Select Page

‘আয়নাবাজি’র ট্র্যাজেডি

‘আয়নাবাজি’র ট্র্যাজেডি

2

চলতি বছরের ঢালিউডে অন্যতম ঘটনা ‘আয়নাবাজি’র বক্স অফিস সাফল্য। প্রথম সপ্তাহে ২১টি হলে মুক্তির পর চতুর্থ সপ্তাহে এসে দাঁড়িয়েছে ৭২টি। একের পর এক রেকর্ড গড়ে ধারাবাহিক সাফল্যের মাঝে বড়সড় ধাক্কা খেল ব্লকবাস্টার মুভিটি।

শোনা যাচ্ছে, ৫০ লাখ টাকায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবির কাছে স্পন্সরশিপ বিক্রি করেছে ‘আয়নাবাজি’। আর কোম্পানিটি মোবাইল অ্যাপ রবি টিভি জনপ্রিয় করতে বেছে নেয় সিনেমাটির প্রদর্শনী। ৩৬ টাকার বিনিময়ে মোবাইলে দেখা যাচ্ছিল ‘আয়নাবাজি’। সেটাই হয়েছে কাল। বিশেষ এ সুবিধা দিন দশেক জন্য চালু করলেও একদিনের মাথায় ২২ শনিবার নামিয়ে নিতে হয়।

এর কারণ আর কিছু নয়। পাইরেসি। কিছুদিন আগে জাজ মাল্টিমিডিয়া নিজেদের প্রশংসা করে জানায়, তাদের সার্ভারের কারণে সিনেমাটি পাইরেসি হয়নি। কিন্তু স্মার্ট নির্মাতার স্মার্ট স্পন্সরশিপে কপাল পুড়ল।

ত্রিশটি বেশি সাইট থেকে সিনেমাটি নামিয়ে দেওয়া হলেও ইতোমধ্যে লক্ষাধিকবার ডাউনলোড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার রাতেও ফেসবুক লাইভে আড়াইঘণ্টাব্যাপী বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে। অবৈধ লিঙ্ক সরবারহের অভিযোগ উঠেছে নামি একটি সিনেমা ব্লগের বিরুদ্ধে।

নানাপক্ষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ‘আয়নাবাজি’ টিমের মোবাইল প্রদর্শনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে যারা সিনেমাটির প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তারা সমালোচনামূলক অবস্থান নিয়েছেন, পাশাপাশি বিভিন্ন ডাউনলোড ও লাইভ প্রচারের লিংক সরবারহ করছেন নির্মাতাদের। অন্য একটি পক্ষ বলছে, বাংলাদেশের সিনেমা শিল্প ও সিনেমা হলের প্রতি কোনো দায় নেই বলে— মোবাইল টিভিতে সিনেমাটি প্রচারে উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। সোনার ডিম পারা হাঁসের পেট কাটার মতো লোভী কাজও বলছেন অনেকে।

আবার কারো মতে, চারমাসেও ‘আয়নাবাজি’ হল থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলতে পারব না। যদিও কিছু সূত্র বলছে, দুই সপ্তাহের মাঝে ৬০ লাখ টাকা বাজেটের সিনেমাটি ঘরে তুলেছে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

এমনও গুজব আছে– পাইরেসির আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও মোবাইলে মুক্তি দেওয়া প্রচারণার নতুন কৌশল।  তবে এমন অনুমান কতটা সত্য তাও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

সব মিলিয়ে প্রচারণায় অনন্য নজির স্থাপন ‘আয়নাবাজি’র ট্যাজেডি এখন টক অব দ্য টাউন!


মন্তব্য করুন