আমজাদ হোসেন : স্মরণীয় সিনেমার অভিনেতাদের শোক
# তিনি ছিলেন এক কথায় অলরাউন্ডার একজন মানুষ : ফারুক
# এমন সংবাদ শুনতে চাইনি আমি। আমি তার সুস্থতা চেয়েছিলাম : ববিতা
# তার মৃত্যুর সংবাদে আমিও কষ্ট পাচ্ছি : ইলিয়াস কাঞ্চন
# তার মৃত্যু সংবাদ জানার পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। বুঝতে পারছি না কী বলবো : শাকিব খান
এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’-এর মাধ্যমে আমার চলচ্চিত্রে কাজ শুরু হলেও আমজাদ হোসেনের সঙ্গে অনেক ভালো একটা সম্পর্ক হয় ‘নয়নমণি’ ছবিতে কাজ করার সময়। আলমগীর পিকচার্সের এ ছবিটি ছিল সুপারহিট। এরপর উনার পরিচালনায় এবং আমার অভিনীত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবিটিও খুব ভালো ব্যবসা করেছিল। শুধু একজন গুণী নির্মাতা নন, বড় ভালো মনের মানুষ ছিলেন আমজাদ হোসেন। তার মৃত্যুর সংবাদ মেনে নিতে পারছি না।
তিনি ছিলেন এক কথায় অলরাউন্ডার একজন মানুষ। তার পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখার হাত, অভিনয় সবকিছুই ছিল দুর্দান্ত। তার অভাব পূরণ হওয়ার না। – ফারুক
জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক হিসেবে যখন থেকে কাজ শুরু করলেন, ঠিক তখন থেকেই আমি আমজাদ হোসেনকে চিনি। শুধু একজন পরিচালক হিসেবে না, তিনি আমাদের পরিবারের একজন মানুষ ছিলেন। জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ ছবিতে কাজ করার সময় তিনি সহকারী পরিচালক ছিলেন। এরপর তো নিজের পরিচালনায় সব জনপ্রিয় ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। ‘বেহুলা’ ছবির সংলাপ রচয়িতা ছিলেন তিনি। অনেক গুণী একজন মানুষকে আমরা হারালাম। – সুচন্দা
এমন সংবাদ শুনতে চাইনি আমি। আমি তার সুস্থতা চেয়েছিলাম। এটা কী শুনলাম, বিশ্বাস করতে পারছি না এখনো। আমি আজকের ববিতা হয়েছি বরেণ্য পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার আমজাদ হোসেনের জন্য। ‘নয়নমণি’ ছবিতে তিনি আমাকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এছাড়া ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ছবিতে উনার পরিচালনায় কাজ করে আমি সুখ্যাতি অর্জন করি। কত সুখ-দুঃখের স্মৃতি রয়েছে আমাদের। সবকিছু মনে পড়ছে আজ। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। – ববিতা
আরো একটি দুঃসংবাদ যুক্ত হলো আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পে। গুণী একজন মানুষকে হারালাম আমরা। তার পরিচালনায় বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছি আমি। ‘কসাই’, ‘ভাত দে’ ও ‘সখিনার যুদ্ধ’ নামের ছবিগুলো ছিল দর্শকপ্রিয় ও সুপারহিট । অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে আজ। – আলমগীর
একটু আগে সংবাদটা পেলাম। কিছু সংবাদ অনেক কষ্ট দেয়। তার মৃত্যুর সংবাদে আমিও কষ্ট পাচ্ছি। আমজাদ হোসেনের মতো গুণী নির্মাতার সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছিল আমার। উনার পরিচালনায় ‘হীরামতি’, ‘সুন্দরী’, ‘আদরের সন্তান’ ছবিতে কাজ করেছিলাম। অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। আমরা একজন মেধাবী নির্মাতা ও ভালো মনের মানুষকে হারালাম। – ইলিয়াস কাঞ্চন
খবরটা জেনে খুব খারাপ লেগেছে। তার পরিচালনায় ‘কসাই’ ছবিতে কাজ করেছিলাম। ১৯৮০ সালের কথা। সেসময়ই মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ছবিটি পুরস্কার জিতে নেয়। আমিও এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলাম। অনেক গুণী একজন নির্মাতাকে হারালাম আমরা। – রোজিনা
আমজাদ হোসেন নেই- ভাবতেই পারছি না। এমন সংবাদ আর শুনতে চাই না। ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রির গুণী মানুষগুলোকে হারাচ্ছি আমরা। তার পরিচালনায় ‘আদরের সন্তান’ ছবিতে আমি ও ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই অভিনয় করেছিলাম। তার ‘গোলাপী এখন বিলাতে’ ছবিতেও কাজ করেছি আমি। অনেক পুরনো কথা মনে পড়ছে আজ। আমজাদ ভাইয়ের মতো মানুষের ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই প্রয়োজন ছিল। – মৌসুমী
অনেক বড়মাপের একজন নির্মাতা ছিলেন তিনি। তার যে ক’টি ছবিতে অভিনয় করেছি প্রত্যেকটিই দারুণ হিট হয়েছে। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। – শাবনূর
আমজাদ হোসেন পরিচালিত মোট তিনটি ছবিতে কাজ করেছি। ছবিগুলো হচ্ছে ‘কাল সকালে’, ‘প্রাণের মানুষ’ ও ‘গোলাপী এখন বিলাতে’। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘কাল সকালে’ ছবিতে কাজ করার সময়ের কথা মনে পড়ছে আজ। তার পরিচালনায় এ ছবিতে কাজের সুযোগ হয়েছে আমার ও শাবনূরের। গুণী একজন নির্মাতাকে হারালাম আমরা। – ফেরদৌস
আমজাদ আঙ্কেলের পরিচালনায় ‘প্রাণের মানুষ’ ছবিতে কাজ করেছিলাম আমি, ফেরদৌস ও শাবনূর। ছবিটি সুপারহিট হয়েছিল সেই সময়। তিনি আমাদের দেশের একজন প্রতিভাবান কাহিনীকার, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পী ছিলেন। চলচ্চিত্রাঙ্গনের যেখানে হাত দিয়েছেন তিনি সফল হয়েছেন। তার মৃত্যু সংবাদ জানার পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। বুঝতে পারছি না কী বলবো। – শাকিব খান
আমজাদ আঙ্কেল নেই- ভাবতে পারছি না। তার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে কাজ শুরু আমার। ২০০৪ সালে তার পরিচালনায় ‘কাল সকালে’ ছবিতে প্রথম কাজ করি আমি। আমার ক্যারিয়ারে তার অবদান অনেক। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। – অপু বিশ্বাস
সূত্র : মানবজমিন