Select Page

‘রূপসা নদীর বাঁকে’ নির্মাণে অংশ নেবেন যেভাবে…

‘রূপসা নদীর বাঁকে’ নির্মাণে অংশ নেবেন যেভাবে…

বামপন্থীদের নিয়ে তানভীর মোকাম্মেলের কাহিনীচিত্র “রূপসা নদীর বাঁকে”-র জন্যে Crowd Funding বা গণ-অর্থায়নের আবেদন।

বাংলাদেশের রাজনীতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে বামপন্থীদের অবদান অনেক। এদেশে শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের প্রসার এবং সার্বিকভাবে সমাজপ্রগতির লক্ষ্যে বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে বামপন্থীদের ত্যাগ-তিতীক্ষা ও জেল-নির্যাতনের অনেক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু তাঁদের এই ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা তেমনভাবে বলা হয় না। তাই পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল বাংলাদেশের বামপন্থীদের নিয়ে “রূপসা নদীর বাঁকে” নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ছবিটিতে তিরিশ দশকের স্বদেশী আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্টদের হত্যাসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ একজন বিপ্লবীর জীবনের প্রেক্ষিতে বর্ণিত হবে। দুই ঘন্টা দৈর্ঘ্যের এই কাহিনীচিত্রটির নাম “রূপসা নদীর বাঁকে” ।

ছবিটির মোট বাজেট ছিয়ানব্বই লক্ষ টাকা (টা: ৯৬,০০,০০০/=)। এর মধ্যে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা (টা: ৫০,০০,০০০/=) বাংলাদেশ সরকার অনুদান হিসেবে প্রদান করছেন। যেহেতু এ ধরণের ছবির জন্যে আমরা কর্পোরেট পুঁজির দ্বারস্থ হতে চাই না, তাই বাকী ছেচল্লিশ লক্ষ টাকা (টা: ৪৬,০০,০০০/=) গণ-অর্থায়ন বা Crowd Funding-য়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দৈর্ঘ্য : দুই ঘন্টা

“রূপসা নদীর বাঁকে” চলচ্চিত্রটির কাহিনী সার-সংক্ষেপ:

খুলনা জেলার রূপসা নদীর পারে কর্ণপাড়া গ্রামে এক ক্ষয়িষ্ণু সামন্ত পরিবারে জন্ম মানবরতন মুখোপাধ্যায়ের। শৈশবে পিতৃহীন তরুণ মানব বৃটিশ আমলে “অনুশীলন” সমিতি ও পরে বামপন্থী আন্দোলনে যোগ দেন। কৃষক আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে এলাকার সবার কাছে ক্রমে “কমরেড মানবদা” নামে পরিচিত ও সম্মানিত হয়ে ওঠেন। দরিদ্র নম:শুদ্র কৃষকেরা ওঁকে শ্রদ্ধাভরে ডাকত “কমরেড ঠাকুর” বলে।

প্রথমে বৃটিশ সরকার ও পরে পাকিস্তান আমলে জেল-জুলুম-নির্যাতন ও নানা সংগ্রামের মাঝে ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ জীবন কাটে মানবরতন মুখোপাধ্যায়ের। ওঁর জীবনের এক বড় অর্জন ছিল ডাকাতিয়ার বিলে বাঁধ দিয়ে কৃষকদের জন্যে হাজার হাজার বিঘে কৃষিজমি উদ্ধার করা। আর সবচে ভয়াবহ অভিজ্ঞতাটা হোল ১৯৫০ সালে রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে জেলবন্দীদের গুলি করে মারার ঘটনাটি, যে ঘটনার তিনি ছিলেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

১৯৪৭-য়ের দেশভাগের পরে একে একে ভারতে চলে যেতে থাকে মানব মুখোপাধ্যায়ের আত্মীয়-স্বজন ও পুরনো সঙ্গীরা। কিন্তু মানব মুখোপাধ্যায় রয়ে যান ওঁর প্রিয় হিন্দু-মুসলমান দরিদ্র কৃষকদের মাঝে। পাকিস্তানী আমলের শত প্রতিকূলতার মাঝেও এদেশে থেকেই সমাজ প্রগতির পক্ষে কাজ করে যেতে থাকেন। ১৯৭১ সালে রাজাকাররা বৃদ্ধ মানব মুখোপাধ্যায়কে হত্যা করে।

চির অবিবাহিত মানব মুখোপাধ্যায়ের শৈশবে এক প্রেমিকা ছিল। ছিল এক অনুরক্তাও। কিন্তু দেশবিভাগের ডামাডোলের মাঝে হারিয়ে যায় ওঁর বাল্যপ্রেমিকা উর্মিমালা। হারিয়ে কী যায় !

ভাগ্যতাড়িত এক বামপন্থী নেতা এবং ওঁর সময় ও যুগকে নিয়ে ছবির কাহিনী “রূপসা নদীর বাঁকে”।

“রূপসা নদীর বাঁকে”-র কলাকুশলীদের তালিকা:

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : তানভীর মোকাম্মেল
চিত্রগ্রহণ : মাহফুজুর রহমান খান
আবহসঙ্গীত : সৈয়দ সাবাব আলী আরজু
শিল্পনির্দেশনা : উত্তম গুহ
সম্পাদনা : মহাদেব শী
পোষাক : চিত্রলেখা গুহ
প্রধান সহকারী পরিচালক : উত্তম গুহ
কার্য্যনির্বাহী প্রযোজক : আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ
লাইন প্রযোজক : মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন
সহকারী পরিচালনা : সৈয়দ সাবাব আলী আরজু, সগীর মোস্তফা, রানা মাসুদ, মতিউর সুমন
অভিনয়ে : জাহিদ হোসেন শোভন, খায়রুল আলম সবুজ, নাজিবা বাশার, রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, চিত্রলেখা গুহ, কেরামত মওলা, ঝুনা চৌধুরী, আফজাল কবির, মাসুম বাশার, বৈশাখী ঘোষ, ইকবাল আহমেদ ও অন্যান্য।

গণ-অর্থায়নের ক্ষেত্রগুলি:

“রূপসা নদীর বাঁকে” ছবিটি করার জন্যে আমরা মোট ছেচল্লিশ লক্ষ টাকা (টা: ৪৬,০০,০০০/=) তোলার লক্ষ্যে গণ-অর্থায়নের আবেদন করছি। গণ-অর্থায়নের ক্ষেত্রগুলি নিম্নরূপ;

অর্থায়নের পরিমাণ

(১) “নিবেদক” (Presented by) : টা: ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ টাকা) [USD $ 7,300] প্রদান করলে ছবির “নিবেদক”(Presented by) হিসেবে টাইটেলে নাম যাবে। “নিবেদক” টাইটেল কার্ডটি ছবির প্রথমেই প্রদর্শিত হবে। এছাড়া ছবির “নিবেদক”-কে ছবিটির প্রিমিয়ার শো-তে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হবে এবং চলচ্চিত্রটির “নিবেদক”-কে ছবিটার একশ (১০০) ডিভিডি দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটি পোস্টার এবং প্রিমিয়ার শো-য়ের পঞ্চাশটি (৫০) আমন্ত্রণপত্র পাবেন।

(২) টা: ১,০০,০০০/- [এক লক্ষ টাকা] [USD $ 1210 and above]
* ছবির টাইটেল কার্ডে অর্থ প্রদানকারীর নাম সহযোগী প্রযোজক (সাম্মানিক) হিসেবে যাবে
* ছবির স্মণিকায় অর্থপ্রদানকারীর নাম সহযোগী প্রযোজক (সাম্মানিক) হিসেবে যাবে
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটি ডিভিডি পাবেন।
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটি পোস্টার পাবেন।
* প্রিমিয়ার শো-য়ের বিশটি (২০) আমন্ত্রণপত্র পাবেন।

(৩) টা: ৫০,০০০/- [পঞ্চাশ হাজার টাকা] [USD $ 605 and above]
* ছবির প্রথম টাইটেল কার্ডে অর্থপ্রদানকারীর নাম যাবে
* ছবির স্মরণিকায় অর্থপ্রদানকারীর নাম কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করা হবে
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটা ডিভিডি পাবেন
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটি পোস্টার পাবেন
* প্রিমিয়ার শো-য়ের বিশ (২০) আমন্ত্রণপত্র পাবেন

(৪) টা: ১০,০০০/- ও উর্ধ্বে [USD $ 120 and above]
* ছবির শেষ টাইটেল কার্ডে অর্থপ্রদানকারীর নাম যাবে
* ছবির স্মরণিকায় অর্থপ্রদানকারীর নাম কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করা হবে
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটা ডিভিডি পাবেন
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটি পোস্টার পাবেন
* প্রিমিয়ার শো-য়ের দশটি (১০) আমন্ত্রণপত্র পাবেন

(৫) টা: ৫,০০০/- ও উর্ধ্বে [USD $ 60 and above]
* ছবির স্মরণিকায় অর্থপ্রদানকারীর নাম কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করা হবে
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটা ডিভিডি পাবেন
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটি পোস্টার পাবেন
* প্রিমিয়ার শো-য়ের দশটি (১০) আমন্ত্রণপত্র পাবেন

(৬) টা: ২,০০০/- ও উর্ধ্বে [USD $ 25 and above]
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটা ডিভিডি পাবেন
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটি পোস্টার পাবেন
* প্রিমিয়ার শো-য়ের পাঁচটি (০৫) আমন্ত্রণপত্র পাবেন

(৭) টা: ১,০০০/- ও উর্ধ্বে [USD $ 12 and above]
* অর্থপ্রদানকারী পরিচালকের স্বাক্ষরকৃত ছবির একটি পোস্টার পাবেন।
* প্রিমিয়ার শো-য়ের দুইটি (০২) আমন্ত্রণ পত্র।

(৮) টা: ৫০০/- ও উর্ধ্বে [USD $ 6 and above]
* প্রিমিয়ার শো-য়ের দুটি (০২) আমন্ত্রণ পত্র।

অর্থ পাঠানোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর:

Account Holder’s Name : TANVIR MOKAMMEL
Account Number : 01 6728081 01
Swift Code : SCBLBDDX
Standard Chartered Bank
Branch Name : Dhanmondi, Dhaka
Bangladesh

এছাড়া সরাসরি bKash -য়ের মাধ্যমে কেউ অর্থ প্রেরণ করতে পারেন। bKash -য়ের পারসোনাল হিসাব নন্বরটি হচ্ছে; +৮৮ ০১৯৯৯ ৬৩৩৭৮১।
১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ পর্যন্ত অর্থ প্রেরণ করা যাবে। অর্থটি পাঠানোর পর +৮৮ ০১৯৯৯ ৬৩৩৭৮১ ফোন নম্বরে অথবা [email protected] -য়ে আপনার প্রেরিত অর্থের পরিমাণ, সম্পূর্ণ নাম (বাংলা ও ইংরেজীতে), ঠিকানা, ফোন নম্বর ও ই-মেইল নম্বর পাঠানোর জন্যে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
“রূপসা নদীর বাঁকে” কাহিনীছবিটির জন্যে আপনার প্রেরিত অর্থ ধন্যবাদের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে এবং প্রদেয় অর্থ প্রাপ্তির মুহুর্তেই আপনাকে জানানো হবে। আপনাদের প্রেরিত অর্থ “রূপসা নদীর বাঁকে” কাহিনীছবিটি সম্পূর্ণ করার কাজে ব্যয় করা হবে।

তানভীর মোকাম্মেল চলচ্চিত্র নির্মাতা ফ্ল্যাট-৩বি, বাড়ী-৩৯/এ, রোড-৪/এ
ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা-১২০৯, বাংলাদেশ
ই-মেইল: [email protected] ওয়েবসাইট- www.tanvirmokammel.com


মন্তব্য করুন