Select Page

সিনেমার ভুল : দুলাভাই জিন্দাবাদ

সিনেমার ভুল : দুলাভাই জিন্দাবাদ

‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ একটি মধ্যম মানের ফ্যামিলি ড্রামা মুভি। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত এই সিনেমার গল্প ও নির্মাণে বেশকিছু অসংলগ্নতা পাওয়া গেছে। নিম্নে তন্মধ্যে ৭টি তুলে ধরা হলো—

১. সিনেমায় যে রুমটাকে নির্বাচন কমিশনারের অফিস হিসেবে দেখানো হলো, তার পরের দৃশ্যে একই রুমটাকে থানার ওসির রুম হিসেবে দেখানো হলো। একই চেয়ার, একই ঘড়ি, একই ডেস্ক-সোফা, শুধু কমিশনারের জায়গায় ওসি। আহা, বাজেট তুমি কই!

২. সিনেমাটিতে প্রযোজক নাদির খান মৌসুমীর প্রতিবন্ধী ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যার হাত বুকে লেগে থাকে, কথাবার্তা, চালচলন আর বুদ্ধি শিশুদের মত। অথচ থানায় যখন তাকে সাক্ষ্যের জন্য ডাকা হলো, তখন তার হাঁটার স্টাইল, কথা বলার ধরন দেখে মনে হলো সে রজনীকান্ত হয়ে গেছে। আবার পরের দৃশ্যে সে প্রতিবন্ধী হয়ে গেল! এ থেকে আমরা শিখলাম, থানায় নিয়ে গেলে প্রতিবন্ধীরা সুস্থ্য হলেও হতে পারেন।

৩. ঝড়-বৃষ্টির রাতে ডিপজলের সন্তানসম্ভবা শ্যালিকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিলে সে ডিপজলের বাড়ির উঠানে এসে সন্তান প্রসব করে ইন্তেকাল করেন। অথচ ডিপজল সাহেব এই ঘটনার বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করলেন না। উল্টো শোক ভুলে ছোট শ্যালিকার বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত হলেন !!! এ কেমন দুলাভাই!

৪. এ সিনেমায় ডিপজল একটি গাভী কিনে আনে যে মানুষের মত কথা বলে !!! সিনেমার গরু যেহেতু আকাশে উড়ে সেহেতু সে কথা বললে আমাদের কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো মৌসুমী যখন তার বোনের সন্তানটিকে ঐ গরুর নিচে রেখে দুধ দোহানো শুরু করে তখন (স্পেশাল ইফেক্টের মাধ্যমে) দুধ ছুটে এসে ডানে-বামে না পড়ে ঠিক বাচ্চাটির মুখে পড়তে লাগল। একদিনের ঐ বাচ্চার মুখে যে পরিমাণ দুধ ছুটে আসছিল তাতে বাচ্চাটির দম আটকে মরে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাচ্চাটি মনে হয় বড় হয়ে সুপারহিরো “কাউম্যান” হবে!

৫. বিদ্যা সিনহা মিম তার বোন ও দুলাভাইয়ের কলিজার টুকরা। অথচ সে গভীর রাতে বাপ্পীর সাথে ডেটিং করতে গিয়ে অমিত হাসান কর্তৃক অপহৃত হলে ডিপজল এই ঘটনা জানতে পারে বেলা দেড়টায়। একটি যুবতী মেয়ে রাত থেকে বাড়িতে নেই, অথচ তার পরিবারের কারো এ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই!

৬. আহমেদ শরীফ মিমকে তুলে নেওয়ার খবর ডিপজলকে জানায় দুপুর দেড়টার দিকে। অথচ ডিপজল ভ্যান চালিয়ে অমিত হাসানের বাড়ি হামলা করে রাত ৮টার পরে। ডিপজলের বাসা থেকে অমিত হাসানের বাসা খুবই কাছে। তারপরও উনি ৬ ঘন্টা লেট করে কেন গেলেন তা জাতি জানতে চায়!

৭. শেষ ফাইটিং দৃশ্যে প্রত্যেকটা কাঁচ ভেঙে পড়ার দৃশ্যে ডামিদের হাতে সেফটি গ্লোভস পড়া স্পষ্ট দেখা গেছে।


মন্তব্য করুন