Select Page

আমি ছবি বানাই আমার ঢঙে -ফারুকী

আমি ছবি বানাই আমার ঢঙে -ফারুকী
Farooki-B-232x275শৈল্পিক নির্মাতা হিসিবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর খ্যাতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও পৌছে গেছে। তার আছে নিজস্ব চিন্তা ও  রূপায়নের ঢঙ। সম্প্রতি এসব নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। তার সাক্ষাতকার নিয়েছেন আলাউদ্দীন মজিদ। সাক্ষাৎকারটি বিএমডিবি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হলো-

নতুন দুটো চলচ্চিত্রে দর্শক নতুন কি পাবে?

ব্যক্তিগত জীবনে একই শার্ট প্রতিদিন পরতে পছন্দ করি না। এই দর্শন আমার কাজের মধ্যেও ছাপ ফেলে। আমার আগের চারটি চলচ্চিত্রের একটির সঙ্গে অন্যটির বিষয়, স্টাইল, নির্মাণ কোনো কিছুতেই মিল নেই। নিশ্চয়ই আমার নতুন দুটি কাজেও নতুন রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করব। ‘পিঁপড়া বিদ্যা’ সাইকোলজিক্যাল ড্রামা ঘরানার আর ‘ডুবো শহর’ হবে পরিবারের আবেগী গল্প।

আপনার চলচ্চিত্রে ভারতীয় অভিনেত্রী শিনা চৌহান, এটিও কি নতুনত্বের জন্য?

এই প্রশ্ন আমার কানেও আড়াল-আবডাল থেকে এসেছে। কেউ কেউ ফেসবুকে চিঠি লিখে এমনও বলেছেন, ‘বস আপনার কাছে আমরা এটা আশা করিনি। আপনি এতকাল লড়াই করেছেন বাংলাদেশের সিনেমার বিকাশের জন্য। আজ হঠাৎ কি এমন ঘটনা ঘটল যে বাংলাদেশ থেকে কোনো অভিনেত্রী খুঁজে পেলেন না।’ এর জবাবে আমি সবাইকে বলতে চাই, প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের লড়াইটা ছিল বলিউডকে কপি করে নয়, নিজেদের ঢঙে, নিজেদের শিল্পী-কুশলীদের নিয়ে নিজেদের গল্প বলা। সেই লড়াই এখনো চলছে। সামনেও অব্যাহত থাকবে। শিনা চৌহানের ঘটনাটা ব্যতিক্রম। শিনা যে চরিত্রটি করছে সেখানে এমন একজন অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল, যে অনেক লম্বা, গায়ের রং আর্যদের মতো ফর্সা এবং যাকে দেখলে দূর আকাশের তারা মনে হয়। শিনার বিপরীতে যে নতুন ছেলেটি অভিনয় করছে তার সঙ্গে শিনার তুমুল বৈপরীত্ব আনতে এই বৈশিষ্ট্যগুলো প্রয়োজন ছিল। আমি বাংলাদেশের অভিনেত্রীদের মধ্যে অনেক খুঁজেছি। কিন্তু আমার ওই ছকের সঙ্গে পুরোপুরি কেউ মেলেনি। ফলে বাধ্য হয়ে বাইরে হাত বাড়াতে হয়েছে।

অনেকের মতে আপনার চলচ্চিত্র মানে বিদেশি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্য নির্মাণ, সত্যি কি তাই?

প্রথম কথা হচ্ছে অনেকে নয়, গুটি কয়েক লোক বলে। যারা ফেস্টিভ্যালে যেতে পারে না। আমার বিপদটা হচ্ছে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা আমাকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। কারণ তারা ভাবেন আমি জনপ্রিয়। আবার অন্যদিকে জনপ্রিয় ঘরানার কিছু লোক আমাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। কারণ তারা ভাবেন আমার কাজ একটু ‘আর্ট ঘরানার’। উনাদের বিবেচনা উনাদের কাছে থাকুক। আমার কাছে যদি জানতে চান তাহলে বলব আমি ছবি বানাই আমার ঢঙে। আমার দেশের দর্শকদের সঙ্গে একটা গল্প ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আমি আনন্দিত এবং সৌভাগ্যবান যে, দেশে আমার একটি দর্শক শ্রেণী তৈরি হয়েছে এবং বিদেশের সমালোচকরাও আমার কাজ পছন্দ করছেন। আমি সব সময়ই চাই আমার দর্শক সংখ্যা বাড়তে থাকুক, আমার ছবি দর্শক উপভোগ করুক এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আমার কাজকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক।

চলচ্চিত্র দুটোর নির্মাণ কাজ কোন পর্যায়ে আছে?

‘পিঁপড়া বিদ্যার’ শুটিং প্রায় শেষ। অন্যদিকে ডিসেম্বরে শুরু হবে ‘ডুবো শহর’-এর শুটিং।

এছাড়া আর কি করছেন?

এছাড়া বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাণের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি।

সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন


১ টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন