Select Page

ঈদুল ফিতর ২০২২: চার সিনেমার কোনটির কী আকর্ষণ

ঈদুল ফিতর ২০২২: চার সিনেমার কোনটির কী আকর্ষণ

সময় ঘুরে চলে আসলো ২০২২ সালের ঈদুল ফিতর। বাংলাদেশের সিনেপাড়ায় অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের ঈদ বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ বিগত চার-চারটি ঈদে নতুন কোনো চলচ্চিত্র রিলিজ হয়নি। দর্শকও হারিয়েছে হলে যাওয়ার অভ্যাস। অবশ্য ২০২১ সালে ঈদুল ফিতরে ডিপজলের ‘সৌভাগ্য’ রিলিজ পেয়েছিল, কিন্তু সেটা ছিল প্রায় দশ বছর পুরনো সিনেমা!

যেখানে বাংলা চলচ্চিত্রের ব্যবসা অনেকটাই ঈদ নির্ভর, সেই ঈদেই যখন চলচ্চিত্র রিলিজ করা সম্ভব হয় না, তখন সেই প্রভাব অনেকটা সরাসরিভাবে গোটা ইন্ডাস্ট্রির ওপর পড়ে। ফলশ্রুতিতে বলাকা, জোনাকী, চম্পাকলির মতো অনেক বড় বড় সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। রাজমনি, অভিসার তো আগেই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তাই এইবারের সিনেমাগুলো নিয়ে বাজি ধরার পরিমাণ তুলনামূলক কম। যেখানে তিন বছর আগেও প্রতি ঈদে কমপক্ষে ২৫০ প্রেক্ষাগৃহে নতুন সিনেমা চলতো, সেখানে এইবার বড়জোর ১৬০-১৭০টি হল নতুন চলচ্চিত্র নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ সিনেমা হল খুলেছে শুধুমাত্র ঈধ ও পরবর্তী দুই সপ্তাহকে টার্গেট করে।

তো চলুন, ঈদের দিন মুক্তির আগে কোন চলচ্চিত্রের অবস্থা কেমন, সেটি এক নজরে জেনে নিই—

গলুই

২০২০-২১ সালে যে কয়টি চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছে, তার মধ্যে ‘গলুই’ সবার আগে রিলিজ পেতে যাচ্ছে। শাকিব খানের বিরুদ্ধে হরহামেশাই শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ শোনা যায়। তবে শুনলে হয়তো অবাক হবেন, শাকিব তার সম্পূর্ণ কাজ একটানা ৩৯ দিন শুট করে শেষ করেছেন। শুধু ডাবিংটা তিনি যুক্তরাষ্ট্রে করেছেন। তো পেশাদারিত্বের দিক থেকে ‘গলুই’-এ সেরকম কোনো ঘাটতি নেই।

এটি একটি পিরিয়ড রোম্যান্সধর্মী চলচ্চিত্র, পরিচালনা করেছেন ‘হৃদয়ের কথা’-খ্যাত জনপ্রিয় নির্মাতা এস এ হক অলিক। আরও অভিনয় করেছেন পূজা চেরি, আজিজুল হাকিম, সুচরিতা, আলীরাজ, সুব্রতসহ অনেকে। প্রযোজনা ও পরিবেশনা করছে টিওটি ফিল্মস।

তবে ‘গলুই’-এর জন্য বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এখানে শাকিব খান যেরকম গ্রাম্য যুবকের চরিত্র রূপদান করেছেন, এই ধরনের চরিত্রে তাকে বিগত এক যুগে দেখা যায়নি। পুজা চেরি ও শাকিবের মধ্যকার বয়স ও শারীরিক অবয়বে পার্থক্য চোখে লাগার মতো। তাই পুজা এই চরিত্র রূপদানের আগে প্রায় ৮-১০ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন। শাকিবও জিম করে কিছুটা ফিট হওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই জোড়ার রসায়ন কতটা ফুটে ওঠে, সেটা নিয়ে দর্শকমনে আগ্রহ রয়েছে।

এ ছাড়া এ অলিক এই নিয়ে দ্বিতীয়বার শাকিবের সঙ্গে (আরো ভালোবাসবো তোমায়) কাজ করছেন। প্রথমটি যতটা না জনপ্রিয়, তার থেকে বেশি জনপ্রিয় ওই সিনেমায় থাকা শাকিব খানের একটি কান্নার দৃশ্য। রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ার মিম ম্যাটেরিয়াল হয়ে গেছে। তাই এইবার অলিক-শাকিব জুটি কতটা আলোচনা-সমালোচনা পায়, সেটি নিয়েও আগ্রহ রয়েছে।

চলচ্চিত্রের প্রমোশনে সেরকম ঘাটতি রাখা হয়নি। পরিচালক পূজাকে সঙ্গে নিয়ে টিভি-ইউটিউবসহ বিভিন্ন জায়গায় ‘গলুই’ নিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছেন। ‘বিশ্বরঙ’-এর মতো টপ লেভেলের ব্র্যান্ড ‘গলুই’ মুক্তি উপলক্ষে স্পেশাল ডিজাইনের টিশার্ট ও শাড়ি বিক্রি করছে।

তবে হললিষ্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে, ‘গলুই’ ভালো সিঙ্গেল স্ক্রিন পায়নি। শাকিব খানের মূল দর্শক সিঙ্গেল স্ক্রিনে, সেখানে এই সিনেমা এখন অনেকটাই মাল্টিপ্লেক্স নির্ভর। তো মাল্টিপ্লেক্সের দর্শকদের কাছে শাকিব খান নিজেকে কতটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে, সেটাও দেখবার বিষয়। চলচ্চিত্রের টিজার, ট্রেলার দর্শকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এস এ হক অলিকের চলচ্চিত্রে গান বরাবরই জনপ্রিয়তা পায়, তবে এইবার সেটা হয়নি। সব মিলিয়ে শাকিব খানের সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও ‘গলুই’ পুরোপুরি নির্ভর করে আছে ওয়ার্ড অফ মাউথের ওপর।

শান

এ পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন নবীন পরিচালক এম রাহিম। অভিনয়ে সিয়াম আহমেদ, পূজা চেরি, তাসকিন রহমান, মিশা সওদাগর, আরমান পারভেজ মুরাদ, ডন, নাদের চৌধুরী, চম্পা, অরুণা বিশ্বাসসহ অনেকে। চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন সাবেক পুলিশ সুপার আজাদ খান। মানিকগঞ্জে থাকাকালীন তার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনাকে ফিকশনে রূপদান করেছেন তিনি। চিত্রনাট্য ও সংলাপ সাজিয়েছেন নাজিম উদ দৌলা।

চলচ্চিত্রটি রিলিজ পাওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ইদুল ফিতরে। কিন্তু পরবর্তীতে করোনার কারণে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি নতুন রিলিজ ডেট ফিক্স করা হয়। চলচ্চিত্রটি পুনরায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়ে এবং অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে।

উদীয়মান তারকা সিয়াম এই প্রথমবার কোনো অ্যাকশন চলচ্চিত্রে দেখা দেবন। ‘চকলেট বয়’ ইমেজ থেকে বেরিয়ে তিনি রাফ অ্যান্ড টাফ চরিত্রে মানিয়ে নিতে পারলেন কিনা, সেটি অবশ্যই দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। বলিউডের বিখ্যাত অ্যাকশন ডিরেক্টর আব্বাস আলী মোগল এই চলচ্চিত্রের একশন কোরিওগ্রাফি করেছেন। সুতরাং, ‘শান’-এর অ্যাকশন দর্শক আগ্রহের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া এই নিয়ে তৃতীয়বার হিট জুটি সিয়াম-পূজা বড়পর্দায় আসতে চলেছে। চলচ্চিত্রে প্রধান খলনায়ক কে, সেটি এখন পর্যন্ত চমক হিসেবে রাখা হয়েছে। হতে পারে তাসকিন, আরমান পারভেজ মুরাদ কিংবা সব চলচ্চিত্রের নিয়মিত ভিলেন মিশা সওদাগর। কারো কারো ধারণা মতে, সিয়ামই ভিলেন। সে হিসেবে সিয়ামের দ্বৈত চরিত্র থাকতেও পারে!‌

‌‘গলুই’-এর মতো ‘শান’-এও প্রমোশন নিয়ে কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি। গত ডিসেম্বরে টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ইভেন্ট আয়োজন করে ট্রেলার লঞ্চ করা হয়েছিল। এরপর শহর-উপশহরগুলোতে পোষ্টারিং, বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপনসহ, ঢাকার বসুন্ধরা নিপি ও যমুনা ফিউচার পার্কে রমজানের একমাস লাগাতার প্রমোশন চলেছে। গত জানুয়ারিতে রাতের আঁধারে ঢাকার রাস্তার দেয়ালে সিয়াম ও পূজাকে পোস্টার লাগাতে দেখা যায়। এছাড়া সিয়ামকে সম্প্রতি রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে দেখা গেছে। চলচ্চিত্রের ট্রেলার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি পেয়েছে। যদিও এই চলচ্চিত্রের গানগুলো সেই অর্থে বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়নি।

সংখ্যার বিচারে ‘শান’ তুলনামূলক কম হল পেয়েছে, তবে ভালো ব্যবসা করে এরকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলই রয়েছে এই চলচ্চিত্রের দখলে। অবাক করার মতো বিষয় হলো, ঢাকায় টিকে থাকা ১৬টি সিনেমাহলের ১০টিতেই ঈদের দিন থেকে চলবে ‘শান’, যেখানে ‘গলুই’ ও ‘বিদ্রোহী’ পেয়েছে ৬টি করে হল। যেসব মাল্টিপ্লেক্সে একাধিক সিনেমা চলবে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে ‘শান’ তুলনামূলক বেশি শো পেয়েছে। অন্যদিকে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট… এই তিন বিভাগে কোনো হল নিতে পারেনি, যা এই চলচ্চিত্রের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এম রাহিম প্রায় দশ বছর যাবত বিভিন্ন পরিচালকের সহকারী হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত আছেন। জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রায় সব দেশি চলচ্চিত্রে তিনি সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন বলা যায়। তাই পরিচালনায় নতুন হলেও, আদতে তিনি বেশ পরিণত হয়েই এতদুর এসেছেন। সুতরাং, দেখা যাক…

বিদ্রোহী 

এটি পলিটিক্যাল অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্র, পরিচালনা করেছেন সেলিম খান। যদিও ভেতরকার খবর হলো, এই চলচ্চিত্রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শাকিবের ক্যারিয়ারের সর্বাধিক চলচ্চিত্রের পরিচালক শাহীন সুমন। অভিনয় করেছেন শাকিব খান, শবনম বুবলি, মৃদুলা, মিশা সওদাগর, অমিত হাসান, শিবা শানু, সাবেরী আলমসহ অনেকে। প্রযোজনা ও পরিবেশনা করছে শাপলা মিডিয়া।

২০১৭ সালে শাকিব খান চলচ্চিত্রাঙ্গনে নিষিদ্ধ হলে শাপলা মিডিয়া নতুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শাকিব খানকে ৫টি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ করে। সেই ৫ ছবির শেষ চলচ্চিত্র হলো এটি। শুরুতে এর নাম ছিল ‘একটি প্রেম দরকার মাননীয় সরকার’, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হাস্যরসের জন্ম দেয়। এরপর এই চলচ্চিত্রের নাম পালটে রাখা হয় ‘কমান্ডার’, সেটিও স্থায়ী হয়নি। অবশেষে ‘বিদ্রোহী’ নামে চলচ্চিত্রটি সিনেমাহলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘শান’ এর মতো এছবিটিও ২০২০ এর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কয়েকবার ডেট পেছানোর পর অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

নূন্যতম প্রমোশন না হওয়া এ চলচ্চিত্রটি ১০০ হল দখল করে রীতিমতো সবাইকে চমকে দিয়েছে! যে শাকিব খান এতদিন শুধুমাত্র ‘গলুই’ প্রমোট করে যাচ্ছিল, এই অঘটনের (!) পর তিনিও ‘গলুই’-এর পাশাপাশি ‘বিদ্রোহী’ প্রমোট করা শুরু করেছে। স্টার সিনেপ্লেক্স কিংবা হালের নতুন সংযোজন লায়ন সিনেমাসে ‘বিদ্রোহী’ কোনো শো না পেলেও দেশের আনাচে-কানাচের প্রতিটি সিঙ্গল স্ক্রিনে পৌঁছে গেছে এই চলচ্চিত্রের পোস্টার। বলা যায়, খোদ হল সংশ্লিষ্টরাই পোস্টারিং, মাইকিং করে গ্রামে-গঞ্জে এই সিনেমা প্রমোট করে দিচ্ছে।

চলচ্চিত্রের গানগুলো মোটামুটি জনপ্রিয়তা পেলেও, চলচ্চিত্রের ট্রেলার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি পেয়েছে। যদিও শাকিব ভক্তরা শাকিব খানকে এই ধরনের চলচ্চিত্রেই বেশি পছন্দ করে। তাই ধারণা করা যায় ‘বিদ্রোহী’ বেশ বড় ওপেনিং পেতে পারে। এই ঈদে ১৭০টি মতো সিনেমাহল খুলছে, এর মধ্যে ১০২টি সিনেমাহলে দেখানো হবে ‘বিদ্রোহী’। তবে ঈদের ২ সপ্তাহ পর যখন মৌসুমী সিনেমাহলগুলো বন্ধ হবে, তখন এই চলচ্চিত্রটি কীরকম হল ধরে রাখতে পারে, সেটি হবে দেখবার বিষয়…

বড্ড ভালোবাসি 

বড় ৩টি চলচ্চিত্রের চাপে এই চতুর্থ চলচ্চিত্রটি একদম কোনঠাসা, তারপরাও চলচ্চিত্রের ট্রেলার বা গান দেখে দর্শক নির্দ্বিধায় ‘বস্তাপচা’ ট্যাগলাইন লাগিয়ে দিচ্ছে। রোম্যান্টিক ড্রামা ঘরানার চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন জুয়েল ফারসী। ২০১৭ সালে যার বানানো ‘কপালের লিখন’ দেখে অনেকের পকেট তথা কপাল পুড়েছিল!  ‘বড্ড ভালোবাসি’তে অভিনয় করেছেন সুলতানা রোজ নিপা, হাসিব খান শান্ত, অমিতাভ ভট্টাচার্য, নানা শাহ, প্রিয় চক্রবর্তী, সুব্রতসহ অনেকে।

মূল চরিত্রে অভিনয় করা সুলতানা রোজ নিপা এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন। সিনেমার নায়িকার হবেন এমন শখে নিজের পৈত্রিক ভিটা বিক্রি করে তিনি এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, এমনটাই শোনা যায়।

চলচ্চিত্রটি শুধুমাত্র ঢাকার ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দিনে তিনটি করে শো পেয়েছে। তবে মুক্তির আগেই পাবলিক রেসপন্সের যা হাল, এই চলচ্চিত্রটি আদৌ যথেষ্ট দর্শক টানতে পারবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে…

ঈদের সিনেমার পক্ষে বাজি ধরার লোক কম হলেও, যারা ধরেছেন তারা অত্যন্ত ডেডিকেশনের সহিত প্রতিটি চলচ্চিত্রের প্রচারণা চালাচ্ছেন। যার ফলে অন্যান্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার ঈদের সিনেমার প্রমোশন তুলনামূলক গোছানো হয়েছে। সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মধ্যকার কাঁদা ছোড়াছুড়ি তুলনামূলক কম হয়েছে।

আগে দেখা যেতো, ঈদের ২-১ দিন আগেও কোনো সিনেমাকে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়া হতো, তারপর দর্শক ও হল মালিক নিশ্চিত হতে পারতো, এই সিনেমা শেষপর্যন্ত রিলিজ পাচ্ছে। এইবার প্রায় একমাস আগে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কোন চলচ্চিত্রগুলো ঈদে রিলিজের জন্য আবেদন করেছে। যে ৪টি চলচ্চিত্র এক মাস আগে আবেদন করেছে, ঠিক সেগুলোই রিলিজ পাচ্ছে। আগেভাগে রিলিজ ডেট নিতে পারায় পুরো রমজান মাস জুড়ে চলচ্চিত্রগুলো যে যার মতো প্রচারণা চালানোর সুযোগ পেয়েছে। হল মালিকরাও সব সিনেমার রেন্টাল যাচাই-বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। যার ফলে এইবার ইদের চলচ্চিত্রগুলো ঘিরে কোনো বড় বিতর্ক তৈরি হয়নি।

ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সব চলচ্চিত্রই সিনেমাহল থেকে লগ্নি তুলে আনুক, এই প্রত্যাশা রইলো…


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত

চলচ্চিত্র বিষয়ক ব্লগার ও ইউটিউবার

মন্তব্য করুন