Select Page

আমরা একত্রিত হলে কখনোই আমদানি করতে পারবে না- সোহানুর রহমান সোহান

আমরা একত্রিত হলে কখনোই আমদানি করতে পারবে না- সোহানুর রহমান সোহান

indexসোহানুর রহমান সোহান বাংলাদেশের প্রথম সারির চলচ্চিত্র পরিচালকদের একজন। পরিচালনার সাথে সাথে পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বিএমডিবি-র সাথে। চলচ্চিত্র ও সমসাময়িক অন্যান্য বিষয়ের সাখে উঠে আসে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়টি।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় ছবির আনার ব্যাপারটায় এটুকু বলতে পারি এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমাদের সাথে কোন কথা হয়নি। আমাদের সাথে যে সমস্ত কথা হয়েছে তার মধ্যে ভারতীয় ছবি আনার প্রশ্নই আসে না।

চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়টির সাথে তিনি দেশকে পরনির্ভরশীলতার দিকে নিয়ে যাবার সাথে তুলনা করেন। যার পেছনে মুনাফা ছাড়া কোন কিছুই কাজ করছে না। তিনি দেশপ্রেমেরও প্রশ্ন তুলেন-

সোহান বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে আমাদের দেশে যারা সবসময় ভাবে কিভাবে অন্য দেশের পণ্য এখানে বিক্রি করা যায়। যেমন- এখন একটা সু্ই আনতে গেলে চায়না থেকে আনতে হয়। আজকে ইণ্ডিয়ার সব জিনিস আমাদের দেশে পাই। সেখানে আমাদের ইন্ড্রাস্টিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখনকি আমাদের দেশটা চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আসব! আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি দেশ চালাচ্ছে না? বিরোধী দলীয় নেত্রী কি দেশকে মেইনটেইন করছে না? সবাই সব কাজ করতে পারে। তো, তাদের ছবি আনা আমাদের প্রয়োজন নাই। চিন্তা করতে হবে এই ইন্ড্রাস্টির কিভাবে ভালা হবে, কিভাব বেড়ে উঠবে, আমাদের সম্মান অক্ষুন্ন রাখবে, সারা বিশ্বে আমাদের সম্মানকে ছড়িয়ে দেবে। আমাদের ইন্ড্রাস্টিতে কত ভালো ভালো ছবি হয়েছে। এই যে সালমানকে নিয়ে কথা হচ্ছে, শাবনূরকে নিয়ে কথা হচ্ছে, মৌসুমী, রিয়াজ, মান্না– এরা কি আমাদের প্রডাক্ট না!

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ভাষা বৈচিত্র্য নিয়েও তিনি কথা বলেন-

আগে তো ইণ্ডিয়ান ছবি আনা লাগে নাই। আপনারা চেষ্টা করছেন না, আপনারা আমাদের সাহায্য করছেন না। সহযোগিতা না করে আপনারা ব্যবসা করবেন আর ইন্ড্রাস্টি ধ্বংস হয়ে যাক। আমরা কি ভারতের অঙ্গরাজ্য? আমরা অঙ্গরাজ্য না। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের নিজের সবকিছু আছে। আমাদের সংস্কৃতি আলাদা। আমাদের নাটকের সাথে বোম্বের মেলে না। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ওরা ভাত-রুটি খায়, আমরাও খাই। এছাড়া খুব একটা মিল আছে- তা না। ওরা ওয়েস্টার্নকে ফলো করে, আমরা করি না। আমরা সারাজীবন আমাদেরটা করতে চা্ই।

তারা কি কোন ধরণের আন্দোলনে যাবেন? এই প্রসঙ্গে বলেন-

আমরা ঊনত্রিশ তারিখে পীযুষ (পীযুষ বন্দোপাধ্যায়) বাবুর সাথে বসব। উনি যদি এগুলো বন্ধ না করেন… আমাদের ইন্ড্রাস্টিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য সরকার টাকা দিয়েছেন- এগুলোর ব্যাপারে তার সাথে কথা বলব। যদি ফলদায়ক কিছু না হয় আমরা আন্দোলনে যাবো। ঈদের আগেও আমরা মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। প্রসেনজিত ও আরো লোকজন আসছিল। আমাদের সাথে কথা হয়েছিল জয়েন্ট ভেঞ্চার নিয়ে। এতে আমাদের আপত্তি নেই। এটা আমরা আগেও করেছি। আমরা বলেছি জয়েন্ট ভেঞ্চারে আমাদের ছবিগুলো আপনারা চালান। আপনাদের ছবিগুলো আমরা চালাই। এতে আমাদের শিল্পীদের আপনাদের দেশের লোক চিনুক, আমাদের দেশের লোকেরা আপনাদের শিল্পীদের চিনুক। তখন আদান প্রদান হোক আপত্তি নেই। র্দশক যাকে চিনে তার ছবি দেখতে চায়। আগে ঐ জায়গাটা ক্লিয়ার করুক।

কেন জয়েন্ট ভেঞ্চার? এই প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের সাথে কথা হয়েছে আটাশ থেকে ত্রিশ কোটি লোক আছে বাঙ্গালী। আমরা জয়েন্টলি তাদের কাছে পৌছতে চাই। এখন সেটা না করে আপনার যদি আমদানি রপ্তানীর চিন্তা করেন- তাহলে তো হবে না।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পসারে তিনি সরকারের সাহায্য চান-

সরকার টাকা দিয়ে প্রত্যেকটা বিভাগে চার-পাঁচটা ডিজিটাল সিনেমা করে দিক। যেখানে হল ভেঙ্গে শপিংমল হচ্ছে, সেখানে হল তৈরি করুক। কোথায় সে চিন্তা করবে, না সিনেমা আমদানি করবে।

সবশেষে বলেন, কিছু দালাল আছে যারা আমদানি করার চেষ্টা করছে। আমরা একত্রিত হলে তারা এই কাজটা কখনোই করতে পারবে না।


১ টি মন্তব্য

  1. যা বাবা এতক্ষনে কেউ মুখ খুলিল।পাপ্পু ভাইয়ের কথার সাথে ইনার কথার অনেক মিল পাইলাম।
    জয়েন্ট ভেঞ্চারে সমস্যা নাই আমরাও বলেছি শাকিব খান ও বলেছেন কয়েকদিন আগে।
    এখন সোহান ভাইয়েরাও বলতেছেন।

    শেষের কথা সরকারী পদক্ষেপেই আমাদের চলচ্চিত্রের সিনেমাহলের যথেষ্ট উন্নয়নের সুযোগ আছে।সরকারের সেদিকেই নজর দেওয়া উচিৎ।
    আমদানি রপ্তানির চিন্তা বাদ দিয়ে।

    এগিয়ে চলুক আমাদের চলচ্চিত্র
    বাংলাদেশের চলচ্চিত্র!

মন্তব্য করুন