![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
ভালো না চললেও দ্বিতীয় সপ্তাহে ১১২ প্রেক্ষাগৃহে ‘নাকাব’, কেন?
# পশ্চিমবঙ্গে ভালো চলেনি ‘নাকাব’, বাংলাদেশেও একই অবস্থা।
# সপ্তাহের প্রথম থেকেই দর্শক খরা।
# তারপরও অনেক প্রেক্ষাগৃহে দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রদর্শিত হবে।
# সব মিলিয়ে চলবে ১১২ হলে।
শাকিব খান অভিনীত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ছবি ‘নাকাব’। ছবিটি সেখানে মুক্তি পেয়েছে গত ২১ সেপ্টেম্বর। একই দিনে সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে মুক্তির কথা থাকলেও প্রথমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মেলেনি। পরে অনুমতি পেয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীসহ সারাদেশে শতাধিক হলে মুক্তি পায় ছবিটি। আমদানি করে ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি দিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। রাজীব বিশ্বাসের পরিচালনায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নুসরাত জাহান ও সায়ন্তিকা।
ছবি মুক্তির আগে প্রযোজক-পরিবেশকের পক্ষ থেকে এই ছবিকে নানা বিশেষণ দিয়ে বিশেষায়িত করা হলেও বাস্তবে এর দেখা মেলেনি। ছবিটি বাংলাদেশে একদমই ব্যবসা করতে পারেনি বলে জানিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। এর আগে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গেও ছবিটির মন্দার খবর জানা যায়।
ঢাকার বলাকা, শ্যামলি থেকে যশোরের মনিহার কোথাও ভালো ব্যবসা করছে না সিনেমাটি। কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে। এমনকি কোনো কোনো হলে প্রথম দুদিনও ভালো চলেনি। অথচ শাকিব খানের সিনেমা মানে প্রথম তিনদিন হাউসফুল ধরা হতো।
একে তো শাকিবের সিনেমা, তারপর ভারতীয় লগ্নি- এমন ভরসায় ছিলেন সিনেমা হল মালিকরা। সে সুযোগ লুফে নেয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। তাদের কথায় অধিকাংশ প্রেক্ষাগৃহ দুই সপ্তাহের জন্য বুকিং দেয়।
চলচ্চিত্রের ব্যবসা সম্পর্কে সবচেয়ে সমন্বিতভাবে পাওয়া যায় বুকিং এজেন্টদের নিকট। কেননা বুকিং এজেন্ট সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে ছবি সরবরাহ করে।
বাংলাদেশ বুকিং এজেন্ট সমিতির সভাপতি সারওয়ার আলি ভুঁইয়া (দিপু) কালের কণ্ঠকে বলেন, শাকিবের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে খারাপ ব্যবসা করা ছবি নাকাব। শুক্রবার-শনিবার চোখ বন্ধ করে ছবির বিজনেস ভালো হবার কথা। কিন্তু শুক্র-শনিবার ‘নাকাব’ এর মতো বাজে ব্যবসা অন্যান্য সিনেমাতেও হয় না। ছবির মান ও গল্প ভালো ভালো না। দর্শক আপনার আমার মতো বোকা না যে টাকা খরচ করে এমন ছবি দেখবে।
তিনি বলেন, প্রথম সপ্তাহের পুরোটা দিন নাকাবের ব্যবসা মন্দা গিয়েছে। বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহেও অনেক হলে এই ছবি চলবে। কারণ দুই সপ্তাহের জন্যই বুকিং নিয়েছে তারা।
এদিকে জাজ সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেমাটি চলে ১১২ প্রেক্ষাগৃহে।