Select Page

ভালো ছবি হলেই মাল্টিপ্লেক্স থেকে ১-২ কোটি টাকা আয় সম্ভব

ভালো ছবি হলেই মাল্টিপ্লেক্স থেকে ১-২ কোটি টাকা আয় সম্ভব

দেরিতে হলেও আমাদের মাল্টিপ্লেক্স ভিত্তিক দর্শক তৈরি হয়েছে। খুব দ্রুততার সাথে দেশে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় মাল্টিপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। এতে সবচেয়ে বেশি লাভ সুস্থ ধারার প্রযোজকদের অবশ্যই।

দেশে ওটিটিতে আমাদের পরিচালকরা প্রমাণ করে দিয়েছেন বাজেট দিলে তারাও বড় স্কেলে কাজ করতে সক্ষম। সেগুলোকে সফল করতে কারো স্টারডমেরও দরকার হয় না, শুধুমাত্র কন্টেন্টের মানের কারণে দর্শক টাকা দিয়ে সেগুলো দেখছে।

সম্প্রতি মূলধারার কোন বড় তারকা ছাড়াই (চঞ্চল এফডিসি কেন্দ্রিক নায়ক নন) ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’ আশাতীত সাফল্য পেয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সের এ জোয়ার গুণী পরিচালক ও প্রযোজকদের লুফে নেয়া উচিৎ। আমাদের ওটিটিতে যে বাজেটের কাজ হচ্ছে সে ব্যাবসা শুধুমাত্র মাল্টিপ্লেক্স দিয়েই করা সম্ভব।

দেশের বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সে বর্তমানে প্রতিদিনের শো সংখ্যার হিসাব— ব্লকবাস্টার ২৭, সিলভার স্ক্রিন ৯, লায়ন ১৩, স্টার সিনেপ্লেক্স ৫৮, শ্যামলী ৪, মধুবন ৪ ও গ্র্যান্ড সিলেট ২।

এ ছাড়া রুটস বা সিনেস্কোপের মতো মিনিপ্লেক্স রয়েছে। তবে এগুলো বাদ দিয়ে সর্বমোট ১১৭টি শো প্রতিদিন। মানে মাসে ৩৫০০+ শো। ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’ যখন একসাথে চলেছে মাল্টিপ্লেক্সের ৭০ শতাংশ শো এই দুই সিনেমার দখলে ছিল। সিনেমা দুটি যথাক্রমে ৭ ও ৫ সপ্তাহ ধরে মাল্টিপ্লেক্সে চলছে, সামনেও চলবে।

একটি সিনেমা এই শোয়ের ৫০ শতাংশ নিতে পারলেও ১৭৫০টি শো। গড়ে ২০০ করে দর্শক ধরলেও সাড়ে ৩ লাখ টিকিট বিক্রি সম্ভব। ২৫০-৪০০ টাকার টিকিটে প্রযোজক ৫০ টাকা করে পেলেও ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কেবল এই মাল্টিপ্লেক্স থেকেই পেতে পারে। সাথে রয়েছে সিঙ্গেল স্ক্রিন, মিনি সিনেপ্লেক্স, ইন্টারন্যাশনালি মুক্তি, টিভি রাইট, স্পন্সর, ডিজিটাল রাইটস ও ওটিটি রাইটস। আরেকটি বিষয়ে হলো, মাল্টিপ্লেক্স এখন ট্রেন্ড সেটার হিসেবে কাজ করছে। অর্থাৎ, এ ধরনের প্রেক্ষাগৃহে একটি সিনেমা ভালো রেসপন্স পেলে সারা দেশেই প্রচার পেয়ে যায়। তাই গুণী নির্মাতা ও প্রযোজকদের সময় এসেছে ভিন্নভাবে ভাবার।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত

মন্তব্য করুন