Select Page

বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে বাংলাদেশি অভিনেতা

বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে বাংলাদেশি অভিনেতা

# বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করবেন বাংলাদেশি অভিনেতা
# রোগা ও সরু চেহারার একজনকে খুঁজছেন ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল
# ছবিটি বানানোর জন্য তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত। গবেষণাও করেছেন
# তিনি ছবিটি বিতর্কমুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন
# বঙ্গবন্ধুর জীবনীতে ভারতীয় পরিচালক? তার জবাবও দিলেন শ্যাম বেনেগাল
# বাংলাদেশ-ভারতের অর্থায়নে নির্মিতব্য ছবিটি মুক্তি পাবে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে ২০২০ সালে। এ উপলক্ষে তাকে নিয়ে ছবিটি যৌথভাবে নির্মাণ করবে বাংলাদেশ ও ভারত। পরিচালনা করবেন ভারতের শ্যাম বেনেগাল।

এখন অপেক্ষা বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা জানার। আর বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন পরিচালক। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন শেখ মুজিবের চরিত্রে বাংলাদেশের কোনো অভিনেতাকেই নিতে চান তিনি। আর সে জন্য সরু ও রোগা চেহারার একজনকে খুঁজছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।

তিনি বলেন, ‘ছবিটি বানানোর জন্য আমি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত – এবং ছবির নামভূমিকায় কে অভিনয় করবেন তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাইব বাংলাদেশ থেকেই কোনও অভিনেতা এই চরিত্রে অভিনয় করুন।’

শ্যাম বেনেগাল নিশ্চিত যে এই ধরনের উপযুক্ত অভিনেতা খুঁজে পেতে খুব একটা সমস্যা হবে না। পরে ছবিটা ডাব করা হবে হিন্দি, উর্দু বা ইংরেজিতেও।

“খুব কম লোকই এটা খেয়াল করেন যে শেখ মুজিবের যে বিশাল, ভারিক্কি চেহারার ছবিগুলোর সঙ্গে আমরা বেশি পরিচিত – সেটা তার জীবনের পরের দিকটার। শেষের দিকে তার কিছুটা ওজন বেড়েছিল ঠিকই, কিন্তু জীবনের বেশিটা সময় তিনি রীতিমতো রোগাই ছিলেন – যেমনটা টিপিক্যাল বাঙালি বুদ্ধিজীবী ও অ্যক্টিভিস্টরা হন আর কী!”

শেখ মুজিবের চরিত্রে বাংলাদেশী অভিনেতা খোঁজার আর একটা কারণ মূল ছবিটা হবে বাংলাতেই – আর পরিচালক চান মূল অভিনেতার নিজের কন্ঠস্বরই সেখানে ব্যবহার করতে।

ফলে চেহারা একটু রোগা হলেও মুজিবের জলদগম্ভীর কন্ঠস্বর বা ব্যারিটোন ভয়েসটাও থাকতে হবে – আর অভিনেতা নির্বাচনে সেটাই প্রধান চাবিকাঠি।

বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় এ নেতাকে নিয়ে ছবি বানানোর দায়িত্ব কেন একজন বিদেশি পরিচালক পাবেন বলে বাংলাদেশে কেউ কেউ যে প্রশ্ন তুলছেন, সে ব্যপারে তার বক্তব্য কী?

প্রসঙ্গে শ্যাম বেনেগাল বলেন, “দেখুন, এই প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সত্যিই কঠিন। কিন্তু হাতের কাছেই তো উদাহরণ আছে – ভারতের মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কী অসাধারণ ছবিই না বানিয়েছিলেন রিচার্ড অ্যাটেনবরো! আর সেই অর্থে বাংলাদেশের কাছে তো আমি সেরকম কোনও বিদেশিই নই!”

“প্রশ্নটা হল কাজটা ভালভাবে করার যোগ্যতা আপনার আছে কি না, এবং এ ক্ষেত্রে জাতির পিতাকে বাংলাদেশ যে দৃষ্টিতে দেখে সেই মর্যাদার দাম আপনি দিতে পারছেন কি না! ভারতীয় না-হয়েও অ্যাটেনবরোর তো গান্ধীকে বুঝতে কোনও সমস্যা হয়নি!”

“কাজেই আমার কাছে অন্তত এই প্রশ্নটার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই, তবে মানুষ অন্যভাবে ভাবতেই পারেন – সেটা তাদের ওপর!”, বলেন বেনেগাল।

মন্থন, অঙ্কুর, নিশান্তের মতো বিখ্যাত সব ছবির নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল ভারতে টেলিভিশনের জন্যও ‘ভারত এক খোঁজ’ কিংবা ভারতীয় রেলকে নিয়ে ‘যাত্রা’র মতো নানা এপিকধর্মী কাজ করেছেন। জীবনীধর্মী ছবি বা তথ্যচিত্র বানিয়েছেন গান্ধী, নেহরু বা সুভাষ বোসকে নিয়েও।

শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক বিতর্কমুক্ত রাখতে পারাটা যে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ তা কাজ শুরু করার আগেই স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি শ্যাম বেনেগাল।

বলিউডের ৮৩ বছরের এই প্রবীণ পরিচালক অবশ্য তার অনেক আগে থেকেই শেখ মুজিবকে নিয়ে গবেষণা ও পড়াশুনো শুরু করে দিয়েছিলেন, মুজিবের আত্মজীবনীও তিনি এর মধ্যে পড়ে ফেলেছেন।


মন্তব্য করুন