Select Page

সংশ্লিষ্ট সংগঠনের দুর্বলতার কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না চলচ্চিত্র

সংশ্লিষ্ট সংগঠনের দুর্বলতার কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না চলচ্চিত্র

imagesচলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো নিয়ে আজকের মানবজমিন পত্রিকায় লিখেছেন মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন। বিএমডিবি-র পাঠকদের জন্য লেখাটি তুলে দেয়া হলো-

চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বলে জোরালো অভিযোগ উঠেছে।

চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে একাধিক নেতৃত্ব, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নিষ্ক্রিয়তা, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রেক্ষাগৃহ ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে অক্ষমতার পাশাপাশি বাকি সংগঠনগুলোর মধ্যে একমাত্র চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ছাড়া বাকিদের কোন খবর না থাকায় চলচ্চিত্র শিল্প কোন বিষয়েই জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। চলচ্চিত্র শিল্পের বড় কোন সমস্যা সমাধানে সব সংগঠন মিলে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’ গঠন করা হলেও এই পরিবারেরও কর্মকাণ্ড কারও চোখে পড়ছে না। ফলে এফডিসিকে আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল করা, প্রেক্ষাগৃহগুলো ডিজিটাল করাসহ নানা প্রয়োজনে সর্বসম্মতিক্রমে কোন কর্মসূচি গ্রহণ না করার কারণে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এক জায়গায় থেমে রয়েছে।

এমন কি দুই বাংলার চলচ্চিত্র বিনিময় সংক্রান্ত সভায় দুই একটি সমিতির প্রতিনিধি যোগ দেয়ায় চলচ্চিত্র পরিবারের অন্য সদস্য সংগঠনের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সমপ্রতি ভারতীয় বাংলা ছবির মেগাস্টার প্রসেনজিতের সঙ্গে ‘হঠাৎ সভায়’ মাত্র ৪টি সংগঠনের প্রতিনিধি আমন্ত্রণ পাওয়ায় চলচ্চিত্র পরিবারের অন্যতম প্রধান দুই সদস্য চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা ও ফিল্ম এডিটর গিল্ডের নেতারা বিস্ময় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদেরকে সভার বিষয়টি না জানানোর জন্য। এসব সভার বিষয়ে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’-এর মতামত প্রধান বলে পূর্বে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও প্রসেনজিতের সঙ্গে সভার বিষয়ে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’ উপেক্ষিত থেকে যাওয়ায় এ পরিবারের অনেক সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তাহলে ‘চলচ্চিত্র পরিবার’ গঠনের প্রয়োজন কি?

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, চলচ্চিত্র পরিবার বসে নেই। অচিরেই একটি মহাসমাবেশ ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই মহাসমাবেশ থেকে চলচ্চিত্র শিল্পের পক্ষে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, প্রসেনজিতের সঙ্গে সভার বিষয়ে আমাদের আগে জানানো হয়নি। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে তথ্যমন্ত্রী কথা বলবেন। আমি তখন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলাম। ফলে আমাদের সমিতির সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান এবং মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজারকে পাঠানো হয়। প্রসেনজিতের সঙ্গে সভার কথা জানানো হলে অবশ্য চলচ্চিত্র পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হতো।

শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, কোন সংগঠন কি করছে বা কি করবে জানি না। আমরা আমাদের চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এবং চলচ্চিত্র পরিবার নিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাবো এবং সফল হবো।

সুত্র: মানবজমিন


মন্তব্য করুন