Select Page

‘আয়নাবাজি’ ভুলে গেছেন চঞ্চল, সমালোচকদের বানালেন ‘ইস্যুপ্রিয় জাতি’

‘আয়নাবাজি’ ভুলে গেছেন চঞ্চল, সমালোচকদের বানালেন ‘ইস্যুপ্রিয় জাতি’

# ভুল বিপনন কৌশলের কারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ‘আয়নাবাজি
# সেই ক্ষতি বিজ্ঞাপন নির্মাতা বা অভিনেতারা মনে রাখেনি
# সমালোচকদের ‘ইস্যুপ্রিয়’ বলে কটাক্ষ করলেন চঞ্চল চৌধুরী

ব্লকবাস্টারই হতে যাচ্ছিল চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ‘আয়নাবাজি’। কিন্তু অবিবেচক বিপনন কৌশলের কারণে রাতারাতি পাইরেসির শিকার হয় সিনেমাটি। যার প্রভাব সরাসরি পড়ে প্রেক্ষাগৃহে। নির্মাতারা অভিযোগ করে অনেক সাইট থেকে সিনেমাটি সরিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ‘আয়নাবাজি’র লগ্নিকারককেও আর প্রযোজনায় দেখা যায়নি। সেই ট্র্যাজেডি এখনো অনেক ভুলেননি।

কিন্তু মনে রাখেননি চঞ্চল বা বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও স্ক্রিপ্টিংয়ের সঙ্গে থাকা অনেকেই। নইলে মোবাইল কোম্পানির বিজ্ঞাপন নিয়ে হৈচৈ হতো না। আর চঞ্চলের ব্যাখ্যা নিয়েও বিরক্ত হতেন না দর্শকরা।

ওই কোম্পানির বিজ্ঞাপনে ধারাবাহিকভাবে দেখা যাচ্ছে চঞ্চল চৌধুরী ও নুসরাত ইমরোজ তিশাকে। কয়েক দিন আগে এই জুটির আরেকটি বিজ্ঞাপনচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। যারা সমালোচনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে বলছেন, চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী হয়েও এই জুটি বিজ্ঞাপনচিত্রে সিনেমা হলে না গিয়ে মোবাইলে চলচ্চিত্র ডাউনলোড করে দেখতে উৎসাহিত করছেন।

এমনকি মিডিয়া সংশ্লিষ্ট অনেকেই এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। অবশ্য বিষয়টি তিশা বা চঞ্চল আমলে নিয়েছেন এমন নয়। চঞ্চল তো উল্টো ‘জাতি’ নিয়ে টান দিলেন। যারা এ বিষয়ে কথা বলছেন, তারা চঞ্চলের কাছে ‌‘ইস্যুপ্রিয়’।

তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২২ বছর ধরে অভিনয় করছি। কোনটা অভিনয়ের জন্য ভালো আর কোনটা মন্দ, বুঝতে পারি। সমালোচকরা কোনো কিছু না বুঝেই এ নিয়ে কথা বলছেন। একজন রাজাকারের চরিত্রে অভিনয় করলে কেউ কি আমাকে রাজাকার বলতে পারবেন? এখানে পরিষ্কারভাবে ইন্টারনেটের গতির বিষয়ে বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে নিরুৎসাহ করা হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বেশ কিছু লেখা আমার চোখে পড়েছে। মজার ব্যাপার, তাদের অনেকেই শোবিজ অঙ্গনের। অনেকের লেখায় বানানও ভুল। তাদের লেখার ভাষাটা আরো সংযত হওয়া উচিত। অনেকেই আছেন এভাবে না লিখে আমাকে ফোন করেও বলতে পারতেন। আমরা আসলে ইস্যুপ্রিয় জাতি। কোনো ইস্যু না থাকলে অন্যের পেছনে লেগে পড়ি।’

মজার বিষয় হলো, বিজ্ঞাপনে দেখা যায়- দুই তারকা মোবাইলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ ডাউনলোড করছেন। যে সিনেমা হলে একদমই চলেনি। প্রযোজক বাধ্য হয়ে কয়েক সপ্তাহের মাথায় স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে বিক্রি করে দেন। বিজ্ঞাপন নির্মাতারা চাইলে স্ট্রিমিং স্পিড নিয়ে কথা বলতে পারতেন, তা না করে ডাউনলোডের কথা বললেন। সেই সিনেমা বৈধ উপায়ে ডাউনলোডের উপায় আছে কিনা- তা অবশ্য জানা যায়নি!


মন্তব্য করুন