Select Page

বুবলির সঙ্গে অধ্যায় কীভাবে শেষ করলেন শাকিব খান?

বুবলির সঙ্গে অধ্যায় কীভাবে শেষ করলেন শাকিব খান?

আবারো ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে আলোচনায় শাকিব খান। ‘অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণকাণ্ড’ ও পাল্টাপাল্টি ‘মামলা’র পর ফের ফিরেছেন শবনম বুবলি প্রসঙ্গে। তিনি জানালেন, বুবলির সঙ্গে অনস্ক্রিন-অফস্ক্রিন দুই অধ্যায়ই শেষ। কিন্তু অনস্ক্রিন বোঝা গেলেও অফস্ক্রিন অস্পষ্ট রাখলেন।

হিমেল আশরাফের পরিচালনায় অনেকদিন পর নতুন ছবির জন্য শুটিং ফ্লোরে যাচ্ছেন শাকিব। এই উপলক্ষে (নাকি বুবলি অধ্যায় উপলক্ষে) সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন।

‘প্রিয়তমা’ ছবির প্রথম পছন্দ ছিলেন বুবলি। প্রাথমিক ঘোষণার ছয় পর ছবিটি নির্মিত হচ্ছে কলকাতার ইধিকা পাল। এ নিয়ে প্রথম আলোকে শাকিব বলেন, “শুরুতে যখন ‘প্রিয়তমা’ নিয়ে আলাপ হয়েছিল, তখন গল্পের প্রয়োজনে একদম নতুন কাউকে দরকার ছিল, যে টুকটাক অভিনয় করেছে, কিন্তু ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। বুবলি তো গত কয়েক বছরে ডজনখানেকেরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছে। তা ছাড়া ছবির গল্পের সঙ্গে বুবলির বয়সও এখন কাভার করছে না। সব বিবেচনায় তাকে নেওয়া হয়নি।”

এর পরের প্রশ্ন- ঘটনা কি শুধু তা–ই, নাকি আপনিই চাইছেন না? শাকিব বললেন, “এটা ঠিক, বুবলির সঙ্গে আমি আর কোনো ছবিতে কাজ করব না, এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বুবলিকে আমার সঙ্গে আর অনস্ক্রিন–অফস্ক্রিন কোথাও দেখা যাবে না। আপনারা যদি ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির ‘সুরমা সুরমা’ গানটি দেখে থাকেন, তাহলে খেয়াল করবেন, একটা রোমান্টিক গান; তবে দুই শিল্পীর একটা দূরত্ব ছিল। কাছাকাছি দেখা যায়নি তাঁদের। আমার পুরো অভিনয়জীবনে এমনটা কখনো ঘটেনি। কারণ, আমি আর কোনো দিন বুবলির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে চাই না।”

এই খবরে বুবলির প্রতিক্রিয়া পড়ুন এখানে

অনস্ক্রিন না হয় বুঝলাম। তাহলে অফস্ক্রিন বলতে কী বোঝাতে চাইছেন? শাকিব বলেন, ‘অফস্ক্রিন মানে পর্দার বাইরের জীবন। মানে, বাস্তবে জীবনে বুবলির সঙ্গে আমার সব সম্পর্ক অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে, সেটাই বলতে চেয়েছি। তার জীবন তার, আমার জীবন আমার। সন্তানের কারণে আমাদের যা করণীয়, সেটাই হবে, দ্যাটস ইট। আবারও বলছি, তার সঙ্গে আমার অধ্যায় পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।’

কিন্তু আপনাদের তো একসঙ্গে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনাদের সন্তান শেহজাদসহ একসঙ্গে স্থিরচিত্রও দেখা যায়। ‘আমার তো সন্তান আছে। শেহজাদ এখনো ছোট। সে মায়ের সঙ্গে থাকে। শেহজাদ যখন বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসে, তখন ন্যানির সঙ্গে মা–ও সঙ্গে আসে। তখন আমাদের হয়তো এক ছবিতে দেখা যায়। সন্তানের জন্য আমাদের দেখাসাক্ষাৎ হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমার বড় সন্তান আব্রাহাম এখন একা আসতে পারে। স্কুল বন্ধ থাকলে আমার সঙ্গে কয়েক দিন থাকেও। ওকে নিয়ে ঘুরতে যাই। শেহজাদেরও যখন একা থাকার বয়স হবে, তখন সে–ও ন্যানির সঙ্গে বা ন্যানিকে ছাড়াই একা একা আসবে। বাবার সঙ্গে থাকবে। ঘুরবেও, বেড়াবে। দুই সন্তান বাবার সঙ্গে ঘুরবে, বেড়াবে—এসব তো স্বাভাবিক নাকি? তাই এসব নিয়ে রংচং মাখিয়ে খবর প্রকাশের তো কিছু নেই। আমাদের সম্পর্ক যে নেই সে বিষয়টা তো অনেক আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছি। এসব নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কোনো কথা বলতে চাই না। আপনারা আমাকে এসব নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।’

বাস্তবে জীবনে বুবলির সঙ্গে আমার সব সম্পর্ক অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে, সেটাই বলতে চেয়েছি— বলতে শাকিব কী বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। কারণ বিয়ে-সন্তান নিয়ে বুবলি প্রথম থেকে যতটা সরব শাকিব কখনো তেমনটা ছিলেন না। একপ্রকার বাধ্য হয়েই সন্তানের খবরটি প্রকাশ করেন। এখন সম্পর্ক শেষ বলতে আইন প্রক্রিয়া বুঝিয়েছেন কি না, তা উল্লেখ নেই।

এর আগেও অপু বিশ্বাস সন্তান নিয়ে আড়াল থেকে ফেরার পর শাকিব স্ত্রী হিসেবে অপুকে অস্বীকার করেন। তবে পরে বিয়ের কথা স্বীকার করেন। এর কিছুদিন পর তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সেখানেও কিছু অস্পষ্ট রয়ে গেছে। সেইবার তালাকের নোটিশের খবর পাওয়া গেলেও বুবলির ক্ষেত্রে তেমন কিছু জানা যায়নি। এখন ‘অধ্যায় শেষ বলতে’ অভিমান কি না, সেটা তারাই ভালো জানেন।


মন্তব্য করুন