Select Page

শরিফুল রাজকে নিয়ে চার নির্মাতার চ্যালেঞ্জ

শরিফুল রাজকে নিয়ে চার নির্মাতার চ্যালেঞ্জ

নিসন্দেহে ২০২৪ সালটা ভীষণ ভালো যাবে শাকিব খানের। এরপরই আগ্রহ তৈরি করা কিছু প্রজেক্টের সুবাদে শরিফুল রাজের নাম নেয়া যায়। আর সেগুলো যদি যথাযথ হয়, তবে ২০২২ সালের পর ক্যারিয়ারে সফল একটি বছরের দেখা পাবেন হালের এ হার্টথ্রব!

শরিফুল রাজের ফিল্ম জার্নি অল্পদিনের নয়। ২০১৬ সালে রেদওয়ান রনি ‘আইসক্রিম’-এ তুমুল চমক নিয়ে হাজির হলেও পরের বছরগুলোতে ভালো কোনো সুযোগই পাননি। তাই বাধ্য হয় বিজ্ঞাপন বা নাটকই ছিল ভরসা। এরপর ‘ন ডরাই’ সিনেমায় আরেক দফা প্রমাণ দেন।

২০২২ সালে পরাণ ও হাওয়া দিয়ে জমিয়ে দিয়েছিলেন শরিফুল রাজ। তার ধারে-কাছেই ছিল না ওই বছরে কোনো তারকা। সঙ্গে ছিল ‘গুণিন’ ও ‘দামাল’-এর মতো আলোচিত সিনেমা। কিন্তু সম্ভাবনার যে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন পরের বছর তা আর ধরে রাখতে পারেননি। ব্যক্তিগত বিতর্ক তার পর্দার জীবনকে ম্লান করে দেয়। ২০২৩ সালে ওয়েবে সিরিজ ‘ইনফিনিটি টু’ ও সিনেমা ‘রক্তজবা’য় দেখা গেছে তাকে। কিন্তু পর্দা অনুপস্থিতিতে এক ধরনের ভুলতেই বসেছিল দর্শক।

তবে চলতি বছর হতে পারে রাজের ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। বর্তমানে পাইপলাইনে আছে রাজ অভিনীত অন্তত চারটি ছবি। ছবিগুলো বড় আয়োজনে বড়পর্দার জন্যই তৈরি। এরই মধ্যে উপস্থাপিত ফার্স্টলুকও প্রশংসিত হয়েছে। এখন নির্মাণ ও অভিনয় যদি ক্লিক করে রাজ নিজেকে ফের গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ পাবেন।

সিনেমাগুলো হলো গিয়াসউদ্দিন সেলিমের স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘কাজলরেখা’, হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘কবি’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ ও মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’। এর মধ্যে প্রথম ও শেষ দুটি সিনেমা সরকারি অনুদানে নির্মিত।

‘কাজলরেখা’য় ময়মনসিংহ গীতিকার সুচ কুমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ। বিপরীতে নাম ভূমিকায় আছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। এ ছবির গানের দৃশ্যে রাজকে একদম ভিন্ন অবতারে দেখা গেছে। ‘কাজলরেখা’ নির্মাতা সেলিমের উচ্চাভিলাষী প্রজেক্ট। প্রায় এক দশক সিনেমাটি নির্মাণের স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। ‘মনপুরা’ দিয়ে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছালেও শিল্প-বাণিজ্যের দ্বন্দ্ব ও শিডিউল মতো ছবি মুক্তি দিতে না পারায় সেলিমের পরবর্তী নির্মাণগুলো সাফল্য পায়নি। এখন ‘কাজলরেখা’ রাজের সঙ্গে সঙ্গে তারও দর্শকের কাছে ফেরার লড়াই।

মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বেশ কিছু আলোচিত সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। সম্রাট, প্রজাপতি বা কাঁটাতার ঘোষণা ও প্রচারণায় যতটা আলোচনা তুলেছিল পর্দায় ততটা ঝড় তুলতে পারেনি। সব সময় মনে হয়েছে কিছু না কিছু কমতি রয়ে গেছে। এবার স্রেফ ঘোষণা দিয়েই পুরোপুরি অন্তরালে রেখে শেষ করেন ‘ওমর’। জানা যায়নি, গল্প বা রাজের নায়িকার নামও। তবে সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহ বেশ দর্শকের মাঝে। অবশ্য তার অনেকটাই পরিচালকের বন্ধুত্বের সূত্রে মিডিয়ার হাইপ। ঘটনা যা-ই হোক, এ সিনেমা দুই রাজের জন্যই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।

২০২৩ সালে মুক্তির কথা ছিলো ‘দেয়ালের দেশ’-এর। পোস্টারে শৈল্পিক ও আবেগঘন প্রতিশ্রুতি দেয়া ছবিটির শবনম বুবলি। এ ছবির গল্প স্পষ্ট নয়। পুরোপুরি আড়াল রেখেই সম্পন্ন হয় শুটিং। নতুন পরিচালক হিসেবে ‘দেয়ালের দেশ’ মিশুক মনিরও প্রতিষ্ঠার লড়াই।

সর্বশেষ নতুন বছরে রাজকে আলোচনায় নিয়ে এলো ‘কবি’র দুর্দান্ত লুক! ‘সত্তা’-খ্যাত হাসিবুর রেজা কল্লোল কলকাতায় শেষ করেছেন ছবির বেশির ভাগ কাজ। শিগগিরই দেশে হবে বাকি শুটিং। এতে নায়িকা হিসেবে আছেন ইধিকা পাল।

কাজলরেখা, ওমর, দেয়ালের দেশ ও কবি— মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা চার ছবিই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের। নির্মাতারা শুটিংকালে প্রচারণায় কোনো বাড়াবাড়ি করেননি। বরং নিজেদের কাজ যথাযথভাবে শেষ করার চেষ্টা করেছেন। যা রাজকে কাজের ক্ষেত্রে সিরিয়াস হতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশে জনপ্রিয় ধারার সিনেমায় বৈচিত্র্য কম। শরিফুল রাজের এ সিনেমাগুলো যদি মোটামুটি মানের সাফল্যও লাভ করে, তবে শুধু এ অভিনেতাই নয় ঢালিউডও নতুন গতি।


মন্তব্য করুন