![অনুদান পাওয়ার সাত বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ‘আজব কারখানা’](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/06/ajob_karkhana1_bmdb_image.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
‘হালদা’য় যা থাকছে
দেশ-বিদেশে প্রশংসিত ‘অজ্ঞাতনামা’র পর তৌকীর আহমেদ বর্তমানে নির্মাণ করছেন ‘হালদা’। এর শুটিংও প্রায় শেষের পথে। তিনি যুগান্তরকে জানান, ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ সব দৃশ্যসহ ছবিটির ৮০ ভাগ শুটিং শেষ। এখন সহজ কিছু দৃশ্যের শুটিং চলছে।’
চট্টগ্রামের হালদা নদী নিয়ে সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘এক প্রকার দায়িত্ববোধ থেকেই চলচ্চিত্রটি করা। দেশের প্রায় সবাই জানেন হালদা চট্টগ্রামের একটি নদীর নাম। যাকে একটি প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রও বলা হয়। এটি ফটিকছড়ি থেকে শুরু হয়ে কর্ণফুলীর মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে। এখানে কার্পজাতীয় মাছ এসে ডিম পাড়ে। আমাদের দেশের একদল মানুষ সেই ডিম ও সেখানকার মাছ সংগ্রহ করে জিবিকা নির্বাহ করেন। এই হালদা পাড়ের মানুষের জীবনের প্রতিকূলতা, হাসি-কান্না, বেদনার কাহিনী নিয়েই তৈরি হচ্ছে ছবিটি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছবিটি আমরা কয়েকজন যৌথভাবে প্রয়োজনা করছি। এই প্রযোজকদের অন্যতম একজন এইচএম ইব্রাহীম। তার কাছেই হালদার গল্প শুনি। তারই এক বন্ধু আজাদ বুলবুল গল্পটি লিখেছেন। একদিন ইব্রাহীম ভাই আমাকে জানান, তিনি এই গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করতে চান। চলচ্চিত্রের বিষয় হিসেবে আমার কাছেও বেশ আকর্ষণীয় মনে হয় গল্পটি। তবে ছবিটির প্রায় অংশই নদীতে চিত্রায়িত হওয়ার আইডিয়াটা বেশ ভালো লাগে। তাই নতুন অভিজ্ঞতা নেয়ার পথে নামলাম।’
ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন আপনার? এমন প্রশ্নে তৌকীর বলেন, ‘আমার সব ছবি নিয়েই বাড়তি প্রত্যাশা থাকে। তবে এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, নির্মাতা হিসেবে সবার ক্ষেত্রেই এমনটি ঘটে। আর ‘হালদা’ নিয়ে আমার প্রত্যাশা একটু অন্যরকম। কারণ এ ছবির মাধ্যমে আমি হালদা নদীর পাড়ে বসবাস করা একদল মানুষের জীবনযাপন সবাইকে জানাতে চাই। যা এ মানুষগুলোকে নিয়ে একটু হলেও আমাদের ভাবাবে। ছবিটি অজ্ঞাতনামার চেয়েও প্রশংসিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
‘হালদা’য় অভিনয় করছেন ফহলুর রহমান বাবু, তিশা, মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, দিলারা জামান, শাহেদ আলী, রুনা খান প্রমুখ।