Select Page

ব্যক্তিগত কেচ্ছা ছাড়া তাদের দেয়ার কী আছে!

ব্যক্তিগত কেচ্ছা ছাড়া তাদের দেয়ার কী আছে!

সারা দুনিয়ায় তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন দর্শক-ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে। তাদের সিনেমার হিট-ফ্লপ বা পণ্যের দূত হওয়াও এর ওপর নির্ভর করে। যার যত বেশি গপিস সে যেন ততটা হিট। তবে সবকিছুর তো একটা মাত্রা থাকে।

শাকিব খানের বিয়ে-সন্তান গোপন রাখার দুই-দুটি ঘটনা সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে যেন। তিনিসহ অপু বিশ্বাস শবনম বুবলির ক্যারিয়ারে এর বিশদ ছাপ পড়বে।

আজকালকার দুনিয়া প্রেম-বিয়ে বা সন্তান তারকারা উদযাপনই করেন। প্রেমিক, স্বামী বা বাবা হিসেবে যিনি যতটা যত্মবান তার জনপ্রিয়তা তত বেশি। কিন্তু এই জায়গায় পিছিয়ে আছেন তিন তারকা শাকিব, অপু ও শবনম। এর মধ্যে অপু তো প্রাক্তনই। অন্যদিকে বুবলি নিজেকে বারবার বর্তমান দাবি করলেও শাকিব বলছেন উল্টোটা। সব মিলিয়ে সিনেমার বাইরে এই সিনেমায় দর্শকের আগ্রহ বেশি। অথচ প্রেক্ষাগৃহে তিনজনেরই দেয়ার মতো কোনো চমক নাই আপাতত।

শাকিব-অপু জুটি নিসন্দেহে বাংলাদেশের একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি ছবির করা জুটির অন্যতম। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, তাদের এমন ৫টি সিনেমার কথা বলা যাবে না, যাকে এখনো কেউ স্মরণ করে। তারা হিট সিনেমার উপহার দিলেও শাবনূর, পূর্ণিমা বা সাহারার সঙ্গে শাকিবের করা ছবিরই নাম নেন দর্শক।

অপুর সঙ্গে সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর যৌথ প্রযোজনা ছাড়া সেই অর্থে শাকিবের কোনো হিট সিনেমা নেই। সেই ২০১৭ সাল থেকে তিনি খরায় ভুগছেন। সাম্প্রতিক বছরে করোনা ও গ্রিনকার্ডের পেছনে সময় ব্যয় করতে গিয়ে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও বুবলির সঙ্গে সন্তান বীর প্রকাশ্যের আসার পর হালের আলোচিত নির্মাতাদের সঙ্গে একাধিক ছবির ঘোষণা দিয়েছেন, তবে শুটিং করছেন কয়েক বছর পুরোনো ‘আগুন’-এর। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘অন্তরাত্মা’ বা ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ নিয়ে এখনো কোনো সুস্পষ্ট তৎপরতা নেই।

গত কয়েক বছরের হিট সিনেমার খতিয়ানে দেখা যায়, এগুলো কম বাজেটে নির্মিত। ৬০ থেকে ৮০ লাখের মধ্যে। এ ছাড়া কম বাজেটে নির্মাণ করে বিজ্ঞাপন বা রাইটস বিক্রি করে টাকা তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে শাকিব খানের জন্য যে বাজেট লাগে, তা তোলার মতো প্রেক্ষাগৃহ নেই এখন। হাওয়া বা পরাণের ব্যবসায়িক হিসাব থেকে তা স্পষ্ট। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শাকিবের ব্যক্তিগত ইমেজ। এ ছাড়া বারবার আন্তর্জাতিক ছবির ঘোষণা দিয়েও পুরোনো অবতারেই ফিরেছেন। সব মিলিয়ে কামব্যাকে কতটা চমক ও ক্লিন ইমেজ নিয়ে তিনি ফেরেন সেটা হলো বিষয়।

শাকিব বাদে অপুর সে অর্থে অন্য কোনো নায়কের ছবিই নেই। ব্যক্তিগত ঘটনার সূত্র ধরে গত কয়েক বছরে মিডিয়া বা অন্যান্য পেশাগত ক্ষেত্রে তার অবস্থান উঠানামা করছে। তার বর্তমান অবস্থায় সিনেমায় নতুন করে অবস্থান গড়া কঠিন। বিশেষ করে মাহির সুসময়ের পর অন্য কোনো নায়িকার নামে সিনেমায় ভিড় করে না দর্শক। অপুর ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব না। তাই সাবেকের সঙ্গে ব্যক্তিগত কেচ্ছায় যতটা আলোচনায় থাকতে পারেন তিনি। সরকারি অনুদানসহ বি গ্রেডের দুই-একটি আছে এখন অপুর হাতে।

অন্যদিকে এ সময়ে অন্য যেকোনো নায়িকার চেয়ে শবনম বুবলির হাতভর্তি ছবি। তবে শাকিব ছাড়া তার কোনো ছবি ব্যবসার সম্ভাবনা দেখাতে পারেনি। এমনকি তার অভিনয়ের উন্নতি নিয়ে আলোচনা হলেও দর্শক টেনে নেওয়ার মতো অবস্থায় উঠেননি। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রভাবে তার প্রতি দর্শক আগ্রহ অবশ্য বাড়বে।

তবে সব মিলিয়ে প্রেম-বিয়ে-সন্তান নিয়ে দুই নায়িকার জীবনে যা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের মতো ক্যারিয়ারকেও বিষিয়ে দিয়েছে।


মন্তব্য করুন