![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
সিনেমা ফ্লপ হলেই খুশি?
ঈদুল ফিতরের পর ঢালিউডে উল্লেখযোগ্য চারটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে; পাপ পুণ্য, আগামীকাল, তালাশ ও অমানুষ। নির্মাতা, তারকাসহ নানা কারণে সিনেমাগুলো আলোচনায় থাকলেও বাণিজ্যে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বলে সংবাদমাধ্যমের বড় অংশের খবর। আর এই খবর দিয়েই যেন তারা খুশি!
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2022/06/bangla_movie_bmdb_image.jpg?resize=851%2C485&ssl=1)
খবর বলতে সংবাদমাধ্যমগুলো সিনেমার ভেতরে কী আছে, সে দিকে যায়নি। প্রকাশ হয়নি কোনো ধরনের রিভিউ বা ছবির আলোচনা-সমালোচনা। তাহলে?
এসেছে একাধিক ইভেন্টের খবর, প্রেস রিলিজ বা তারকাদের গতানুগতিক কিছু সাক্ষাৎকার। তারা জানানোর চেষ্টা করেনি ‘ব্যবসায়িক ব্যর্থতা’র আড়ালে কী আছে! বরং রসিয়ে রসিয়ে শিরোনাম করেছে ‘এতজন দর্শক দেখেছে’, ‘হল থেকে নামিয়ে দিয়েছে’ ইত্যাদী। ওই সব খবরের মধ্যে কোনো ধরনের বিশ্লেষণ নেই, বরঞ্চ হল মালিক বা নির্মাতার বক্তব্যকে ‘খবর’ বলে চালিয়ে গেছে।
যদি শুধু অন্যের বরাত দিয়েই খবর প্রচার করতে হয়, তাহলে সাংবাদিকদের আসলে কাজ কী? ঘটনার গোড়ায় তারা যেতে চান না কেন, এমন প্রশ্ন অমূলক নয়। দর্শক-বাজেট-অভিনেতা-হল সংকট মিলিয়ে নানা টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে কয়েক বছর ধরে সিনেমাগুলো যাচ্ছে। সেখানে তুলনামূলক ভালো নির্মাণগুলোও মার খাচ্ছে। কেন এমনটা হচ্ছে, ঘটনার গভীরে যাওয়ায় আসল কাজ। সবক্ষেত্রে কলকাতা বা দক্ষিণ ভারত নিশ্চয় ভালো উদাহরণ নয়। হিন্দি বা দক্ষিণ ভারতীয়ই যদি কাণ্ডারি হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কেন শতশত সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে।
উপরে উল্লেখিত চারটি ছবির ক্ষেত্রে খুব সাধারণ অর্থে বলা যায়, দুই ঈদের মাঝে দর্শক পাওয়া আসলেই কঠিন। এটা আমরা অনেক বছর ধরে দেখে আসছি। এর উপর রয়েছে প্রচারজনিত সংকোচন। যেটা ‘পাপ পুণ্য’ বা ‘আগামীকাল’-এর ক্ষেত্রে দেখা গেছে। আবার ‘তালাশ’ বা ‘অমানুষ’-এর সময় টানা বৃষ্টি শুরু ও দেশের সব অংশ বন্যায় আক্রান্ত এ বিষয়টিও আমলে নেওয়ার মতো ঘটনা। কিন্তু দু-একটা শব্দে ‘বন্যা’ উল্লেখ থাকলেও সিনেমা ব্যর্থ বলে দাগিয়ে দেওয়াটা মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, সিনেমার ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না— এমন সব খবরের একটা অংশেই থাকে, হল মালিকেরা চান ভারতীয় ছবি। সম্ভবত ভারতীয় সিনেমা একই দিনে বাংলাদেশে মুক্তি পেতে দেরি নেই। মোটামুটি সবপক্ষই এখন রাজি। এই প্রক্রিয়া অনেকদিন আগে শুরু হলেও এতদিনে কেন বাস্তবায়িত হয়নি সেটাই আশ্চর্য হওয়ার বিষয়। কিন্তু, ভারতীয় সিনেমা দেশে প্রেক্ষাগৃহে আনা সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বের মাঝে কেন পড়ে?