬টি ছবি। এর মধ্যে স্বাধীন, গরীবের বউ ও মায়ের দোয়া বেশ বড় রকমের হিট। ব্যবসাসফল ছবির অভিনেত্রী হিসেবে শাবানা নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এরপর রয়েছেন চম্পা। তার অভিনীত ৪টি ছবির মধ্যে আকর্ষণ, প্রেম প্রতিজ্ঞা ও জবাব চাই বড় রকমের হিট। নব্বই সালে চম্পা একক নায়িকা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। দিতির পাঁচটি ছবির মধ্যে অমরসঙ্গী ও স্বাধীন উল্লেখযোগ্য।
সুচরিতা ও দিলারার মুক্তি পেয়েছে ৭টি করে ছবি। ‘অকর্মা’ বাদে সুচরিতার আর কোনো উল্লেখযোগ্য ছবি নেই। দিলারা এ বছরও অনুজ্জ্বল থেকে গেলেন। অন্যান্য নায়িকার মধ্যে রানীর ৫টি, দোয়েল ৪টি, অঞ্জনা ৪টি, জিনাত ৪টি, অরুণা বিশ্বাস ৪টি, কবিতা ৪টি, নূতন ৩টি, কবরী ৩টি, সাবিহা ৩টি ও শবনমের ২টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। শবনম, কবরী ও নূতন বরাবরই বড় মাপের অভিনেত্রীর পরিচয় দিয়েছেন। নির্মাতা ও দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন রানী, জিনাত, অরুণা বিশ্বাস ও কবিতা। হাসমতের ‘ববি’ ছবিতে সানি ও নাতাশা ব্যবসাসফল করালেও তাদের আর কোন খবর থাকেনি।
সবশেষে সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, এইসব মিলিয়ে কেটে গেছে ১৯৯০। আর এই সালে ব্যবসায়িক ব্যর্থতাই মুখ্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বলা যায়, পুরোটা বছরই ছিল দুঃসময়ে ভরা।
মুক্তিপ্রাপ্ত ৭০টির মধ্যে শীর্ষ ব্যবসাসফল ১০ ছবি— শঙ্খমালা (ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জু, কবিতা ও মাসুম বাবুল), জবাব চাই (ববিতা, ফারুক, চম্পা ও জাফর ইকবাল), প্রেম প্রতিজ্ঞা (ইলিয়াস কাঞ্চন, চম্পা, মিঠুন ও রেহানা), ববি (সানি ও নাতাশা), বিপ্লব (রুবেল, জিনাত, নন্দিনী ও মিশেলা), অমরসঙ্গী (আলমগীর, জসিম, দিতি, নিপা মোনালিসা, ইমরান, নন্দিনী ও অমিত হাসান), আকর্ষণ (চম্পা, জাফর ইকবাল ও আলমগীর), অর্জন (আলমগীর, অঞ্জু, রুবেল, মিঠুন ও কবিতা), গরীবের বউ (শাবানা, আলমগীর, মান্না ও অরুণা বিশ্বাস) এবং বজ্রপাত (রুবেল, জিনাত, সোহেল চৌধুরী, জুলিয়া, জাভেদ ও শবনম পারভীন)।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2019/10/karon_bmdb_image.jpg?resize=664%2C499&ssl=1)
সুপারহিট ১৬টি ছবি— জবাব চাই, প্রেম প্রতিজ্ঞা, ববি, বিপ্লব, অমর সঙ্গী, আকর্ষণ, অর্জন, গরিবের বউ, বজ্রপাত, বীরযোদ্ধা, স্বাধীন, শঙ্খমালা, অকর্মা, কারণ, মায়ের দোয়া ও লেডি স্মাগলার।
হিট ৬টি ছবি— অগ্নিপুরুষ, মরণের পরে, অশান্ত সংসার, কুসুমকলি, রতন মালা ও বিশ্বাস-অবিশ্বাস।
মোটামুটি ও ফ্লপ ৪৮টি ছবি— জিনের বাদশা, শিমুল পারুল, জীবন পরীক্ষা, জাদরেল বউ, শেষ পরিচয়, মোহনবাঁশি, ছোট বউ, ভালোবাসা ভালোবাসা, অমর বন্ধন, কুচবরণ কন্যা মেঘবরণ কেশ, ধনরত্ন, ঘর ভাঙা সংসার, প্রায়শ্চিত্ত, দোলনা, লাল গোলাপ, সাজানো বাগান, পালকি, নীল দরিয়া, মাইয়ার নাম ময়না, ছুটির ফাঁদে, কিসমত, মিয়াভাই, প্রতিঘাত, দুঃখিনী মা, কংকর, মালামতি, জয়-বিজয়, দুঃখ নেই, মায়ামৃগ, আসমান জমিন, চেতনা, গঙ্গা যমুনা, জিজ্ঞাসা, অসতী, সাজা, জবানবন্দী, সতীপুত্র আব্দুল্লাহ, লাখে একটা, রাণী চৌধুরাণী, প্রতীক্ষা, কৈফিয়ত, ঘর আমার ঘর, গরিবের প্রেম, আদেশ, হুংকার, আপন ঘর, মনিকাঞ্চন ও ওমর আকবর।
সর্বাধিক ছবির নায়ক-নায়িকা ইলিয়াস কাঞ্চন ১১টি ও রোজিনা ১৭টি। শীর্ষ ৫ নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, আলমগীর, রুবেল, সোহেল চৌধুরী ও জসিম। শীর্ষ ৫ নায়িকা ববিতা, অঞ্জু, শাবানা, চম্পা ও দিতি।
কৃতজ্ঞতা: ফেসবুকে বাংলা চলচ্চিত্র বিষয়ক গ্রুপ ফিল্ম অ্যান্ড থিয়েটারে এ সালতামামি শেয়ার করেছেন ফয়সাল বারী।