![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
‘যৌথ প্রযোজনায় পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করছে সরকার, যা আগে কেউ করেনি’
কিছুদিন আগে জাজ মাল্টিমিডিয়ার হয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন কাজী হায়াৎ। ওই সময় আন্দোলনরত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারকে ‘নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী’ উল্লেখ করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেন। একই বিষয়ে আবারো মুখ খুললেন তিনি।
‘নবাব’-এর সাফল্যকে ঘিরে মঙ্গলবার রাজধানীর এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখান উপস্থিত কাজী হায়াৎ দাবি করেন, ‘আমার মনে হয়, বর্তমান সরকার যৌথ প্রযোজনার জন্য যে পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করে করেছে তা আগের কোনো সরকার করেনি।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ছবি নির্মাণে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রিভিউ কমিটি কাজ করছে। কমিটি চিত্রনাট্য, কলাকুশলীর সংখ্যাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেওয়ার পরই কেবল যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করা যায়। এরপর যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শেষে আবারো এ প্রিভিউ কমিটির কাছে জমা দিতে হয়। প্রিভিউ কমিটি ফের নির্মিত চলচ্চিত্রটি নীতিমালা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কি-না, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিলেই নির্মাতা বা প্রযোজক তা সেন্সর সনদের জন্য বোর্ডে জমা দেন।’
এদিকে শোনা যাচ্ছে, হালের যৌথ প্রযোজনার মুখ্য প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন সিনেমা পরিচালনা করতে যাচ্ছেন কাজী হায়াৎ। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠান সাফটার চুক্তির আওতায় ভারতে রফতানি করবে এ নির্মাতার ছেলে কাজী মারুফ অভিনীত ‘মাস্তানি’। সিনেমাটির বদলে বাংলাদেশে আসবে দেব অভিনীত ‘চ্যাম্প’।
একই অনুষ্ঠানে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে। চলচ্চিত্রের স্বার্থেই এই বিভক্তি দূর করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘৭১ বছর বয়স চলছে আমার। আমি ৪১ বছর ধরে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। একজন সিনিয়র হিসেবে অনুরোধ করব, দ্রুত এই সংকটের সমাধান করুন। বাংলা চলচ্চিত্র আমাদের সবার, তা রক্ষা করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’
ওই অনুষ্ঠানে ‘নবাব’-এর সাফল্য ও শুভেচ্ছা জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাকিব খান। আরো ছিলেন সেন্সরবোর্ড সদস্য শাবান মাহমুদ, গাজী মাহবুব, প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজসহ অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নির্মাতা কাজী হায়াৎ, প্রযোজক আবদুল আজিজ, নানা শাহ ও অভিনেতা নাদের চৌধুরী চিত্রনায়ক ফারুকের বাসায় যান। সেখানে তারা চলচ্চিত্রের সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে আলাপ করেন। চিত্রনায়ক ফারুকও এ সময় বলেন চলচ্চিত্রের স্বার্থেই সব ধরনের সংকট দূর করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। উপস্থিত সবাই একমত হন যে, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেদের মধ্যে দ্রুত বিভেদ দূর করা প্রয়োজন।
সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিন