![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
সিস্টেমকে দায়ী করলেন ফারুক
‘চলচ্চিত্র নিয়ে এখন শুধুই রাজনীতি চলছে। কিন্তু রাজনীতিতে মুনাফা থাকলেও ফিল্মি রাজনীতি করে কোনো লাভ নেই। এর উদাহরণ চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা। সম্প্রতি চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্রে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে সরকারের কাছ থেকে শিল্প সুবিধা আদায় করা যাচ্ছে না’।
এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক ফারুক চলচ্চিত্র শিল্পের দৈন্য দশাকে নিয়ে নিজের ক্ষোভ জানালেন এভাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতিসহ সব সংগঠনের নেতাদের মধ্যে কাজের চেয়ে কথা বেশি। তাই কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এত নেতার দরকার নেই। সব মিলিয়ে যোগ্য এক ব্যক্তির হাতে নেতৃত্ব অর্পণ করলে নিশ্চিতভাবে এ শিল্পের উন্নয়ন হবে’।
চলচ্চিত্র শিল্পীদের দুস্থ হওয়ার পেছনে সরকারি সিস্টেমকে দায়ী করেন তিনি। তার কথায় ‘দেশের সব সেক্টরের দিকে সরকারের নজর থাকলেও চলচ্চিত্রের প্রতি নেই। দেশের প্রধান গণমাধ্যম চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের জন্য যদি সরকারি সাহায্যের কোটা প্রবর্তন করা হতো তাহলে চলচ্চিত্রকাররা মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে প্লট-ফ্ল্যাট এবং জীবনধারণের জন্য ব্যাংক ঋণ পেত। চলচ্চিত্রের লোকজন বড়লোক হতে চায় না। তারা শুধু খেয়ে পরে বাঁচতে চায়। চলচ্চিত্রের মানুষ ব্যাংক লোন চাইতে গেলে দেওয়া হয় না। সরকার কোনো সুযোগ-সুবিধাই তাদের দেয় না। অথচ তাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে বিজ্ঞাপন বানিয়ে পাবলিসিটি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়’।
ফারুক বলেন,’ চলচ্চিত্র আমার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। তাই চলচ্চিত্রকে কখনো ভুলতে পারব না। কিন্তু এ শিল্পকে নিয়ে নোংরা রাজনীতির কারণে মনে ঘৃণা এসে গেছে’।
তিনি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামার বিকল্প থাকবে না।
সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন