Select Page

আবারও পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটা: সাক্ষাতকারে শাকিব

আবারও পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটা: সাক্ষাতকারে শাকিব
skএবারের ঈদেও শীর্ষস্থানে রয়েছেন শীর্ষনায়ক শাকিব খান। তার অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। দর্শকও উপভোগ করছেন চলচ্চিত্রগুলো। তাই তৃপ্ত তিনি। এ নিয়ে শাকিবের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। বিএমডিবি পাঠকদের জন্য সাক্ষাতকারটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-

২০০৮ সাল থেকেই প্রতি ঈদে একাধিক চলচ্চিত্র নিয়ে হাজির হওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন, যা এর আগে অন্য কোনো নায়কের বেলায় হয়নি, ব্যাপারটি কীভাবে উপভোগ করেন?

অবশ্যই ভালো লাগার মতো ব্যাপার। তবে এতে বেশি খুশি হতে পারি না। কারণ একসঙ্গে দুইয়ের অধিক চলচ্চিত্র মুক্তি পেলে দর্শক কনফিউসড হয়। একই নায়কের একসঙ্গে এত চলচ্চিত্র মুক্তি পেলে নির্মাতারাও ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে। তাই বিষয়টি আমি বরাবরই নির্মাতাদের নজরে আনার চেষ্টা করি। তারপরও তারা যদি মুক্তি দেয় এতে আমার বলার কিছু থাকে না। তবে চলচ্চিত্রগুলো ভালো ব্যবসা করলে খুশি হই।

এবারের তিনটি চলচ্চিত্রে দর্শক সাড়া কেমন পাচ্ছেন?

তিনটিই ভালো চলছে। আসলে তিনটির গল্প তিন ধরনের। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী‘ ত্রিভুজ প্রেমের ছবি। এর বাড়তি আকর্ষণ হচ্ছে ছোট পর্দার দুই জনপ্রিয় শিল্পী জয়া আহসানআরেফিন শুভ এবার আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। অন্যদিকে ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল‘ এবং ‘প্রেমিক নাম্বার ওয়ান’ রোমান্টিক অ্যাকশন ধাঁচের ছবি। তবে এ দুটি ছবির গল্পের উপস্থাপনায় ভিন্নতা রয়েছে। ফলে দর্শক তিনটি ভিন্ন স্বাদের গল্প ভিন্ন আমেজে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে উপভোগ করছে।

এ মুহূর্তে কাকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে হচ্ছে?

এ বিষয়টি কখনো আমাকে ভাবায় না। কারণ আমি জানি দর্শকদের জন্য আমাকে ভালোভাবে কাজ করতে হবে এবং ভালো কাজ উপহার দিতে হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এগুচ্ছি বলেই এখনো দর্শক ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সাফল্যের পথে হাঁটছি। আসলে আমি নিজেকেই সবসময় নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি। না হলে কখনো নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারতাম না।

২০১২ সালে আবারও জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হলেন, কেমন লাগছে?

পুরস্কার পেলে অন্য সবার মতো আমারও ভালো লাগে। তবে আমার এই ভালো লাগাটা একটু অন্যরকম। কারণ আমি যে দুটো ছবির জন্য দুবার জাতীয় সম্মান পেলাম দুটোই হিট ছবি। মানে দর্শক ছবিগুলো দেখেছে। যে ছবি দর্শক দেখে না তাতে পুরস্কার পাওয়ার মধ্যে কোনো সার্থকতা আছে বলে আমি মনে করি না। এদিক দিয়ে নিজেকে অবশ্যই ভাগ্যবান মনে করছি।

প্রযোজনায় আসছেন এমন খবর বেশ কবছর ধরেই জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে কতটা এগুলেন?

গল্প, নির্মাতা, শিল্পী সবই প্রায় চূড়ান্ত। বদিউল আলম খোকন ছবিটি নির্মাণ করবেন। আর আমি ও অপু বিশ্বাস মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করব। এ বছরের শেষ দিকেই শুটিং শুরুর চেষ্টা করছি।

প্রেম-বিয়ের ব্যাপারটিও দীর্ঘদিন চাউর আছে, চলচ্চিত্র জগৎ থেকেই নিশ্চয়ই জীবনসঙ্গিনী নির্বাচন করছেন?

হা…হা…হা… বুঝতে পেরেছি, আবারও সেই পুরাতন কাসুন্দি ঘাঁটা। যখন চলচ্চিত্রে আসিনি তখন চলচ্চিত্রের মানুষদের প্রেম-বিয়ের খবর শুনে আমিও তা সত্যি ভাবতাম। যেমন রিয়াজকে ঘিরে শাবনূরপূর্ণিমার কথা সবাই জানা। কই রিয়াজ তো শাবনূর কিংবা পূর্ণিমা এদের কাউকেই বিয়ে করেননি। আসলে মিডিয়া গসিপ বলে একটা কথা আছে। এসব আসলেই শুধুই মজা নেওয়ার জন্য। আমি মিডিয়ার বাইরে সহজ-সরল একটি মেয়েকে বিয়ে করব। যে কিনা হান্ড্রেড পার্সেন্ট আমার টেককেয়ার করবে। হ্যাঁ, আমিও কিন্তু তাকে মন প্রাণ উজার করে ভালোবাসব …হা…হা…হা।

তা ছাদনাতলায় বসছেন কখন?
তা ছাদনাতলায় বসছেন কখন?

ইনশাল্লাহ আগামী বছরই, আগে প্রযোজনার কাজটি গুছিয়ে নেই তারপর শুভক্ষণ দেখে টুপ করে বসে পড়ব…হো…হো …হো।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন


মন্তব্য করুন