আশি-নব্বই দশকে ঈদের ছবি যেমন হতো, ‘তুফান’ তেমনই
দর্শক উম্মাদনায় বহুদিন পর সিনেমা হলে ‘তুফান’ দেখে আসলাম৷ টান টান উত্তেজনায় এক কথায় দারুন লাগলো ছবিটা৷ সম্ভবত বহুদিন এরকম মাশালা কমার্শিয়াল ছবি নির্মাণ হয় না৷ আমরা যারা আশি-নব্বই দশকের দর্শকরা ঈদে নাচে-গানে-অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমা দেখতাম ‘তুফান’ যেন ঠিক তেমনই এক সিনেমা৷ ঈদে এমনই মাশালা ছবিই হওয়া উচিত৷
রিভিউ লেখা বহুদিন আগেই ছেড়ে দিয়েছি তবে রাফীর ‘পোড়ামন২’ দেখে লিখেছিলাম এক সময় এই পরিচালকের নামে ছবি চলবে৷ চলছেও তাই৷ আসলেই পুরো ছবিটাই যেন রাফীর মুনশিয়ানায় এগিয়ে গেছে৷ সাথে শাকিব খানের ষ্টারডম ছবিটিকে আরো বহুগুন এগিয়ে দিয়েছে৷ রাফীর মতো স্মার্ট পরিচালক আরো দু চারজন দরকার ইন্ডাস্ট্রিতে।৷ শাকিব তার অভিনয়ের বলয় বহু আগেই ভেঙ্গে দিয়েছে৷ দুর্দান্ত অভিনয়ের কারিশমা দেখালো সে৷ সাথে মিমি নাবিলাদের গ্লামার বেশ লেগেছে৷ বিশেষ করে নাবিলাকে এরকম বানিজ্যিক ছবিতে আরো সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করছি৷
যারা ছবিটিকে ‘কেজিএফ’ ও ‘অ্যানিমেলের’ ছায়ায় বসাতে চাচ্ছে সেখানে আমার তেমন কিছুই মনে হয়নি৷ বরং আমার কাছে ব্যাপারটি মনোপলিই মনে হয়েছে৷ নিজস্বতাই লেগেছে৷ যাই হোক….নিশ্চিন্তে দেখে আসতে পারেন ছবিটি৷ পয়সা নষ্ট হবেনা এটা নিশ্চিত৷
শেষে বলি….শুধু ‘তুফান’ নয় এরকম তুফানের মতো সিনেমা আরো ইন্ডাস্ট্রিতে হওয়া চাই৷ আবার আমাদের বাংলা ছবির রাজত্ব ফিরে আসা চাই৷
আর হ্যাঁ….ছবিটির শেষের যে ক্লাইমেক্স তার জন্য হলেও ‘তুফান’ দেখা উচিত৷ চমৎকার এক টুইস্ট অপেক্ষা করছে নতুন দর্শকদের জন্য৷
রেটিং: ৮.৫/১০