Select Page

আমজাদ হোসেনের খবর নিলেন ‘তিনকন্যা’

আমজাদ হোসেনের খবর নিলেন ‘তিনকন্যা’

 

বরেণ্য নির্মাতা আমজাদ হোসেনের খবর নিতে হাসপাতালে সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। ছবি : সংগৃহীত

# রোববার থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমজাদ হোসেন
# বুধবার তাকে দেখা যান বাংলা চলচ্চিত্রের ‘তিনকন্যা’ সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা
# সুচন্দা বলেন, আমজাদ ভাইও তার সঠিক মূল্যায়নটা পাননি।
# ববিতা বলেন, আমজাদ হোসেন তো আমাদের দেশে একটাই। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন
# চম্পা বলেন, তিনি যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ চালিয়ে যেতেন, তাহলে আমরা আরো কিছু ছবি নিয়ে গর্ব করতে পারতাম

ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি আছেন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পুরুষ আমজাদ হোসেন। রোববার সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলে এখনো অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। হাসপাতালে প্রিয় এই মানুষটিকে দেখতে এসে ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘তিন কন্যা’ ববিতা, সুচন্দা ও চম্পা। বুধবার বিকেলে তিন বোন আমজাদ হোসেনকে দেখতে যান হাসপাতালে। বরেণ্য নির্মাতার দুই ছেলের কাছে খোঁজ খবর নেন।

ববিতা বলেন, ‘চার মাস পর দেশে ফিরলাম। আমি কানাডায় বিমানে ওঠার সময় এই সংবাদ শুনি। তখন থেকেই মনের ভেতর অস্থিরতা কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে আমজাদ হোসেন তো আমাদের দেশে একটাই। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের কাছে উনাকে ফিরিয়ে দেন।’

আমজাদ হোসেন নির্মিত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা। এই নির্মাতার সঙ্গে তার প্রথম ছবি ‘নয়নমণি’। মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ববিতা অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ববিতার ক্যারিয়ারের আরও দুটি উল্লেখযোগ্য ছবি হলো ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮) এবং ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ (১৯৭৮)।

চম্পা বলেন, “আপা (ববিতা) এত দিন কানাডায় ছেলের সঙ্গে ছিলেন। সেখান থেকে ফিরেই আমজাদ ভাইয়ের খবর নিয়েছেন। গত সোমবার রাতে আপা দেশে ফেরেন। তারপর আমরা বুধবারে একসঙ্গে তিন বোন ভাইকে দেখতে যাই। আমজাদ ভাইয়ের একটি ছবিতে আমি কাজ করেছিলাম। ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা আমার সারাজীবনের পাথেয় হয়ে ছিল, থাকবে। আমি মনে করি, তিনি যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ চালিয়ে যেতেন, তাহলে আমরা আরো কিছু ছবি নিয়ে গর্ব করতে পারতাম।”

এদিকে সুচন্দা বলেন, ‘আমরা জীবদ্দশায় মানুষকে মূল্য দিতে চাই না। ঠিক তেমনি আমজাদ ভাইও তার সঠিক মূল্যায়নটা পাননি। মানুষ বেঁচে থাকে তার কাজ দিয়ে, আমি বিশ্বাস করি নিজের কাজের জন্য হাজার বছর বেঁচে থাকবেন আমাদের আমজাদ ভাই। আপনারা উনার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সোহেল আরমান ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তাদের সঙ্গে ছিলেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক।

আমজাদ হোসেন ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। একইসাথে বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

সূত্র : জাগো নিউজ ও এনটিভি অনলাইন


মন্তব্য করুন