Select Page

শাকিবের সংগঠন : যা রটে তাহা কিছুটা বটে!

শাকিবের সংগঠন : যা রটে তাহা কিছুটা বটে!

শাকিব খানের সঙ্গে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবারের দ্বন্দ্ব চলছে। চলচ্চিত্র পরিবার সম্প্রতি শাকিব খানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে শাকিব খানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলোর সদস্যদের কাজ করতেও নিষেধ করা হয়। যারা শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করবে তাদের সদস্যপদ বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা ঘটেছে ‘আমি নেতা হবো’ সিনেমার কলা-কুশলীদের সঙ্গে।

জানা গেছে, নিষিদ্ধ হতে যাওয়া অন্য শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকদের নিয়ে শাকিব খান পাল্টা সংগঠন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। গত ২৬ আগস্ট শানিবার রাতে ওমর সানীর রেস্টুরেন্ট ‘মেরি মন্টানা’য় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক মিটিং করেন। যদিও ওমর সানী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন, সেখানে গেটটুগেদারের বাইরে অন্য কোন কারণ ছিল না।

২৭ আগস্ট রোববার রাতে পাল্টা সংগঠনের গুঞ্জন বাস্তবে পরিণত হয়। কারণ এদিন রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘বেপরোয়া’ ছবির মহরতে হঠাৎ এসে হাজির হন শাকিব খান। অন্য কারও সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে শাকিব খানকে দেখা যায় না। ফলে জাজের অনুষ্ঠানে শাকিবের উপস্থিতি ভিন্ন ইঙ্গিত নিয়ে হাজির হয়। শুধু তা-ই নয়, অনুষ্ঠান শেষে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ, প্রযোজক নাসির উদ্দিন দিলুসহ আরও অনেকের সঙ্গে একান্ত মিটিংয়েও অংশ নেন। এ মিটিংয়ে চিত্রনায়িকা ববি, প্রযোজক ইকবাল, কাজী হায়াৎ, শিবা শানু, নাদের চৌধুরীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কেউ সরাসরি না বললেও আব্দুল আজিজের মন্তব্য তেমন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে— ‘এটা আমাদের ব্যক্তিগত মিটিং ছিল। এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আর সংগঠন হবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত। কিছু করলে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে জানাব।’

এমন পাল্টাপাল্টি সংগঠন যে ঢালিউডের লোকসান বৈ কিছুই আনবে না— তা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়। কারণ শাকিব বা জাজের জোট মূলক যৌথ প্রযোজনাকে কেন্দ্র করে। যৌথ প্রযোজনা যে সমান-সমান নয়, তা ইতোমধ্যে বোঝা হয়ে গেছে। ভারতীয় সিনেমার মাধ্যমে ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী লাভবান হবে। এর বিপরীতে চলচ্চিত্র পরিবারও বসে থাকবে না।

তবে ময়দানে শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় স্বয়ং তথ্যমন্ত্রী থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই। অপ্রাসঙ্গিক হলেও সম্প্রতি ‘রাজ দ্য নিউ সুলতান’-এর মহরতে শাকিবের প্রশংসা করলেন। একই কাণ্ড ঘটেছে জাতীয় পুরস্কারের আসরে। এর আগে তার পদত্যাগ দাবি করেন চলচ্চিত্র পরিবারের অন্যতম নেতা রিয়াজ।

ফলত দেশি আর যৌথ বিবাদ ধরেই ঢালিউড ঐতিহ্যের চিড় ধরছে। সেখানে ইগো ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব এত বেশি যে দেশি ঐতিহ্য বা স্বার্থ বলে আর কিছুই থাকছে না। কেউ কাউকে ছাড় না দিলে তো সংগঠন হবে, ভাঙবে— সাথে সাথে ঢাকাই সিনেমার যতটুকু অবশিষ্ট আছে, তাও ঝাড়-বংশে উচ্ছেদ হবে!

সুতরাং, নতুন সংগঠন বা অন্য কোনো ফর্মে ঢালিউডে নতুন সমীকরণ যোগ হচ্ছে। তবে এর বিপরীতটা হলেই খুশি হওয়ার কথা।


মন্তব্য করুন